𝑩𝒆𝒕𝒕𝒆𝒓 𝑳𝒊𝒇𝒆 𝑾𝒊𝒕𝒉 𝑺𝒕𝒆𝒆𝒎 || 𝑻𝒉𝒆 𝑫𝒊𝒂𝒓𝒚 𝒈𝒂𝒎𝒆 || 30/11/2024
হ্যালো গায়েজ,, আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আজকের দিনটা আমার খুব অল্প সময়ের ভিতর পার হয়ে গেল,, আজকের অল্প সময়ের ভিতরে কি কি কাজ করেছি, তা নিয়ে আজকে আলোচনা করব চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমেই বলতে চাই, সকালবেলায় কাজকর্ম গুলোর কথা।
আজকে সকালে সজাক হই সাতটা দশ মিনিটে, উঁঠে দেখি জানালার ফাঁক দিয়ে চারদিকে আলো বের হচ্ছে। চোখ মুছতে মুছতে উঠে ওয়াশরুমে গেলাম,তারপর হাত মুখ ধুয়ে এসে টেবিলে বসে এক গ্লাস ভিজালো বুসি ও তোকমার পানি খেয়ে নিলাম। এরপর গেলাম রান্নাঘরে সকালের নাস্তা বানাতে; আজকের সকালের নাস্তা বানিয়েছি রুটি আর ভাজি। আর ছেলের জন্য একটা ডিম পোচ।
সবাই একসাথে টেবিলে বসে সকালের নাস্তা টা খুব মজা করে খেলাম। সকালে নাস্তা করে থালা-বাসন গুলো ধুয়ে রেখে, তারপরে গেলাম রান্না ঘরে দুপুরে রান্নার আয়োজন করতে।
এরপর বলতে চাই দুপুরবেলা রান্নাবান্নায় ব্যস্ততার মুহূর্তগুলো ।
দুপুরে কি কি রান্না করবো আগে তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে, তারপর রান্না করতে শুরু করে দিলাম।আজকে দুপুরে রান্না করেছি মাছ, সবজি, আর তার সঙ্গে রয়েছে ডাল।ডাল তরকারিটা আমাদের বাসায় সবাই পছন্দ করে বিশেষ করে আমার ছেলের খুব পছন্দের একটি খাবার ডাল। প্রত্যেকদিন যদি ডাল রান্না করতে পারি তাহলে মাছ মাংসের মতন আপ্পায়ন করে ডালটা খেয়ে নেই।
দুপুরে রান্না গুলো করতে আমার বেশিক্ষণ সময় লাগেনি, বারোটার ভিতরে আমার রান্না বান্না সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যায়। এখনকার দিনের বেলাটা ছোট তাই বেশি একটা সময় নষ্ট না করে সকালে নাস্তা করে দশটার ভিতরে রান্না বসিয়ে দি। যার কারণে তাড়াতাড়ি রান্নাটা শেষ করে উঠতে পারি।
এরপর গা গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিয়ে শুয়ে রেখে তারপর আমি খাইয়ে নিলাম। আর হ্যাঁ,, এই যে উপরে মরিচ ভর্তার ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা হল শুকনো মরিচ ভর্তা আমার প্রত্যেক দিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে। এত মরিচ ভর্তা খাই সাহেব বকাবকি করে এতো জাল খেলে পেটে সমস্যা হবে । তারপরও মনে মানে না সামনে দেখলে খেতে ইচ্ছে করে।
প্রথমে মরিচ ভর্তা দিয়ে তৃপ্তি সহকারে ভাত খেয়ে তারপর তরকারি নিয়ে খেলাম। তৃপ্তি সরকারে খেতে খেতে বিকাল তিনটা বেজে গেল। এরপর হাত মুখ টা ধুয়ে রুমে গিয়ে ছেলেকে ঘুম পড়লাম। আর আমি ওর পাশে বসে শুয়ে ফোন ব্যবহার করি।
দুপুরে খাবার খেয়ে আধা ঘন্টার মতন ফোন ব্যবহার করি ; এরই মধ্য আসরের আযান দিলো তারপর আর শুয়ে থাকিনি উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে বসলাম তারপরই দেখি সাহেব এবং ভাইয়া তারা এসে গেল তাদেরকে দুপুরের খাবার খেতে দিলাম। তাদের খাবার খাওয়ার 5 মিনিট পরে মাগরিবের আজান দিল।
সন্ধ্যাবেলা ছেলেমেয়েকে নিয়ে কিছু কাটানো মুহূর্ত।
মাগরিবের আজান দেওয়ার পর আর বসে থাকিনি, সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে গিয়ে ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি, তারপর দুই ভাইবোনকে দুই প্যাকেট এনার্জি বিস্কুট খেতে দিলাম। ওদের খাওয়া শেষ হলে তারপর মেয়েকে বলি আজকে ভাইকে নিয়ে পড়তে বসো আমি এদিকে কাজ করি। আসলে কাজ বলতে ফোন নিয়ে বসেছি পোস্টটা লিখে ফেললাম।
আমার পোস্ট লেখা হয়ে গেলে, তারপর রাতের খাওয়ার জন্য ভাত রান্না বসিয়ে দিলাম। ভাত টা বসিয়ে দিয়ে আমি এশার নামাজ পড়তে যাই। আমার নামাজ পড়া হয়ে গেলে তারপর ভাতটা উঠিয়ে রেখে ছেলে - মেয়েকে কিছুক্ষণ পর রাতের খাবার খেতে দি, ওরা রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে আমিও ওদের সঙ্গে শুয়ে যাই। এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করি।
একদমই তাই, শীতের বেলা যেন বুঝে ওঠার আগেই শেষ হয়ে যায়। ভিজালো বুসি খেলে নাকি পেটের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। আমার বাসার দাদা প্রতিদিন সকালে ভিজালো বুসির জল খেতো।
কিছু কিছু খাবারে একটু ঝাল হলে হয়ত খেতে ভালো লাগে তবে অতিরিক্ত ঝাল খেলে আমাদের নানা সমস্যা হয়ে থাকে। আমার জেটুর ছেলের গলায় একটা ঝালের খোসা আটকে গিয়েছিলো এবং সেখানে ইনফেকশন হয়ে যাচ্ছিলো তারপর ডাক্তার দেখিয়ে সেটা বের করেছিলো।