হনুমান মন্দির

in Incredible India27 days ago

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।তবে গতকাল থেকে আমি ভীষণ অসুস্থ। যবে থেকে শীতের আবহাওয়া সবার গায়ে লাগতে শুরু করেছে, তবে থেকে আশেপাশে সবাইকে দেখছি এক এক করে অসুস্থ হতে। সবারই ঠান্ডা ,জ্বর, সর্দি।

IMG-20241129-WA0024.jpg

আমি ভগবানকে খালি ডাকছিলাম যেন পুজোর সময় এসব না হয়। স্বাভাবিকভাবে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা খুব ধুম ধুম করে হয় , সে তো সারা বছর ওই একটা পুজোতেই আনন্দ করবো বলে আমি শুধু নয়, সারা কৃষ্ণনগরের মানুষজন অপেক্ষা করে থাকে। তাই ওই সময় শরীর খারাপ করলে সত্যিই খুবই মন খারাপ হয়ে যেত ।

IMG-20241129-WA0027.jpg

দেখতে দেখতে পুজো পার হয়ে গেল। তারপরে অনেকটা দিন পার হয়ে গেছে। আর গতকাল থেকে আমি জ্বরে ভুগছি। হালকা ঠান্ডা লেগেছিল। কিন্তু বুঝতে পারিনি এরকম জ্বর চলে আসবে। সমস্যাটা জ্বর আসা নিয়ে হয় না ।হয় হচ্ছে গলা ব্যথা আর মাথা যন্ত্রণা। এ যে কি বিরক্তিকর। কারণ কোন কাজ ঠিকমতো করা যায় না।। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় খালি ঘুমায়ই।যাইহোক আশা করছি ৩-৪ দিন পরে আবার সুস্থ হয়ে যাব।

IMG-20241123-WA0000.jpg

আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমাদের শহরেরই একটি মন্দিরের কথা।
মন্দিরটি হওয়ার পর থেকে কখনো এই মন্দিরে আমি প্রবেশ করিনি। কিছুদিন ধরে নানান সমস্যায় দিনকাল চলছে। তবে আমি খুব ভগবানে বিশ্বাসী। ভগবান কে আমি খুব পরিমাণে ডিস্টার্ব করি বলা যেতে পারে।

IMG-20241129-WA0026.jpg

সারাক্ষণ ওই একজনেরই উপর আমার আস্থা থাকে। কিছুদিন আগেও যখন সমস্যায় পড়েছিলাম আমি ভগবানকেই বারবার ডাকছিলাম যেন সব ঠিক হয়ে যায়। আসলে সবকিছুর পরে তিনিই আছেন। এই সংসার, এই সম্পর্ক কোন কিছুই আমাদের সাথে থাকবে না। আমরা সকলেই পরমাত্মার অংশ। তিনি আমাদের সবকিছু। তিনি আমাদের সাথে সবসময় ছিলেন, আছেন এবং তিনিই থাকবেন।

IMG-20241129-WA0025.jpg

হিন্দু মতে হনুমানজিকে পুজো করা হয়। আমরা সবাই মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলতে থাকি "জয় বাজরংবলী"। অনেককেই হয়তো শুনে থাকবেন অনেকেই এই বিপদে ,ভয়ে সবসময় এই নামটি উচ্চারণ করে। বিশ্বাস করা হয় হনুমানজি সবার সংকট দূর করেন। হিন্দু ধর্ম মতে এবং পুরান কাহিনী অনুযায়ী হনুমান ছিল শ্রীরাম এর পরম ভক্ত। যারা রামায়ণ পড়েছে, তারা সকলেই হনুমানজির কথা জানে।

IMG-20241123-WA0006.jpg

আমি যে মন্দিরের কথা বলছি সেই মন্দিরটিও হনুমান মন্দির। অনেক কাল আগে ওই নির্দিষ্ট জায়গাতে অনেক হনুমান মারা গিয়েছে। কারেন্টের শক এ। ওখানকার এলাকাবাসী প্ল্যান করে এই মন্দিরটি স্থাপনা করেছে। এই মন্দিরে প্রত্যেকদিন পূজো হয়। আর মঙ্গল এবং শনিবারে মানুষের ভিড় এ মন্দিরের চাতাল ভরে যায়। আমি যেহেতু কখনোই যাইনি, সেদিন অর্থাৎ এই শনিবার আমি গিয়েছিলাম ।

IMG-20241129-WA0028.jpg

অন্যান্য মন্দির এ মোটামুটি ৯ টা থেকে সাড়ে নটা নাগাদ পুজো শুরু হয়ে যায়। গিয়ে দেখি ওখানে তখনো ব্রাহ্মণ আসেনি। মন্দিরের অপজিটে ঈশানের ড্রয়িং স্যারের বাড়ি। তাই সেখানে কিছুক্ষণ ওয়েট করলাম। দেখতে দেখতে যখন দশটা বাজে, তখন বাবা জানালো যে ব্রাহ্মণ এসেছে ।ব্রাহ্মণকে দেখে আমি চিনতে পেরে গেলাম। কারণ এই ব্রাহ্মণ আমাদের পাড়ার শীবতলা তে পুজো করে ।

IMG-20241129-WA0022.jpg

তারপর ওনাকে আমি সাহায্য করে দিলাম ঠাকুরের ফল কাটতে এবং এটা সেটা গোছাতে, সবকিছু গোছানো হয়ে যাওয়ার পর পুজো শুরু হল।আমি বসে বসে দেখছিলাম কত কত মানুষ আসছে, আমি যদিও হনুমান মন্দিরে এর আগে প্রবেশ করিনি ,তবে বাইরে থেকে দেখেছি অনেক জনকে মন্দিরে আসতে।।

IMG-20241129-WA0023.jpg

আর মন্দিরটা একদম হাই রোডের উপর। আমি যখন মার্কেটে যাই, তখন এই মন্দিরের সামনে দিয়ে যেতে হয়। মন্দিরের মধ্যে পাথরের মূর্তি রয়েছে হনুমানজির। সাথে রয়েছে রাম, লক্ষণ , সীতার মুর্তি। ছোটখাটোর মধ্যে মন্দিরটা খুব সাজানো গোছানো। যেকোনো মন্দিরে গেলে মনটা খুব ভালো হয়ে যায়। সবাই বলে মন্দিরে সমস্ত পজিটিভ এনার্জি থাকে। এ কারণেই মন্দির পবিত্র জায়গা।

প্রথমবার পুজো দিতে পেরে আমি খুব খুশি হয়েছি। সেদিনকে হাই রোডের উপর দিয়ে যখন মন্দিরের পাশ দিয়ে পাস করছি, সেদিনই আমি ভেবেছিলাম পরের দিন এসে পূজা দিয়ে যাব। ঠাকুর চেয়েছে তাই হয়তো যেতে পেরেছি। মন্দিরের আর কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে পুরো মন্দিরটিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ভগবান আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক।

Sort:  
Loading...

👋 Howdy @isha.ish! Your creation is amazing! ✨

image

Loading...
Loading...