Betterlife : The Diary Game ( 15/03/2024) আমার চতুর্থ রোজার সারাদিন যেভাবে কেটেছে।
Photo edited by canva
আমার চতুর্থ রোজার সারাদিন যেভাবে কেটেছে |
---|
Hello,
Everyone,
আমার শাশুড়ি ডাকে ঘুম টা ভেঙ্গেছে, উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাবার ঘরে চলে গেলাম। ভাত সহ অন্যান্য খাবার গুলো একটু গরম করে নিলাম। এর মধ্যে শ্বশুর আসলো এবং আমরা সবাই মিলে এক সাথে সেহরি খাওয়া সম্পূর্ণ করি।
সেহরি খাওয়া শেষ করে, ওজু করে রুমে চলে আসি এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে সাথে একটা কলা ছিলো, এরপরে কিছুটা সময় নিয়ে দুধটা খাওয়া শেষ করি, এর কিছু টা সময় পরে এই সেহরি খাওয়ার সময় শেষ হলো, এবং আমি ফজরের আযানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আযান হয়ে গেল, সাথে সাথে আমি ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমাতে চলে গেলাম।
এরপরে আট টা বাজে ঘুম থেকে উঠেছি, উঠে মেয়ে কে সকালের নাস্তা খাইয়ে দিলাম।সাথে আমি ঘরের জমে থাকা কিছু কাজ করি। কাজ করা শেষে আমার আম্মু সাথে কিছু সময় কথা বলি, কথা বলা শেষ হতে না হতে কারেন্ট চলে গেল, এত বেশি গরম ছিলো রুমে থাকাই অসম্ভব।
তাই মেয়েকে নিয়ে পুকুর পাড়ে চলে আসলাম দখিনা বাতাস গায়ে লাগানোর জন্য, এখানে এসে সত্যি মন টা ভরে গেল, এত ব্যাথা মনে হচ্ছে যেন আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। এরপরে, মেয়ে কে নিয়ে আমি খুব সুন্দর একটা সময় কাটালাম, এখানে এসে খুব ভালো লাগছিলো। পাশে ছিল আমাদের ধান ক্ষেত সব মিলে খুব সুন্দর একটা পরিবেশ।
এখানে একসাথে তিন টা পুকুর, এবং প্রতি টা পুকুরের পাড়েই নতুন মাটি কাটা হয়ে ছিলো কয়েক দিন আগে, এবং পুকুর পাড়ে গুলোর মাটির ফেটে ফেটে চৌচির হয়ে রয়েছে। বৃষ্টির জন্য হাহাকা করছে, এখন বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হতো, যারা ধান চাষ করছে তাদের ধানগুলো ও অনেক সুন্দর হতো, শুধু পুকুর পাড় নয়, এখানে ছোট্ট একটা পুকুরের পানি ও শুকিয়ে গিয়েছে।
এরপরে আমরা দুই জনে মিলে কয়েক টা এলোমেলো ফটোগ্রাফি করি। দেখতে দেখতে এখানে অনেক টা সময় পার করলাম কিন্তুু বাসায় যেতে মন চাচ্ছিল না,এত সুন্দর বাতাস রেখে! যদি সে রকম ব্যবস্থা থাকতো বাতাস নিয়ে যাওয়ার তাহলে হয়তো তাই করতাম।😜 এরপরে বাড়ি ফিরে আসি।
বাসায় এসে গোসল করে নিলাম, এরপরে কিছুটা সময় কোরআন তেলাওয়াত করি। এবং মেয়েকে দুপুরের খাবার খাইয়ে আমি যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম ফোন হাতে নিয়ে। তবে কোন ফাঁকে যেন ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম।
এরপরে, ওঠে ইফতারি তৈরি করার জন্য কাজে লেগে পড়ি, প্রথমে শাশুড়ি আম্মাকে তরকারি কেটে দিলাম। সাথে ইত্যাদি অনেক কাজ করে ছিলাম, তারপরে আছরের আজান হলো এবং নামাজ পড়ে ইফতারি তৈরি করার জন্য রান্নাঘরে চলে গেলাম।
একে একে বেগুনি, আলুর চপ, ডালের বড়া, শরবত, ইত্যাদি সব কিছু রেডি করি। এরপর ইফতারির সামনে নিয়ে বসে পড়ি, দোয়া দরুদ পড়তে পরতে আযানের অপেক্ষায় থাকি। এবং মাগরিবের আজান হলো সেই সাথে সবাই মিলে ইফতারি সম্পূর্ণ করি। ইফতারি শেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করি।
এরপরে বিছানায় গিয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম, শরীর টা বেশ ক্লান্ত লাগছিলো তবে রেস্ট নিতে নিতে এই পোস্ট টা লেখা শুরু করে ছিলাম। আর ধীরে ধীরে লিখে সম্পূর্ন করেছি। তবে পোস্ট টি করতে পারিনি, কারন রাতে কারেন্ট ছিল না, এরপরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
আপু প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে আপনার মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে। রোজা থেকে এমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো সত্যি দারুণ ব্যপার। এমন প্রকৃতিতে যে কারোর মন ভালো হয়ে যাবে।
আপনার রোজার দিনগুলো অনেক ভালো কাটছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই আপনার আগামী দিনগুলো কাটুক সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অসম্ভব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। একদম ঠিক বলেছেন এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে সময় কাটাতে ভালোই লাগে।।
আপনারা মা-মেয়ে দুজনে মিলে সকালবেলা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। প্রাকৃতিক ঠান্ডা হাওয়া বাতাস ঠিকই গায়ে লাগলে খুব ভালো লাগে।
মনটা একদম ঠান্ডা বাতাসে শীতল হয়ে যায়।
আপনার চতুর্থ রোজার দিনগুলো খুব ভালো কাটলো আপনার পোস্টি পরে জানতে পারলাম। থ্যাঙ্ক ইউ খুব সুন্দর একটি দিন উপভোগ করলেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
একদম ঠিক প্রাকৃতিক ঠান্ডা বাতাস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, আপনার মন যতই খারাপ থাকুক না কেন এরকম শীতল পরিবেশে গেলে অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে।
শাশুড়ির ডাকে ঘুম থেকে উঠে সেহেরির জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন এবং সবাই মিলে সেহেরি সম্পন্ন করেছিলেন। মেয়েকে নিয়ে পুকুরপাড়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে কিছু সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছিলেন। বিকালে ঘুম থেকে উঠে ইফতারি তৈরির কাজ করেছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।।
যেহেতু রমজান মাস প্রতিদিন দুপুর থেকে শুরু হয় ইফতারি তৈরি করার আয়োজন।
আর সবার এর জন্য একটু তৈরি করে একসাথে ইফতার করার আনন্দটাই অন্যরকম।
আপনার মেয়ে তো ছবি উঠানোর সময় পোচ ভালই দিতে পারে মা মেয়েকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।। আসলে পুকুর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক ভালো লাগে।।
হুম একদম ঠিক ধরেছেন পোচ না দিলে ছবি সুন্দর উঠবে কি করে বলুন তো।
একদম সঠিক আর হ্যাঁ পোচটা কিন্তু মায়ের কাছেই শিখেছে 😆😆 আপু মজা করলাম ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।।
বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণে গরম যার কারণে কারেন্ট চলে গেলে, ঘরে থাকাটা একেবারেই মুশকিল। তাই আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে পুকুর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে মাটি এবং পানি দুইটাই শুকিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মেয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে অনেক বেশি খুশি। যেটা ওর ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বাতাস কখনো নিয়ে আসা যায় না, যদি নিয়ে আসা যেত তাহলে মানুষ বস্তা করে রেখে দিত। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন
গ্রামে গরম এত বেশি কারেন্টের ঝামেলা করে এক ঘন্টা কারেন্ট থাকলে ,,বাকি তিন ঘন্টা থাকে না আরও তো রমজান মাস একেবারেই খারাপ অবস্থা হয়ে যায়।
কি আর বলবো? আমাদের এখানে সকালবেলা যদি কারেন্ট যায় তো সেই চারটের সময় কারেন্ট আসে বিকেল বেলা। অবস্থায় একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। তারপরে বাতাস কোন কিছুই নেই, পরিবেশটা কেমন থমকে আছে। জানিনা কিভাবে দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে।