Better Life with Steem || The Diary Game || March 18, 2024
- ব্যস্ততার মাঝে আমার আজকের সারাদিন
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি যেভাবে রেখেছেন যে পরিস্থিতি তে রেখেছে আলহামদুলিল্লাহ।
- আজ সেহরি খেতে উঠেছিলাম ৩ঃ০০ টা বাজে ৪০ মিনিট, টেবিলে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে খাবার খাওয়া শেষ করি। খাওয়া শেষে থালা বাটি গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে রেখে দিলাম যেহেতু বাসায় থাকবো না তাই সাথে সাথেই করে নিলাম। ভেবে ছিলাম আজানের আগে আর একটু পানি খাব তবে তার আর সৌভাগ্য হয়নি এর আগেই আজান পড়ে গিয়েছে। এরপরে ফজরের নামাজ আদায় করি।
- আজ আর ঘুমাতে যায় নি কারণ, আমরা সাড়ে ছয়টায় বাসা থেকে বের হবো, এরপরে সব কিছু গুছিয়ে রেডি হয়ে নিলাম ।গাড়ি আসলো আমরা বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ি । ৮:৪৫ এ গাড়ি ছিলো তাই ঠিকমত গিয়ে কাউন্টারে পৌঁছে গিয়েছি। তবে সেখানে গিয়ে যে ঝামেলা টা হয়েছে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করলেই নয়।
- আমাদের গাড়ি আসার কথা ছিল আটটা ৪৫ মিনিটে আমরা ৮ঃ১০ এর মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম বাসস্ট্যান্ডে। সাড়ে নয়টা বেজে যায় তবুও গাড়ি আসার কোন খবর নাই। পরবর্তীতে জানতে পারলাম আমরা যে গাড়িতে যাব সাকুরা পরিবহন, সেটা নাকি মস্তাপুরে এক্সিডেন্ট করেছে, এবং তিনজন ব্যক্তি মৃত সজ্জা মত অবস্থায়, এটা শুনে তো মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল এমনিতে এই দেড় ঘন্টার মত বসে রয়েছি। এরপরে আমি অন্য একটা গাড়িতে টিকিট কেটে উঠে পড়ি রাজৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত আসার জন্য।
- এরপরে গাড়িতে উঠে পড়ি, দুই জনের ১১০০ টাকা নিয়েছিল টিকিটে এরপরে বেশ কয়েক ঘন্টা পর আমরা কুড়িল বিশ্বরোড এসে নেমে পড়ি। এবং সেখান থেকে একটা সিএনজি নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত আসি, আমার খালা শাশুড়ির আম্মার বাসাতে, যেখানে আমাদের পাঁচ ঘন্টা সময় লাগতো আসতে সেখানে নয় ঘন্টা সময় লেগেছে। তার পিছনে অন্য একটা কারণ ছিল জ্যামে পড়া ।
বাসায় ঢুকে কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম, এরপরের গোসল করে এসেছি ভেবেছিলাম একটু ঘুমিয়ে থাকবো তবে এত জার্নি করার পরে আর ঘুম আসছিল না। এরপরে আমার আম্মুর সাথে কথা বলে মেয়ের খবর নিলাম। হাজবেন্ডের সাথে কথা বললাম। শরীরটা এত বেশি ক্লান্ত লাগছিল শুধু মাথা ঘুরতে ছিলো। এরপরে আসরের আযান দিলো এবং সাথে সাথে নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ শেষে খালা শাশুড়ি আম্মার সাথে সাথে ইফতারি তৈরি করার কাজে একটু সাহায্য করলাম। শরবত তৈরি করেছি ।টেবিল গুছিয়ে ছিলাম সবাই জন্য ইফতারি সাজিয়ে রেখে সবাই মিলে বসে পড়লাম। যেহেতু আমি এখানে মেহমান তাই আর, নিজের বাড়িতে যেমন হুট হাট ছবি তুলি সেটা এখানে করিনি।😀 এরপরে ইফতারির সময় হলো এবং সবাই মিলে ইফতারি সম্পূর্ন করি।
- এরপরে মাগরিবের নামাজ আদায় করি ও কিছু টা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম। এবং রেস্ট নিতে নিতে পোস্টে লেখা শুরু করছিলাম,,,,,,,, যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সেহেরি খেয়েছিলেন এবং সাথে সাথে থালা বাসন ধুয়েছিলেন। তারপর সব কিছু গুছিয়ে বাস স্টান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। আপনাদের যে গাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো সেটা নাকি এক্সিডেন্ট করেছে এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। রাস্তায় বেরোনো এখন খুব রিস্ক হয়ে গিয়েছে।।
ধন্যবাদ আপনাকে।।।
ঢাকা যাওয়ার সময় এই একটা সমস্যা জ্যাম এর মধ্যে পড়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। ৫ ঘন্টার রাস্তা আপনারা নয় ঘন্টা কাটিয়ে দিতে হয়েছিল। যাই হোক সঠিকভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন এটাই শুকরিয়া আদায় করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। ধন্যবাদ ব্যস্তময় জিনিস অনেকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঢাকায় এসে এই গরমের মধ্যে গাড়িতে বসে থাকা যে কত বড় একটা কষ্টদায়ক। এটা আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে।
আসলে গাড়ির মধ্যে উঠলে সামান্য পরিমাণ একটু বাতাস পাওয়া যায়, যদি জানালার পাশে বসা যায়। কিন্তু তারপরেও যখন জ্যামের মধ্যে পড়ে তখন অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। আপনাদের তো অনেক বেশি লেট হয়েছিল। তাই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে ধন্যবাদ।
জামের কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে আপনার দীর্ঘ সময় লাগলো। যাক তারপরও সহিসালামতে পৌঁছেছেন এটাই বড় কথা। আর এটা ঠিক বলেছেন হুটহাট করে যে কারো বাসায় ছবি তোলা যায় না। আপনি ঢাকা শহর সফর শুভ হোক এই কামনা করছি।
একদম ঠিক বলেছেন কোথায় গিয়ে ওঠার ছবি না করাই ভালো কারণ সবাই চিন্তাভাবনা একরকম হয় না।। আর ব্যাপারটা কেমন জানি একটু নিজের কাছে ও লাগে।
রোজা রেখে এটা ছিল আমার প্রথম এত বড় একটা জার্নি। তাই একটু বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
আপনার শাশুড়িকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন, এবং যেখানে যেতে পাঁচ ঘন্টা লাগে সেখানে যেতে নয় ঘন্টা লেগেছে জ্যামের কারণে। জ্যামে থাকা এত একটা বিরক্ত করে যেটা বলে বোঝানো যায় না।
যাক অবশেষে শাশুড়িকে নিয়ে ঠিকমতো পৌছাতে পেরেছেন এটাই অনেক শুকরিয়া । আর আপনিও ভালো থাকবেন আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল থ্যাঙ্ক ইউ।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এক্সিডেন্টের কারণে আপনাকে অন্য একটা গাড়িতে করে ঢাকার পথে রওনা দিতে হয়েছে। এছাড়াও রাসতায় জ্যাম থাকার কারণে আপনাকে ৫ ঘন্টার রাস্তা নয় ঘন্টায় আসতে
হয়েছে।
তবে এই রোডে সাধারণত জ্যাম পরে না। আজকে হয়তোবা আপনার ভাগ্যটাই খারাপ ছিলো। ঠিকই বলেছেন অন্য মানুষের বাসায় গেলে নিজের বাসার মতো হুটহাট করে ছবি তোলা যায় না।
আপনি এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার দিনলিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এতো চমৎকার করে দিনলিপি শেয়ার করে দেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ একদম তাই আমার একটা বড় আপু এ কথাই বলছিল এই রোড টা তে খুব একটা জ্যাম পড়ে না, তবে আমার কপালটা খারাপই ছিল ।
প্রতিদিনের মতো সেহরির সময় উঠে খাবার খেয়েছেন। বাইরে যাবেন বলে বিধায় বাসার সব কাজকর্ম রেডি করে রেখেছেন। আপনাদের বাসে যাওয়ার কথা ছিল সেই বাস অ্যাক্সিডেন্ট করেছে এজন্য আপনাদের যেতে একটু সময় বেশি লেগেছিল। ধন্যবাদ সারা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।