মহা শিবরাত্রি। (পেন্সিল স্কেচ)
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পেন্সিল স্কেচ নিয়ে হাজির হয়েছি৷ চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করে দেই আমি কিভাবে স্কেচটা সম্পূর্ণ করলাম.......

সবাইকে মহা শিবরাত্রির অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজকে সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন মা আমার কাছে জিজ্ঞাসা করে আজকে কি আঁকাবি কিছু ভেবেছির তুই? আমি বললাম ভেবেছিলাম যে আজকে যেহেতু মহা শিবরাত্রি তাই শিবলিঙ্গ আঁকবো। মা তখন আমারে বললো যে আমার মোবাইলে যে শিবের ছবিটা আছে ওইটা আঁক৷ আমি বলালম আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু আজকে আমার যে এতটা সময় লাগবে আমি আগে বুঝতে পারি না।
আমি এই পর্যন্ত আপনাদের মাঝে যে সকল স্কেচ এঁকেছি তাতে আমার বেশি হলে ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু আজকে আমার এই স্কেচটা আঁকাতে প্রায় ৫ ঘন্টার ও বেশি সময় লেগেছে। আমি সকালে খেয়ে দেয়ে আমার আঁকানোর সব কিছু নিয়ে নিজের জায়গায় বসে গেলাম। তারপর দুপুর পর্যন্ত একটানা আঁকাতে লাগলাম। দুপুরে স্নান করে এসে আমি আবারও আঁকাতে শুরু করলাম।
![]() |
|---|
আমি একটা জিনিস আঁকাতে বসলে যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করি ততক্ষণ নিজের কাছে ভালো লাগে না। তাই না খেয়ে আবারও আঁকাতে বসে গেলাম। কিছুক্ষণ পর মা আমার ঘরে এসে ভাত খাইয়ে দিলো। আমি কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলেই মা এখনো আমার গালে তুলে খাইয়ে দেয়। আমার সকল কিছু শেষ করতে বিকাল হয়ে গিয়েছিলো। আঁকানো শেষ করার পর বিকালে কাকার সাথে একটু রাস্তায় ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
অনেক কথা হলো এখন চলুন আজকে আমার স্কেচটা কিভাবে আঁকলাম তার প্রতিটা ধাপ সহ আপনাদের মাঝে তুলে ধরি........
একটি ড্রইং খাতা, পেন্সিল, রাবার, পেন্সিল কাটার,কাটা কম্পাস, স্কেল। একটি 2b পেন্সিল, একটি 6b পেন্সিল। কারণ একটি দিয়ে ড্রইং এর বেজ তৈরি করেছি এবং আরেকটি দিয়ে স্কেচ করি।
প্রথমে খাতার চারপাশে আজকে একটু বেশি জায়গা রেখে স্কেল ব্যবহার করে দাগ কেনে নিলাম। তারপর বর্ডার দিয়ে দিলাম দাগের পাশ দিয়ে।
কাটা কম্পাস ব্যবহার করে খাতার মাঝ বরাবর একটা বড় বৃত্ত আঁকায় নিলাম। এই বৃত্তের ভিতরেই আজকে স্কেচটা আঁকবো।
তারপর মহাদেব যে পাহাড়ের উপর দাঁড়িছেন সেই পাহাড়টা আঁকায় নিলাম।
এবার মহাদেব আঁকানোর পালা। প্রথমে মহাদেবের মাথার জটা আঁকায় নিলাম। তারপর পুরো শরীর ও হাত-পা আঁকায় নিলাম। মহাদেব এর শরীরের পুরো স্টাকচার আঁকাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।
তারপর স্কেল ব্যবহার করে ত্রিশূল এর নিচের অংশটুকু আঁকায় নিলাম এবং পরে ত্রিশূলের উপরের অংশটুকু আঁকিয়ে শেষ করে নিলাম।
ত্রিশূলের একটু নিচে মহাদেবের হাতের ডমরু আঁকায় নিলাম।
তারপর মহাদেবের গলায় প্যাঁচানো সাপ ও মাথয় থাকা চাঁদ আঁকায় নিলাম।
পরে মহাদেবের মাথার পিছনে কাটা কম্পাস ব্যবহার করে ছোট একটা বৃত্ত আঁকায় নিলাম।
সবকিছু আঁকানো শেষে এবার সবথেকে কঠিন কাজ স্কেচ এর পালা। তাই প্রথমে মহাদেব দাড়ানো পাহাড়টা স্কেচ করে নিলাম।
তারপর মহাদেবের শরীরটা ভালো করে স্কেচ করে নিলাম।
১১তম ধাপ
এবার মহাদেবের হাত দুটো স্কেচ করে নিলাম এবং তারপর পা দুটো স্কেচ করে নিলাম।
মহাদেবের জটা না আঁকালে হয় না তাই মহাদেবের জটা আঁকায় নিলাম।
এবার ত্রিশূল স্কেচ করার পালা। প্রথমে নিচের অংশ স্কেচ করে নিলাম এবং পরে উপরের অংশ টুকু স্কেচ করে নিলাম।
তারপর ডমরু ও নিচের উড়ন্ত কাপড়টা স্কেচ করে নিলাম।
পরবর্তীতে মহাদেবের গলায় প্যাঁচানো সাপ ও মাথায় থাকা চাঁদ স্কেচ করে নিলাম।
তারপর মহাদেবের মাথার পিছনের বৃত্তটা স্কেচ করে তুলা দিয়ে স্কেচটা মিশিয়ে নিলাম।
এবার আগে যে বড় বৃত্তটা এঁকেছিলাম সেটা স্কেচ করে তুলা দিয়ে স্কেচটা মিশিয়ে নিলাম।
তারপর ভাবলাম একটু মেঘ না আঁকালে কেমন চারপাশটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। তাই পেন্সিল কাটার দিয়ে কিছুটা পেন্সিলের কালি বের করে কটনবার দিয়ে মেঘ আঁকানো শুরু করলাম। এখানে মেঘ আঁকানোর আগে খাতায় অন্য যায়গায় অনেক প্র্যাকটিস করে নিয়েছি। যাতে এখানে কোনো গোলমাল না হয়।
আজকে বলতে গেলে আমার সারাদিন লেগে গেছে এই স্কেচটা আঁকাতে। জানি না কেমন হয়েছে। সারাদিন আঁকনোর পর আমার স্কেচটা দেখতে এরকম লাগছে।
আশা আপনাদের সবার আমার আঁকানোটা ভালো লেগেছে। আজকের মতো আমার আঁকাআকির সল্প প্রচেষ্টা এই পর্যন্ত। আপনাদের উৎসাহ ও সাপোর্ট পেলে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন ছবি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।






















Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Your post has been supported by THE PROFESSIONAL TEAM. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য। 💚
আপনাকেও শিবরাত্রির অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিটা জিনিস নিখুত ভাবে তৈরি করার জন্য অনেকটা সময়ের প্রয়োজন আপনিও সেই জায়গা থেকে শিবরাত্রি বিষয়টা আমাদের সাথে পেন্সিল স্কেল এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন যেটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে আপনার ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে এটা ভেবেই অনেক বেশি অবাক হচ্ছে আসলে প্রতিটা জিনিস তৈরি করার জন্য সময় ব্যয় করতে হয় এটাই স্বাভাবিক অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।