"অনেকদিন বাদে কাটানো একটি খুশির সন্ধ্যা "
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুবই ভালো কেটেছে। সপ্তাহের শুরুর দিন প্রত্যেকেরই কম বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটে।
আমার গতকালের পোস্টে আমি আপনাদেরকে পৌষ পার্বণের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কাল যে পৌষ পার্বণ ছিল,সেটাই এক প্রকার ভুলে গিয়েছিলাম বলতে পারেন।
কাল রাতে খেতে বসে হঠাৎ করে মায়ের মুখে শুনলাম যে গতকাল পৌষ পার্বণ ছিল। কিন্তু বাড়ির পরিবেশ এতটাই খারাপ যে, পৌষ পার্বণ সঠিক ভাবে পালন করার অবকাশ আমাদের হয়নি।
তার থেকে বড় কথা হলো কাল যে, পৌষ পার্বণ ছিল সেটা আমাদের কারোরই মনে ছিল না। শহরে থাকার এই একটা সমস্যা।
গ্রামে থাকলে পৌষ পার্বণের দিনে একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। সুতরাং আপনার মনে না থাকলেও, আশে পাশের বাড়ির প্রস্তুতি দেখে আপনার মনে পড়ে যাবে যে, সেদিন পৌষ সংক্রান্তি।
কিন্তু শহরে থাকার এই একটা অসুবিধা। যেখানে এক ঘরের কথা বিপদের কথা অন্য ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেও বছরের পর বছর কেটে যায়। সেখানে পৌষ পার্বণের মতো একটা উৎসবের কথা জানা প্রায় অসম্ভব। কারণ শহরের পৌষ পার্বণ মানেই অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে মিষ্টির দোকান থেকে পাটিসাপটা অথবা পুলি পিঠে কিনে বাড়ি ফেরা।
কিন্তু কি বলুন তো বাড়ির পরিবেশের কারণে, যদি বাড়ির ছোটদের মন খারাপ হয়, তাহলে সেটা কিন্তু আমাদের বড়দের নজর রাখা উচিত। আজ আমার ছেলে স্কুলে গিয়েছিল এবং সেখানে সে তার বন্ধুদের কাছে তাদের বাড়িতে পিঠে তৈরির গল্প শুনে এসেছে।আর বাড়িতে এসে আমার মাকে জিজ্ঞাসা করেছে যে, গতকাল কেন আমাদের বাড়িতে পিঠে হয়নি?
আজকালকার যুগের বাচ্চারা এমনিতেই অনেক বেশি স্মার্ট হয়। আমার ছেলে মুখে না বললে ও কিন্তু বুঝতে পারে যে,কিছু না কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়েই আমরা সকলে যাচ্ছি। সেই অনুযায়ী ও খুব বেশি বায়নাও করে না।
কিন্তু কোথাও একটা আমার মায়ের নিজেরই খারাপ লেগেছিল, যে কারণে আজকে আমি অফিস থেকে বাড়ি এসে দেখি মা ওর প্রিয় তেলের পিঠে, অনেকে আবার এটিকে মালপোয়াও বলে থাকে, সেটি তৈরি করছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করতে পারছি না। কারণ মা যখন থেকে মালপোয়া বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল সেই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। যে কারণে আমি সব কিছুর ছবি তুলতে পারিনি। তাই সঠিকভাবে হয়তো আপনাদের কাছে রেসিপিটি তুলে ধরা সম্ভব হবে না।
আর যেটি সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে না, সেটি না করাই ভালো বলে আমার বিশ্বাস। সেই কারণে আমি শুধু কয়েকটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
মালপোয়া তৈরি করার পর যখন আমরা সকলে একসাথে বসে খাচ্ছিলাম,তখন আমার মায়ের সাথে আমাদের ছোটবেলার গল্প করছিলাম। পাশাপাশি আমার ছেলেকেও শোনাচ্ছিলাম ছোটবেলায় আমাদের পৌষ পার্বণ কেমন কাটতো, কত রকমের পিঠে তৈরি হতো।
বেশ অনেকদিন বাদে সকলের সাথে পিঠে খাওয়ার সময় গল্প করতে করতে একটা ভালো সন্ধ্যা কাটালাম। কখনো কখনো ক্লান্তিকর দিনের শেষে যদি এইরকম একটি সন্ধ্যা উপভোগ করা যায় তাহলে সারাদিনের ক্লান্তি কিয়দাংশে দূর হয়ে যায়।
আশাকরি আপনাদের সকলের পৌষ পার্বণ অনেক ভালো কেটেছে। সকলে ভালো থাকুন, আগামীকাল আপনাদের সকলের খুব ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করে আমি আমার লেখা শেষ করলাম।আপনাদের আমার লেখা পড়ে কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না। শুভ রাত্রি।
সবাই আসলে একরকম না। ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে। আপনার ছেলেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম পরিস্থিতিতে আপনাদেরকে বোঝার জন্য।
আমি যখন একদম ছোট ছিলাম তখন মা বাবার কাছে খুব বায়না ধরতাম, তখন তাদের পরিস্থিতি বুঝতাম না, বোঝার চেষ্টাও করতাম না। পরে যখন ১৪-১৫ বয়স পার হলো তখন থেকে বায়না বলতে কিছুই ছিলো না। সব সময় আগে ভাবতাম তাদের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন?
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
হোস্টেলে থাকার দরুন বাড়ির ভালো খাবার খেতে পায়না।ছবি গুলো দেখে একটু মনটা খারাপ হল।আর ছোট ভাই হিসেবে বলছি ,দিদি খারাপ সময় কেটে যাবে ধ্যর্য রাখুন।This shall pass too.