পিংকি দির জন্মদিন উপলক্ষে
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার খুব কাছের এবং খুবই প্রিয় একজন মানুষের জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত আর আমার মনের কিছু কথা।
ছবিতে দেখেই বুঝতেই পারছেন এটা আমাদের পিংকি দিদি ।যেহেতু কমিউনিটিতে পোস্ট করে তাই সকলেরই প্রায় পরিচিত। পিঙ্কিদির সাথে আমার আলাপ আমি যখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি তখন থেকে।তবে আমার পরিবারের সাথে ও তার আগে থেকেই জড়িত ।কারণ আমার পরিবারের একজনকে ও তখন টিউশন পড়াতো। আমার থেকে ও কয়েক মাসের ছোট বড়। তবে একটা ক্লাসের গ্যাপ রয়েছে। আমি যখন টুয়েলভে ,ও তখন ইলেভেন।
ইলেভেনে উঠে যখন বুঝতে পারলাম উচ্চমাধ্যমিকে একটা দারুন রেজাল্ট করতে হবে, তার সাথেই তখন মাথার মধ্যে প্রচুর চিন্তা ভাবনা ।তখন ভেবে নিয়েছিলাম গাইডেন্স এর জন্য আমি কারোর সাহায্য নেব এবং সে আমাকে বন্ধুর মতন গাইড করবে। ওই সময় ওর সাথে আমার পরিচয় ।ওর কথা আমি প্রচুর শুনেছিলাম আমার দিদির কাছ থেকে। ওর নামে যার কাছেই শুনতাম, সকলেই খুব প্রশংসা করত।
মাধ্যমিকে ও ওর স্কুলে সবথেকে highest মার্কস পেয়েছিল। মেয়েটা ভীষণ পরিশ্রমী এবং খুবই ভালো মেয়ে। তাই ওর এত প্রশংসা শুনে আমি ঠিক করলাম পিংকিদিকেই বলবো আমাকে একটু গাইড করে দিতে । সত্যি বলতে ওই দু বছর ও আমাকে অনেক সহ্য করেছে। আমার সব রকম বদমাইশি সহ্য করেছে, আর এর সাথে আমার সবথেকে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিল।
ওর গাইডেন্সে উচ্চ মাধ্যমিকে রেজাল্ট খুবই ভালো করেছিলাম ,মাধ্যমিকের থেকেও। যেমন আমরা আড্ডা দিতাম ,ঘুরতাম ,বিভিন্ন ধরনের গল্প করতাম, তেমনভাবে পড়াশোনাটাও এগিয়ে ছিল। ও যে কি পরিমাণে পরিশ্রম করে চলেছে এখনো অব্দি, তা আমি নিজে স্বচক্ষে দেখে যাচ্ছি ,যবে থেকে ওর সাথে আলাপ হয়েছে ঠিক তবে থেকে।
পিংকি দিকে আমার কিছু বলার নেই ।শুধু ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা করে থাকি যে ওর যেন আরও ভালো হয়। যেভাবে ছোটবেলা থেকে নিজে এতটা পরিশ্রম করে এই জায়গায় পৌঁছেছে ও ,যেন আরো আরো ভালো হয় এবং ও যেন অনেক ভালো থাকে এটাই আমার চাওয়া।
সামনেই ওর বিয়ে। তাই ওর আগামী জীবনের জন্য আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং প্রার্থনা রয়েছে। ঈশানকে অর্থাৎ আমার ভাইকে ও বর্তমানে টিউশন পড়ায়। পিংকিদির গাইড করার পদ্ধতি একদম ভিন্ন ধরনের। বেশ অল্প বয়স থেকেই ও টিউশন পড়াচ্ছে, তাই সব বাচ্চা যে এক রকমের হয় না ।সেটা ও ভালো করেই জানে। কোন স্টুডেন্টকে কিভাবে গাইড করতে হবে, আমার মনে হয় ওর থেকে ভালো আমি আর কাউকে দেখিনি। ঈশান কে আমি দেখেছি ওর কাছে ঠিক ভালো ছেলের মতন হয়ে যেতে।।
নভেম্বরের আট তারিখ ওর জন্মদিন ছিল। ন তারিখ ছিল ওর পড়াতে আসার ডেট। সকালবেলায় যখন টের পেলাম ওর জন্মদিনের পোস্ট গুলো দেখে, তখনই ঠিক করেছিলাম ওর জন্য কিছু একটা সারপ্রাই প্ল্যান করব। ছোটখাটো হলেও।
এখন হয়তো সকলে যে যার মতন কাজে ব্যস্ত হওয়াতে সেই ভাবে যোগাযোগ হয় না ।আমরা সকলেই নিজেদের জীবন নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ি ,যে সেই সময়টুকু আর থাকে না, যে সময় গুলো আমরা আগে একসাথে কাটিয়ে এসেছি। তার সত্বেও একে অপরের প্রতি ভালোবাসা কোনদিনও কমে যায়নি। তাই ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগে আমি চেয়েছিলাম ওর জন্য একটা ছোটখাটো সারপ্রাইজ প্ল্যান করব।
এবার কেমন ভাবে সবকিছু হয়েছিল সেটা পরের পোস্টে শেয়ার করব আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।


Curated by : @ahsansharif