বাজারে গিয়ে ছিলাম তার কিছু সুন্দর মুহূর্ত।( তৃতীয় পর্ব)
বাজারে গিয়ে ছিলাম তার কিছু সুন্দর মুহূর্ত।( তৃতীয় পর্ব)
আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, আমার বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন আমি আশা করি, তাইতো আজ আপনার আমার পোস্ট দেখতে পাচ্ছেন, বন্ধুরা আমি গতো পর্ব বলেছিলাম যারা ক্রিম বিক্রি করছিলো সেখান থেকে আমরা চলে যাই, তারপরে আমরা চলে গেলাম একটি মোবাইলের দোকানে, সেখানে আমার দরকার ছিলো একটি সিম কার্ড কেনার জন্য।
কিন্তু অন্য জায়গায় খোঁজা খুঁজি করতে করতে আমরা কোনো জায়গায় আমি যে সিম কিনবো সেই সিম খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তারপরে অন্য আরেকটি মোবাইলে দোকানে গিয়ে সেই সিমের খোঁজ পেয়ে ছিলাম, কিন্তু সিমের দাম অনেক বেশি বলছিল, যা দিয়ে আমি দুইটি সিম নিতে পারবো তাই ভাবলাম আজকে আর সিম নেবো না। মোবাইলের স্কিন পেপার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যা ছিলো হয়তো বা ভালো চলতো ভাবলাম আজকে তাহলে পাল্টা নিলে ভালো হবে।
তাই প্রথমে আমার স্কিন পেপার আমি বদলায় নিয়ে ছিলাম তারপরে দেখতে পেলাম আমার কপালা বলল তার টাও নাকি পাল্টাবে, তাই তখন আমরা স্কিন পেপার পাল্টানোর জন্য মোবাইলটা দোকানদারের কাছে দিয়ে ছিলাম, এবং দোকানদার ছিলো বাংলাদেশের একটি ভাই, তার সাথে মোবাইল দিয়ে আমরা কথা বলছিলাম হঠাৎ করে খেয়াল করলাম বাহিরে বৃষ্টি এসেছে, তখন দোকানদার বলল তাহলে ধীরে ধীরে করে দেয় কাজটি।
এবং আমরা দুইজন সেই বাংলাদেশী ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম এবং মোবাইলের ব্যাক পার্ট সম্পর্কে কথা বলছিলাম কিন্তু তার দোকানে আমার মোবাইলের ব্যাক পার্ট ছিলো না। তাই ভাবলাম অনলাইনে অর্ডার দিয়ে নেবো। সেখানে আমরা প্রায় এক ঘন্টার বেশি দাঁড়িয়ে ছিলাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে।
ধীরে ধীরে তার মোবাইলের দোকানে আরো বেশ কিছু ছবি আমি ধারণ করি, কারণ দাঁড়িয়ে থেকে কোনো কাজ ছিলো না যতক্ষণ বৃষ্টি না থামবে। এবং তার সাথে আরো অনেক ধরনের কথা বলছিলাম সে কি ভাবে দোকান দিয়েছিল কি ভাবে এই প্রতিষ্ঠান আজ তৈরি করতে পেরেছে। তার গল্প শুনে আমি কিছুটা অবাক হয়ে গিয়ে ছিলাম। সে বাংলাদেশ থেকে এসেছে 10 থেকে 11 বছর হয়ে গিয়েছে।
আসার পরে জানি না কি ভাবে একটি মালয়েশিয়ার মেয়ের সাথে বিয়ে করেছে এবং এদেশে মালয়েশিয়ান নাগরিকদের যে কোনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার লাইসেন্স আছে। বাংলাদেশের মানুষের কোনো লাইসেন্স এখানে দেওয়া হয় না ব্যবসা করার জন্য। তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স করে সে আজ এই মোবাইলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পেরেছে। এবং তার স্ত্রী ও তার সাথে ছিলো দোকানে তাদের সাথে এই ভাবে গল্প করতে করতে ভালো লাগছিল।
কিন্তু এই কথা ও শুনতে পেলাম মালয়েশিয়ান নাগরিক মেয়েদের বিয়ে করা কোন সমস্যা না কিন্তু ১০০ মধ্যে দুই থেকে তিনজন মানুষ ভালো থাকে কারণ বেশির ভাগ মেয়ে নাকি বিয়ে করে টাকার লোভে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য যে টাকা দেওয়া হয় সেই টাকা নিয়ে অধিকাংশ মেয়ে নাকি পালিয়ে যায়।
তখন আমি সেই ভাইকে বলছিলাম তাহলে আপনি কিভাবে আছেন আপনার স্ত্রী কোনো সমস্যা করে না, তখন সে আমাকে বলল দোকানের অর্ধেক টাকা সেই দিয়েছে তাহলে সে কেনো পালিয়ে যাবে সে আমাকে অনেক ভালোবাসে এই কথা জানতে পেরে আসলে অনেক ভালো লাগছিল।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানে শেষ করছি অবশ্যই জানতে পারবেন বাজার করার শেষ মুহূর্তে কতোটা ভালো ভাবে আনন্দ করতে পেরেছিলাম সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
| Device | Name |
|---|---|
| Android | VivY77 /v2169 vivo |
| Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
| Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
| Short by | @bayezid123 |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you so much for sharing your beautiful moment on this platform
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।
Thank you so much for reading my post and commenting
দোকানে সিম কিনতে গিয়ে বাংলাদেশি এক ভাইয়ের সঙ্গে আপনার পরিচয় হলো। সিমের দাম অনেক হওয়ার কারণে আর সিম না নিয়ে মোবাইলের স্কিন পেপার লাগিয়েছেন।
বাংলাদেশী ঐ ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিষয় নিয়ে বেশ ভালোই গল্প করেছেন।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বিদেশের বুকে যখন আমরা আমাদের নিজেদের বাংলাদেশী ভাইদের সাথে পরিচিত হতে পারি তখন তো অনেক কথাই আমাদের মধ্য হয়ে থাকে ঠিক তার সাথেও ভিন্ন হয়নি যখন একটু সময় পেয়েছিলাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে তার সাথে অনেক গল্পই আমরা করেছিলাম। এবং তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কি ভাবে হয়েছে সেই বিষয়ে জানতে পারলাম। সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশের কাউকে পেলে অবশ্যই মন আনন্দে ভরে ঊঠে। অন্তত মন খুলে বাংলায় কথা বলা যায়।
দোয়া করি ভাই আপ্নিও একটা মালয়েশিয়ান মেয়ে নিকা করে ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেন। আমরাও তাহলে ভবিষ্যৎ এ ওখানে যেতে পারবো।
ভাই কথায় আছে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট যেমন আছি ভালোই আছি ভাই, সবার ভাগ্য এক হয় না আর সৃষ্টিকর্তা আমার দুটি হাত দুটি পা ভালই রেখেছে মাস শেষে যা ইনকাম করি তাতে আমার ভালোভাবে চলে যায়। এমন দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য সুন্দর মন্তব্য উপহার দিয়েছেন ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
আজ আপনি বাজারে গিয়ে কিছু কেনাকাটার মুহুর্ত শেয়ার করেছেন। আপনার সিম কেনার প্রয়োজন ছিলো তবে এর দাম অনেক বেশি। আমাদের বাংলাদেশে সিমের দাম তুলনামূলক অনেক কম।এমনকি ১০ টাকায়ও সিম পাওয়া যায় অনেক সময়।
বাংলাদেশের সিমের দাম কম পাওয়া যায় এটা আমি জানতাম ১০ টাকায় ও সিম পাওয়া যায়, যার দেশের টাকা সেই দেশে কিন্তু ভাই একদম কম আমি এখন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আছি সেই অনুযায়ী মালয়েশিয়ার হিসেবে দশ টাকা কমই এবং এক মাসে নেট কিনতে পারি ২৫ রিংগিতে বাজারে গিয়েছিলাম অবশ্যই সিম কেনার উদ্দেশ্যে কিন্তু সিমের দাম বেশি ছিল কারণ সেখানে আর কোন দোকানে সিম বা যাচ্ছিল না তাই আর সিম নিলাম না। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।