Better Life With Steem || The Diary game || 8/12/2024

in Incredible India18 days ago
1000152740.jpg

হ্যালো গায়েজ

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে।


আলহামদুলিল্লাহ, আবারো খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম । সকাল পাঁচটা ৪০ মিনিটে চোখের ঘুম ভাঙ্গে উঠে, মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে এক গ্লাস ভুসির পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি।

এরপর আবার সেই সকাল নয়টার সময় উঠে যাই। আমার ঘুম ভাঙার পর ছেলেও আমার সঙ্গে উঠে গেল। ঘুম থেকে ওঠার পর ছেলেকে মুখ দিয়ে দিলাম। এরপর গেলাম রান্না ঘরে সবার জন্য সকালের নাস্তা বানাতে; আজকে সকালের নাস্তার জন্য খিচুড়ি রান্না করেছি।

1000152718.jpg

খিচুড়ি রান্না হয়ে গেলে গরম গরম টিফিন বক্সে উঠিয়ে মেয়ের মাদ্রাসার দিয়ে আসলাম। এরপর চলে গেলাম রান্না ঘরে। রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিলাম তারপর আস্তে আস্তে করে রান্না শুরু করে দি।

আজকে রান্না করেছি দেশি মুরগির মাংস, আর ডাল। দুই চুলাই দুইটা রান্না বসিয়ে দিয়ে তারপর ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে গোসল করতে নিয়ে চলে যাই। ছেলের গোসল করা হয়ে গেলে তারপরে জামা প্যান্ট পরিয়ে পরিপাটি করে রেখে, তারপর আবার রান্না ঘরে চলে যায়।

1000152727.jpg

আজকের রান্নাটা বারোটার ভিতরেই হয়ে যায়। রান্নাটা শেষ করে তারপর আমিও গোসলে যাই। গোসল করা শেষ হলো রুমের দিকে চলে যাই, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি ছেলে ভিতর থেকে দরজার লক করে রেখেছে। আমি ওকে ডাকছি আর আমায় বলছে আম্মু তুমি আমাকে ভালোবাসো না আমি দরজা খুলবো না ।

ছেলের এই কথা বলার কারণ হলো। ও আমার কাছে ফোন চেয়েছিল আমি না বলছি। আর কিছু বকাঝকা করে আমি গোসল করতে চলে যাই। এর জন্য আমার সাথে রাগ করে দরজা বন্ধ করে রেখেছে আর কেঁদে কেঁদে বলছে তুমি আমায় ভালোবাসো না তোমার সাথে কথা বলবো না আর দরজাও খুলবো না।

1000152732.jpg

আসলে ছেলেটা যত দিন দিন বড় হচ্ছে তত কথায় পন্ডিত হচ্ছে ওর সাথে কথায় আমি পারিনা। আপনারা ওর কথা না শুনলে বুঝতেই পারবে না এত পরিমান বুড়ো মানুষের মতন গুছিয়ে কথা বলে। মাঝের মধ্যে তো ওর বাবা ওর কথা শুনে হা করে তাকিয়ে থাকে আর হাসতে থাকে। যাই হোক কোন রকম ভাবে দরজার বাহির থেকে ছেলেকে বুঝালাম তারপর দরজা খুললো। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে ওকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম এবং আমিও খেলাম।

দুপুরে খাবার খেয়ে শুয়ে রইলাম, ছেলে মেয়ে ঘুম পড়েছে আমি আর ঘুমাইনি;ফোন ব্যবহার করছিলাম। সাড়ে তিনটার সময় খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আর আসরের নামাজ পড়তে পারি না। তাই না ঘুমিয়ে কিছুক্ষণ ফোনে সময় দিয়ে আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়ি।

1000152738.jpg

এরপর মাগরিবের আজান হল নামাজ পড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকেনি রান্নাঘরে চলে গেলাম। আর সন্ধ্যায় রান্নাঘরে যাওয়ার কারণ হলো চটপটি খাব তাই সেটা রান্না করার আয়োজনে চলে যাই। তবে চটপটি বানাতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি বিকেল বেলা ডাল আলু সেদ্ধ করে রেখেছিলাম।
তাই চটপট করে চটপটি বানিয়ে সকলে খেয়ে নিলাম।

তবে নিজের হাতে বানানো চটপটি খেতে বেশ ভালোই লেগেছে একদম বাহিরের বানানোর মতো।আরো দু'বার বানিয়ে খেয়েছি । আজকে সন্ধ্যায় সাহেবও বাসায় ছিল সে খুব মজা করে পেট ভরে খেয়ে নিলো। সন্ধ্যার নাস্তাটা করে পোস্ট লিখতে বসি। যাইহোক এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্তগুলো আর সন্ধ্যাটা পার করি লেখাটা এখানেই শেষ করতে চাই। (সমাপ্ত)

Sort:  
Loading...
 17 days ago 

সারাদিনটা বেশ সুন্দর কেটেছে আপনার সকাল বেলার নাস্তা তৈরি করা খিচুড়ি সাথে মুরগির মাংস এক অসাধারণ ব্যাপার,,।
এরপরে মেয়েকে বিদায় জানালেন মাদ্রাসার জন্য। সারা দিনে বাচ্চাদের নিয়ে বেশ সময় কেটেছে দিনশেষে আবার নিজের হাতে চটপটি আমি চটপটি খেতে ভীষণ পছন্দ করি।।
সব মেয়েরাই ফুচকার পাগল আমিও কম না তবে চটপটির দিকে আমার নজরটা একটু অন্যরকম।। যাইহোক সুন্দর একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।