প্রবাসীরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে কিছু টাকার আশায়।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কেমন আছেন আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আমি আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব। আমরা যেখানে কাজ করি সেই কাজের মধ্যে থেকে অন্য মানুষ কাজ করছিল তার কিছু কথা এবং তার কিছু ফটোগ্রাফি।

বর্তমানে আপনারা সবাই জানেন আমি একজন প্রবাসী আমি মালয়েশিয়াতে থাকি। এবং প্রবাসী জীবন কতোটা কষ্ট তা আপনারা অনুভব করতে পারেন। হয়তোবা মাঝে মাঝে আপনাদের মধ্যে আমি আমার কাজের ও কিছু কথা এবং ছবি শেয়ার করি। সেখান থেকে আপনারা পড়ে হয়তো বা বুঝতে পারেন আমরা কতোটা কষ্ট করি এই দূর প্রবাসে এসে।

যাহোক এই ছবি গুলো ধারণ করা ছিলো আমার মোবাইলে এখান থেকে বেশ কিছু দিন আগে। আসলে আমি যখন ওপরে কাজ করেছিলাম তখন এই ছবি গুলো ধারণ করেছিলাম। এই ছবি দেখে বুঝতে পারছেন কংগ্রেট দিচ্ছে কি ভাবে। কংগ্রেট মালয়েশিয়া তে অনেক উপরে মেশিনের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। তবুও সেই মেশিন চালানোর জন্য অনেক মানুষ আছে। যখন এই ছবি গুলো আমি ধারণ করেছিলাম তখন আমার মনে হয় ১৬ থেকে ১৭ তলা কংগ্রেট করছিল।

ঠিক দুপুর বেলা এই কাজ গুলো তারা শুরু করে এবং তাদের শেষ হয়ে যায় রাত ১২.৩০ মিনিটে। কতো কষ্ট করে তারা নিজের পরিবারে টাকা দিচ্ছে। কতো পরিশ্রম করে হাজার হাজার প্রবাসী টাকা দিচ্ছে। পরিবারের অনেক মানুষ মনে করে এই দূর প্রবাসে প্রবাসীরা অনেক সুখে আছে। কিন্তু আমি বলব এই ধারণা একদম ভুল কারণ এখানে অনেক মানুষ অবৈধ ভাবে ও আছে। রাতে তারা ঠিক ভাবে ঘুমাতেও পারে না। তার ওপরে সারাদিন পরিশ্রম করতে হয় অনেক রোদ্দুর তাপের মধ্য।

যদি আমাদের আপন জন মানুষ গুলো আমাদের পরিশ্রম গুলো দেখত। তাহলে তারা বুঝতে পারতো আমরা কতোটা পরিশ্রম করছি এই দূর প্রবাসে। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা আজ নিজের পরিবার ছেড়ে বাইরের দেশে এসে পড়ে আছি। যাইহোক বন্ধুরা কংগ্রেট আমাদের এখানে আর বেশি কাজ হবে না। কারণ প্রোজেক্ট বর্তমানে শেষের মুখে। কিন্তু আমি যখন এসেছিলাম প্রতি দিন দুই বার করে কংগ্রেট করার জন্য মানুষ ওপরে যেতো।

কোন মানুষ রাত বারোটা বা একটা পর্যন্ত কাজ করতো আবার কোনো মানুষ রাত একটা থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত কাজ করতো। সারারাত জেগে তারা পরিশ্রম করেছে আমি অনেক মানুষের দেখেছি। রাত ২ টা পর্যন্ত কাজ করে আবার সকালে আমাদের সাথে কাজে যেতে। যাইহোক আমিও মধ্য রাত জেগে সকালে কাজে যেতাম। খাওয়া-দাওয়ার সময় খুব বেশি পেতাম না। ঘুমানোর সময় খুব বেশি পেতাম না। কিন্তু খারাপ লাগা সবচেয়ে বেশি কাজ করে যখন নিজেদের রান্না করে খেতে হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে এসে যখন নিজের রান্না নিজেকে করতে হয় তখন সব চেয়ে বেশি খারাপ লাগে এই প্রবাসীদের।

কিন্তু কিছু করার নেই নিজেদের রান্না নিজেদের জামা কাপড় সবকিছু পরিষ্কার করতে হয়। প্রবাসী প্রবাসী নামটি এক ভয়ানক যারা প্রবাসী হয়ে আছে এক প্রবাসী অন্য প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারে তাছাড়া অন্য মানুষ বুঝতে পারে না তারা কতোটা কষ্ট কতোটা পরিশ্রম করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাচ্ছে।

ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন

@baizid123