পিকাচুর ড্রয়িং
আমার বড়দের আমি সকলকে প্রণাম জানাই। এখন বিকেল হতে চলল। আমি আজকে স্কুল থেকে এসেছি অনেক আগে। তবে আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে আজকে আমাদের হাফ স্কুল হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে ব্যাপারটা কেউ জানতো না। যখন দেড়টা বাজে তখন ছুটি হয়ে গেল। এদিকে আমিও বুঝতে পারলাম যে বাড়িতে জানানো হয়নি। তাই বসে থাকতে থাকতে অবশেষে আমি আমার এক স্যারের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করলাম। সবাই চলে গিয়েছিল স্কুল থেকে। শুধুমাত্র আমি আর আমার এক বন্ধু ছিলাম।
এর আগেও এরকম হয়েছে। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আমার খুব একটা ভয়ডর নেই। তারপর বাড়িতে আসতে আসতে দুটো তিরিশ বেজে গেল। আমি বাড়িতে মায়ের কাছে ফোন করেছিলাম। সাথে সাথে আমার বাবা আমাকে স্কুল থেকে নিয়ে গেছে। তারপর আমি খাওয়া-দাওয়া করে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
প্রত্যেকদিনের মত আজকেও এসে দেখি দিদি আমার জন্য ভিডিও এডিটিং করে রেখে দিয়েছে। সাথে ওর চ্যানেলে পোস্ট করা হয়ে গেছে।। তাই ভাবলাম পোস্টটা এখন করে ফেলি। তবে ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণে আমার পোস্ট করতে দেরি হয়ে গেল।
আজকে আমি একটা পিকাচুর ছবি এঁকেছি। গতকাল সকাল থেকে আমার অনেকগুলো পড়া ছিল। মাঝে স্কুল ছিল। তাই রাতের বেলায় যখন ঘুমোতে যাই তার আগে আমি ছবি আঁকছিলাম। গতকাল সারাদিন আমি ছবি আঁকার সময় পাইনি। রাতের বেলায় ছবি আঁকতে বসে কিছুতেই ইচ্ছা করছিল না অনেকক্ষণ সময় লাগবে এমন কোন ছবি আঁকি। তাই ছোটখাটর মধ্যে ছবিটা এঁকেছি।
আমরা তো পোকেমন আর পিকাচুর কথা জানি। আর আমার খুব পিকাচুকে ভালো লাগে। যদিও পোকেমন কার্টুন দেখার কখনোই সুযোগ হয়নি। তবে পিকাচু অনেক কিউট। পিকাচু যেভাবে সাউন্ড করে পিকাচু বলে। সেটাকে আমার আরো ভালো লাগে। আপনাদের পোকেমন কেমন লাগে আমাকে জানাবেন। আমি আজকে পিকাচু ছবি পরপর ধাপে ধাপে দেখাবো। তাহলে শুরু করা যাক।
লিংক
আমার প্রত্যেকটা ছবি আঁকা আমি এইভাবে ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।। তবে যেহেতু আমার নিজস্ব কোন চ্যানেল নেই তাই আমি আমার দিদি চ্যানেল থেকেই প্রত্যেকটা ভিডিও রোজ পোস্ট করছি। ভিডিওর পাশাপাশি আপনারা নিচের ধাপগুলো লক্ষ্য করতে পারেন।
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি আমার ড্রইং খাতাতে পিকাচুর ছবি এঁকে নিচ্ছি আমার মেকানিক্যাল পেন্সিলের সাহায্যে। হালকা হালকা করে পিকাচু ছবিটা একে নিচ্ছি। আমি বেশি বড় করে আকিনি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর পিকাচুর বডি র পোরশন টুকু একে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার আমি একটা কালো পেনের সাহায্যে আউটলাইন গুলোকে করে নিচ্ছি যাতে দেখতে ভালো লাগে। হালকা হালকা পেন্সিলের দাগ দেওয়া থাকলে জিনিসটা ফুটবেনা।
চতুর্থ ধাপ
এবার আমি কালো কালির সাহায্যে এই পিকাচু চোখ এবং কানের কিছুটা জায়গা করে নিচ্ছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার আমি স্কেচ পেন ব্যবহার করব। স্কেচ পেন ব্যবহার করে আমি এখানে পিকাচুর গায়ে হলুদ রং করছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার আমি হলুদ রঙের ব্রাশ পেন ব্যবহার করছি।।
সপ্তম ধাপ
পিকাচুর গালে লাল রং দিয়ে ভরাট করে নিচ্ছি আর তারপর পিকাচুকে আরো কিউট লাগছে। লেজের জায়গাটা বাদামি রং দিয়ে কাজ করছি।
ফাইনাল ছবি
এইভাবে তৈরি হয়ে গেছে, খুব সহজে পিকাচুর ছবি। আমার খুব আফসোস হচ্ছে যদি আমি ছবিটা বড় করে আঁকতাম কতই না ভালো হতো।
আমি ঠিকঠাক ভাবে সময় পায়নি বলে আমি যে যেমন ভেবেছিলাম সেরকম আঁকতে পারিনি। আজকে রাতে সময় পেলে অবশ্যই অনেক ভালো একটা ছবি আঁকবো। আর সেই ছবিটা আপনাদের সাথে কালকে শেয়ার করব। আজকে টাটা।
স্কুল থেকে ফেরার সময় সব সময় অভিভাবকদের সাথে ফেরা প্রয়োজন, আপনি খুব সুন্দরভাবে পিকাচুর ছবি অংকন করেছেন, ছবিটা আরেকটু বড় করে অংকন করলে আরো বেশি ভালো লাগতো, সবই অংকনের প্রতিটা স্টেপ খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর আর্ট পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি প্রত্যেকদিন আপনার আঁকা ড্রয়িং গুলো দেখি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আপনার আঁকানো ছবিগুলো। সবচাইতে বেশি ভালো লাগে আপনি ধাপে ধাপে সবগুলো বর্ণনা করেন। সুন্দর চিত্র আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগল! পিকাচুর ছবি আঁকার প্রক্রিয়া খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার প্রতিটি ধাপে ধাপে কাজ করার পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুবই যত্ন সহকারে এবং সৃজনশীলভাবে ছবি আঁকছেন। পিকাচু সত্যিই কিউট এবং আপনার আঁকা ছবিটি দারুণ হয়েছে!