আমরা পাঁচ বন্ধু( প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম।আশাকরছি সবাই ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গল্পের শুরুতেই বলে রাখি, এই গল্পটির সম্পূর্ণই আমার কাল্পনিক!
গল্পের শুরুতেই বিশেষ কিছু ক্যারেক্টারের নাম আমি বলে দিচ্ছি। গল্প বুঝার জন্য খুব সহজ হবে।
- প্রধান চরিত্র - জাফর
- দ্বিতীয় চরিত্র- হেলাল
- তৃতীয় চরিত্র- করিম
- চতুর্থ চরিত্র-মিনহাজ
- পঞ্চম চরিত্র-সজল
এই পাঁচ বন্ধু নিয়ে আমার গল্প শুরু!
এই পাঁচ বন্ধু একই এলাকায় বসবাস করে। এই বছরে , এই পাঁচ বন্ধুই কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে, পরীক্ষা দিবে।এই পাঁচ বন্ধু একই সাথে ঘুরে - ও কলেজে যায়। আড্ডা দেয় তারা, আর কেউ তাদের সাথে মিশে না, ছোটবেলা থেকেই ।
একদিন হঠাৎ, এই পাঁচ বন্ধু মিলে সকাল বেলা বাসার থেকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হলো। কিন্তু তারা কলেজে যায় নাই। জাফর বলছে সজলকে, আজকে আমরা কলেজে যাব না। এই কথা শুনে মিনহাজ বলছে কলেজে যাবি না, তাহলে কই যামু, করিম চুপ - চাপ বসে রইলো। করিম কিছুই বলছে না, করিমের কথা হল সবাই, যে দিকে যাবে ঐই-ও-ওই দিকে যাবে।
পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আজকে সারাদিন তারা একটি গ্রামে যাবে। কেননা ছোটবেলা থেকে তারা শহরে বেড়ে উঠেছে। শহরের সম্পর্কে তারা অবগত কিন্তু তারা গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ গ্রামের মানুষ এই সব কিছু তারা বই থেকে শুনছে বা টিভি থেকে দেখেছে। যেই কথা , সেই কাজ,
এখন মিনাজ হেলাল কে বলছে, আমরা যে গ্রামে যামু, আমাদের কাছে টাকা কই। একটা কথা বলতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম। করিম আর, জাফর, ও সজল, তাঁরা তিন বুন্ধ হল; বড় লোকের সন্তান, তাদের পরিবারে অনেক বড় ব্যবসা আছে। এই ঢাকার শহরে, আর অপরদিকে মিনহাজ আর হেলাল হল: গরিব ঘরের সন্তান, হেলালের বাবা একটি অটো রিস্কা চালায় আর মিনহাজের বাবা দিন-মজুর কাজ করে। মিনাজ আর হেলাল দুই বন্ধুই ছিল অনেক মেধাবী, এই জন্যই এত নামি-দামি কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ক্লাস অষ্টম শ্রেণীতে তারা দুইজন বৃত্তি পেয়েছিল। এবং এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ 5 পেয়েছে। এবং তাদের দুইজনের খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা সরকার বহন করে থাকে।
চলে যায় পূর্ববর্তী দৃশ্যতে
মিনাজ হেলাল কে বলছিল যে, আমাদের কাছে টাকা কই, তখন সবাই চিন্তা করলো আমাদের কেউর কাছে তো টাকা নাই, আর গ্রামের প্রাকৃতিক যদি আমরা দেখতে চাই তাহলে-তো আমাদের কয়েক দিন গ্রামে থাকতে হবে। আমাদের সবার বাবা-মা চিন্তা করবে। আজকে যেহেতু টাকা নাই তাই সবাই আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে, কলেজে ছুটির সময় বাসায় চলে যায়। এই ভাবে কয়েক-দিন ওরা সবাই কলেজে গেল। আর টাকা জমানো শুরু করলো, জাফর ছিল একটু চালাক চতুর, জাফর অজানা তথ্য কে, জানার খুব আগ্রহ ছিল তার।
ওইদিকে আবার করিম ভূতের বিষয় তার আগ্রহ বেশি ছিল, অপরদিকে মিনাজ হেলাল আর সজল পরীক্ষার প্রেসারে তাদের একটু রিফ্রেশ দরকার ছিল এই জন্য তারা তিন বন্ধু চিন্তা করলো পাহাড়ে ঘুরতে যাবে। পাহাড়ে গেলে তারা একসাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন ভরপুর দেখতে পারবে। তার সাথে আবার তারা ক্যাম্পিংও করতে পারবে। পরীক্ষার আগে যদি একটু রিফ্রেশমেন্ট করা যায়, তাহলে পরীক্ষা ভালো হবে। তিন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলে তারা গ্রামে যাবে না, তারা পাহাড়ে ঘুরতে যাবে। সজল, হেলাল, মিনাজ মিলে, করিম আর জাফর কে বলল, আমরা সবাই পাহাড়ে যাব। করিম আর জাফর তারা দুইজন চিন্তা করল। তাঁরা- ও, যদি তাদের সাথে পাহাড়ে যায়। তাহলে অনেক কিছুই প্রাচীন জিনিসপত্র হয়তো, খুঁজে পেতে পারে, আর ভৌতিক বিষয় অনুভব করা যাবে।
পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো তারা পাহাড়ে যাবে। পরে তারা চিন্তা করলো চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডে যাবে। ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ডে কিভাবে যায়! এর জন্য কয়েকদিন তারা গবেষণা করা শুরু করল। তারা কিভাবে যাবে এই ঘোরাঘুরি সম্পূর্ণ দায়িত্ব পরলো জাফরের উপর, গল্পের শুরুতেই বলেছি আমি জাফর হলো; অনেক চালাক চতুর একটি ছেলে। কলেজে বনভোজন এর কথা বলে সবাই বাসা থেকে বিদায় নিয়ে বের হল, বিকালে পাঁচটার সময়, দিনটা ছিল শনিবার!
সর্বপ্রথম তারা বাসে করে, কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালো রাত তখন বাজে ৮.৩০ মিনিট। তারা সবাই চিন্তা করছে, চিটাগাং এর একটা ট্রেন আছে কমলাপুর থেকে রাত সাড়ে দশটায় ছাড়ে । তারা সকল বন্ধুরা মিলে, রেল স্টেশনে ঘোরাঘুরি করলো, এই ভাবে রাত দশটা বেজে গেল। সেই সাথে ট্রেন ২ নং প্লাটফর্মে চলে আসলো।
জাফর তখন সবাইকে বলছে ওই দেখ আমাদের ট্রেন চলে আসছে, আমরা এই ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডে পাহাড়ে যাব। পাশ থেকে হেলাল বলছে ট্রেনে হয়তো,বা, খাবার থাকবে না, এই স্টেশন থেকে আমরা সবাই খাবার নিয়ে ট্রেনে উঠি চল। হালকা মুচকি হেসে করিম বলল আরে পাগল!
ট্রেনের ভিতরে ক্যান্টিনে আছে ঐই খানে খাবার পাওয়া যাবে তুই টেনশন করিস না। হেলাল বলল আমি কখনো ট্রেনে চড়ি নাই, এই কথা শুনে সবাই আসতে শুরু করলো! আর রাগ করে হেলাল ট্রেন উঠলো। ট্রেনে ওঠার সময় সবাই একটা সেলফি তুললো, পড়ে তারা নিজেদের কেবিনে গেল কেবিন নং ২১০, সাড়ে দশটা যখন বাজলো ট্রেন হুইসেল দেওয়া শুরু করল। চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছাড়া হল।
৫ বন্ধুর এখান থেকে যাত্রা শুরু!
প্রথম পর্ব শেষ!
কিছু কথা
আমার কিছু ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
১৯ শে ডিসেম্বর ২০২৪