Better Life With Steem || The Diary game || 25- December- 2024
আসসালামু আলাইকুম।আশাকরছি সবাই ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল ৮ সময় ঘুম ভাঙলো । পরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, আজকে আম্মু রুটি বানায় নাই, ফ্রিজে ভাতও ছিল না, আমি আবার ভাতের পাগল। আমাদের বাসার সকলে রুটি খায়, আমি শুধু একটা ব্যক্তি যে ভাত খাওয়ার জন্য পাগল। মাঝে- মাঝে আমারও রুটি খেতে হয়, কিন্তু আজকে দেখি আমায় এক বাটি সবার জন্য নুডুলস পাক করেছে।
এই নুডুলস দেখে তো আমার মাথা গরম হয়ে গেল! আম্মারে বললাম ফ্রিজে ভাত নাই, আম্মা বলল না। পরে আমার তো আর কিছু করার উপায় নাই, পরে আমিও ভদ্র ছেলের মত নুডুলস গুলো খেয়ে নিলাম, এই ভাবে সকালবেলা নাস্তা শেষ করলাম।
আজকে যেহেতু বড় দিনের ছুটি, বাড়িতে মানুষের অভাব নাই, অফিস আদালত সবই বন্ধ । পরে আমার প্রিয় কবুতর গুলিকে খাবার দিলাম, পরে আমার ভাতিজা আর আমার ভাগ্নি দেখি ওরা রাস্তায় খেলতাছে, পরে ওদেরকে বললাম একটা পোজ দে, তোদের ছবি উঠাই, ওরা তো খুশিতে আত্মহারা ওরা বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্টাইলে পোজ দেওয়া শুরু করল। আমি ওদের সাথে অনেকটা সময় আনন্দ করলাম সময় দিলাম, কিছু স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলে নিলাম। ওরা যেন বড় হয়ে দেখতে পারে।
দুপুর বেলা গোসল করে নিলাম, পরে ছাদে গেলাম কাপড় শুকানোর জন্য , দেখি আজকে তেমন রোদ উঠে নাই, আকাশটা মেঘলা কিন্তু বাতাস আছে। পরে দুপুর বেলার খাওয়া- শেষ করে, একটু বিশ্রাম নিলাম এক ঘন্টার মতন। এর ভিতরে আমার ছোট্ট ভাগ্নিটা সুমাইয়া বার-বার আমার দরজা নক করতাছে। আমি বললাম কি হইছে সুমাইয়া, সুমাইয়া বলছে আমাকে, মামা একটু দরজাটা খোলো ! তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে, আমি তো ; কোন কিছু না ভেবে সারপ্রাইজের কথা মাথা রেখে দরজা খুললাম। খুলে দেখি সময় আমার জন্য ক্লে দিয়ে তৈরি করেছে পাতা আর কি জানি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ওর ছোট্ট একটা উপহার, পরে আমি সুমাইয়াকে বললাম এই গুলা মজা খাওয়ার ধান্দা তাই না ।
আমার ভাগ্নি আর আমার ভাতিজা, ওদের যখনই মজা খাইতে মন চায়, আমার কাছ থেকে, ঐদিন আমার সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করে। আর আমাকে সারপ্রাইজ দেয়, একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করলাম, এই কমল মনের বাচ্চারাও বোঝে । কেউর কাছ থেকে কোন কিছু পেতে হলে তার প্রশংসা করতে হবে , না চাইলেও তাকে ভালবাসতে হবে।
কয়েকদিন আগে আমার এক বড় ভাই আমাকে বলেছিল, সে একটা ছোট্ট ফ্যাক্টরি দিয়েছে। পরে চিন্তা করলাম ভাইয়ের ফ্যাক্টরিটা দেখে আসি, বিকাল বেলা বাসায় থেকে বের হলাম আর আকাশটাও মেঘলা ভালোই লাগছিল একা-একা পথ চলা!
ভাইয়ের ফ্যাক্টরিতে যেয়ে দেখি, ভাই ব্যবসার শুরুতেই একটা অর্ডার পেয়েছে, যা এই মাসের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে ডেলিভারি দিতে হবে। তার ফ্যাক্টরিতে একটু ঘুরাঘুরি করলাম নতুন একটা প্রোডাক্ট নিয়ে তারা কাজ করছে, এক কোম্পানি তাদের কাছে ৫০০ পিস টেবিল ক্যালেন্ডার রাখার বক্স তৈরি করছে, এই বক্সের মধ্যে ক্যালেন্ডার রাখা যাবে, কলম রাখা যাবে, ভিজিটিং কার্ড রাখা যাবে, কথা বলা যায় একের ভিতর ৩!
পরে ভাইয়ের সাথে একটা দোকানে চা, পানি, খেলাম, একজন অন্ধ মহিলা আমাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, আমি আগে বলি দেই আমি টাকা পয়সা মানুষকে কম দেই । কারণ আমার কাছে টাকাই থাকে না, আমি মানুষকে খাবার খাওয়ায়ে দেই, যেন আমি দেখতে পারি আমার টাকাটা কই যাচ্ছে । যাই হোক ভাইয়ের সাথে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম। পরে বাসায় চলে আসলাম, রাতের খাবার খাইলাম এইতো এই ভাবে আজকের দিনটা শেষ হল!
শুকরিয়া করি আল্লাহকে উনি আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে । আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ছোট বাচ্চারা অবুঝ হয় এবং জীবনের চরম শান্তির মুহূর্তই এই বাচ্চা বয়সেই হয়তোবা, যত বয়স বাড়ে ততই বাড়ে দুশ্চিন্তা, বাচ্চাদের ছবি তোলার সময় পোজ দেয়াটা বেশ দারুন ছিল। আমি আগে এরকম ক্যালেন্ডার রাখার বক্স দেখিনি খুব সুন্দর লাগলো বক্সগুলো দেখে। নিঃসন্দেহে টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এই ক্যালেন্ডার রাখার বক্সটি।
ধন্যবাদ আপনাকে, এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমরা বাঙালি জাতি বাঙালিদের সবসময়ই ভাত সবসময় প্রিয় হয়ে থাকে। মোটামুটি সবগুলোই পছন্দ করি কিন্তু ভাত খেলে এনার্জি বেশি পাই সেগুলো থেকে ততটা পায়না।
লুডুস আমার সবচেয়ে ফেভারিটের খাবারের মধ্যে এক নাম্বার তালিকায়, আপনার এই ছবিতে ক্লে খুবই সফট আর বাচ্চাগুলো দেখতেও খুবই কিউট বিশেষ করে আমি বাচ্চাদের খুবই পছন্দ করি বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করি
চা ততটা আমি খাই না জিব্বা পুড়ে যাওয়ার ভয়ে ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।