আল্লাহতালা মানুষকেই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে বানিয়েছেন।

in Incredible Indialast year (edited)

free-photo-of-man-cycling-in-city.jpegsrc

প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী,
উপস্থিত হয়েছি কিছু জ্ঞান সম্পন্ন লেখা নিয়ে। আমরা হলাম সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহতালা এই পৃথিবীতে কত প্রকার জীব তৈরি করেছেন যা কল্পনার বাহিরে। এত জীব এর মধ্য থেকে মানব জাতিকে কেন সৃষ্টির সেরা জীব বলেছেন।

এর মধ্যেও অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে অন্যতম জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি। বোঝার সক্ষমতা এবং বলার সক্ষমতা। স্বাধীনতা দিয়েছে মানবজাতিকে।

এখন আমি একটু স্বাধীনতা নিয়ে বলি তাহলে। মানব জাতিকে কেমন স্বাধীনতা দিয়েছে এবং মানব ব্যতীত অন্য জীবদের কেমন স্বাধীনতা দিয়েছে:-

মানবজাতি সৃষ্টি করার পর তার মধ্যে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছে, দিয়েছে বোঝার সক্ষমতা এবং বলার সক্ষমতা। চিন্তাধারার মাধ্যমে সঠিক উত্তর জানতে পারবে এই মানব জাতি। আল্লাহতালা এই মানব জাতিকে দিয়েছে দুটি পথ সঠিক পথ এবং অসৎ পথ।

মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তুমি কোন পথে চলবে সঠিক পথে নাকি অসৎ পথে? এবং দেয়া হয়েছে তার মধ্যে জ্ঞান বুদ্ধি এবং ভালো-মন্দ বোঝার সক্ষমতা। সেই জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে তুমি কোন দিকে যাবে ভালো পথ নাকি মন্দ পথ?

pexels-photo-45072.jpegsrc

বর্তমান সময়কে যদি আমি উল্লেখ করি তাহলে দেখা যায় বর্তমানে অধিকাংশ ব্যক্তি যেন কোন একটি ঘোরের মধ্যে আছে। ঘোর বলতে বুঝিয়েছি, তারা এখন আর কেউ জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করে না, তার হাতে সময় নেই। কিন্তু যেখানে অসৎ কাজ হয়, সময় অপচয় হয় সেই জায়গায় তার মেধা অপচয় করে। তাহলে সে সঠিক পথ ভালো মন্দ বোঝার সক্ষমতা কিভাবে পাবে! এভাবেই তো মানুষ দিন দিন গোমরাহের পথে ধাবিত হচ্ছে।



এখন আমি বলব মানব ব্যতীত অন্য জীব তাদের স্বাধীনতা কেমন:-

আমি যদি উল্লেখ করি আপনি যদি আপনার বাসায় একটি গৃহপালিত পশু পালন করে থাকেন তাহলে দেখবেন তাদের কিন্তু স্বাধীনতা নেই আপনি যেভাবে সেই গৃহপালিত পশুকে লালিত পালিত করতেছেন শেষ এভাবেই গড়ে উঠতেছে।

তাদের কিন্তু কোন হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি নেই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কথা বলার সক্ষমতা ও দেননি বরং পশু পশুদের কথা বুঝতে পারবে কিন্তু মানুষ নয় যে কারণে তাদের কোন বিপদ কিংবা অসুস্থ হলে মানুষ বুঝতে পারে না বরং বুঝতে পারে যখন সে একদম অসুস্থ হয়ে পড়ে শারীরিকভাবে বোঝা যায় তখনই একমাত্র মানুষ বুঝতে পারে।

pexels-photo-535431.jpegsrc

অন্যদিকে বন্যপ্রাণী তাদেরও একটি গোষ্ঠী রয়েছে তারা সেই গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যখন সেই বন্যপ্রাণী তাদের দল থেকে বহির্ভূত হয় তখন হিংস্র প্রাণীগুলো আক্রমণ করার চেষ্টা করে।



এক কথায় বলতে গেলে প্রত্যেক প্রাণীকে সৃষ্টি করেছে একমাত্র মানবজাতির জন্য। কিন্তু মানব জাতি কই তারা কখনো আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি নিয়ে কি গবেষণা করে, চিন্তা ফিকির করে? হ্যাঁ একদমই কম মানুষ। যারা গবেষণা করে চিন্তা ফিকির করে তারাই আল্লাহ তায়ালার কুদরত সম্পর্কে বুঝতে পারে এবং তার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে।

মানব জাতিকে কিন্তু একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেই গাইড লাইনের মধ্য দিয়েই চলাফেরা করবে এর বাহিরে যখন যাবে সে তখন স্বাধীন। এই স্বাধীন বলতে বুঝানো হয়েছে অসৎ পথ অবলম্বনকারীকে।

pexels-photo-698207.jpegsrc

তাহলে আমরা কি স্বাধীন নই পরাধীন? অবশ্যই আমি বলব আপনি যদি আল্লাহতালার দেখানো পথ অনুসরণ করেন তাহলে আপনি কখনোই আপনার স্বাধীনতায় আপনি তুলতে পারেন না। কেননা এই পৃথিবীতে আপনাকে পাঠানো হয়েছে সীমিত সময়ের জন্য।

এরপর যে অনন্তকাল রয়েছে সেটাই হচ্ছে আপনার স্বাধীন সময়। সেখানে আপনার চাওয়া পাওয়া কোন কিছুই অভাব থাকবে না। নাজ নেয়ামতে ভরপুর। এজন্যই তো আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। কেননা মানব জাতিকে দেওয়া হয়েছে জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক। যার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তায়ালার দেয়া পথ অনুসরণ করবে এবং সেই অনুযায়ী তার জীবনকে পরিচালনা করবে।

কিন্তু এখন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। যে মানুষ আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হতে চাই হতে চায় সে তার পেয়ারা বান্দা।



কথা বললে কিংবা লিখলে শেষ হবেনা, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আজকের মত এ পর্যন্তই আমার লেখা সমাপ্তি করছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখা নিয়ে এসে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন।

10% for beneficiary in community @meraindia account

25% to beneficiary @null account for price increase.


jakaria121.png


The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram


Htq.gif


20230729_080759_0000.png

Sort:  
Loading...
 last year 

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালার যত সৃষ্টি আছে সবগুলোর মধ্যে তাদের কৃতকর্মের হিসাব নেওয়া হবে জিন এবং ইনসানের৷ মহান রব আমাদের চলাফেরার গাইড লাইন দিয়েছেন। যে পথে চললে আমরা সফল হতে পারবো। কিন্তু দুনিয়ার চাকচিক্য আমাদের রবকে ভুলিয়ে রেখেছে। যেহেতু দিনশেষে আমাদের রবের দিকেই ফিরতে তাই তার দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ীই আমাদের চলা উচিত৷

মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব নির্বাচিত করেছেন। তাই বলে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে যাব না। আমরা যখন সৃষ্টির সেরা জীবের যে কাজ, সে কাজ যদি করি, তাহলে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পরিগণিত হব। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীমের মধ্যে বলেছেন, তোমাদেরকে বের করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষকে ভালো কাজের আদেশ করবে, মন্দ কাজে নিষেধ করবে। অর্থাৎ দাওয়াতের কাজ। এছাড়াও নবীর হাদিসে বলা হয়েছে, তোমরা যদি একটি আয়াত বা হাদীসও জানো তা‌ অন্যের নিকট পৌঁছাও। অতএব যখন আমি এই কাজ পরিপূর্ণভাবে করতে পারব, তখনই আমি শ্রেষ্ঠ মাখলুকাতের কাতারে দাঁড়াতে পারবো।

আপনি সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন, যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রতি শুভকামনা দোয়া রইল। আপনাকে শ্রেষ্ঠ মাখলুকের কাজগুলো করার তৌফিক দান করুক আমিন।

 last year 

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন এবং আমাদের স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করার সুযোগ করে দিয়েছেন ৷ কিন্তু আমরা সেই সুযোগ কে কাজে না লাগিয়ে নানা ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত হতে থাকি বা অপরাধ মূলক কাজ গুলো করে থাকি ৷ আমরা সেরা জীব হিসেবে এই কর্মকাণ্ড আমাদের মানায় না ৷ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবকিছুই দিয়েন জ্ঞান , বুদ্ধি বিবেক এগুলো আমাদের সৎ কাজে লাগাতে হবে ৷

যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ৷

 last year 

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে এত প্রাণী থাকতে মানুষকেই কেন সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়। কারণ মানুষের মধ্যে বিবেক দিয়েছে আর সৃষ্টিকর্তা মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্য।

বর্তমান সমাজে দেখা যায় মানুষ সৃষ্টিকর্তা চাইতে মানুষ মানুষকে এবাদত করে। আর পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে তারা স্বাধীন নয় যেমন আপনি একটি গৃহপালিত প্রাণী দিয়ে বুঝিয়েছেন।।

আরো বেশ কিছু আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি পড়ে এবং অনেক গান সম্পর্ক জানতে পেরেছি।। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।।

 last year 

একদম সত্য কথা ভাই, আমরা আল্লাহর গোলাম হয়ে এখানে এসেছি, আমাদেরকে গাইডলাইন দিয়ে পাঠানো হয়েছে এবং যা মেনে চললে আমরা পরের জামানায় স্বাধীনতা পাবো। ইচ্ছে মত যা খুশি তাই করতে পারবো। কিন্তু এখন না। তাই এখন আমাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই চলতে হবে। এতেই আমাদের সবার জন্যে ভালো হবে।

 last year 

আদম জাতি কে মহান রাব্বুল আলামিন সমস্ত জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন এটি দেখার জন্য যে কে কর্মে উত্তম। শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্য তিনি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আর বাকি সকল কিছুই তিনি তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। তবে মহাপরাক্রম ও শক্তির ভান্ডার তিনি তার নিজের কাছেই রেখেছেন। এটি তাঁর হিকমত। তিনি মানুষের জন্য পুরস্কার স্বরূপ নাজ নেয়ামতে ভরা জান্নাত রেখেছেন। আপনার লেখায় এই কথাগুলির সম্যক ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। খুব ভালো লাগলো পড়ে।

উপরওয়ালা অনেক কষ্ট করে অনেক মেহনত করে মানুষকে বানিয়েছেন। আর এখন বেশীরভাগ মানুষ অসৎ পথ অবলম্বন করে, অসৎ উপায়ে সর্বক্ষণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে বেশি টাকা রোজগার করা যায় সেটা অন্য মানুষকে ঠকিয়েই হোক বা অন্য মানুষকে খুন করেই হোক বা অন্য কোনো অসৎ উপায়েই হোক। মানুষ আজ এক ভোগ-সর্বস্ব পণ্যে পরিণত হয়েছে। উপরওয়ালার সৃষ্ট সেরা জীব মানুষ তার নিজের কর্মফলের জন্যই তার এই দুরবস্থার জন্য দায়ী আজকের যুগে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের কতটা সম্মান দিয়েছেন আমাদের কে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন কিন্তু তাও আমরা তার ইবাদত করি না।সব সময় মিথ্যা কথার মধ্যে থাকি। আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে কিছুই চায় না শুধু তার ইবাদত টা ঠিক করে আদায় করতে বলেছেন।আমরা সকলেই আল্লাহ তাআলা তার পথে চলার তৌফিক দান করুক আমীন। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।