বিয়ে বাড়িতে
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
এ বছরে গতকালকে ছিল আমাদের শেষ বিয়ে বাড়ি। দেখতে দেখতে অগ্রহায়ণ মাস শেষ হয়ে গেল। গতকালকে ছিল শেষ বিয়ের তারিখ। তবে প্রথম থেকেই গতকালকের বিয়েতে নেমন্তন্ন খেতে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিল। কারণ এটা হল আমাদের পাড়ার একটা মেয়ের বিয়ে। এই সব বিয়ে বাড়িতে যেতে কোনরকম অসুবিধা হয় না ।কারণ সকলেই আমার চেনা জানা। তাই যেতে বেশ ভালোই লাগে। গতকাল সন্ধ্যা বেলাতেই শ্বশুর-শাশুড়ি চলে গিয়েছিল নেমন্তন্ন খেতে। কারণ ওদের বয়স হয়েছে তাই বেশি রাত করতে বারণ করেছিলাম।আমরা দুজনে পাশের বাড়ির কাকু কাকিমা সাথে একটু রাত করে গিয়েছিলাম। কারণ সন্ধ্যা বেলায় খেতে একেবারেই ভালো লাগেনা। আমরা যখন বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন বাজে রাত প্রায় সাড়ে দশটা। বাড়ির কাছাকাছি লজ তাই কোনরকম অসুবিধা হয়নি।এই লজ টি কিছু দিন আগে উদ্ধোধন হয়েছে।কাছে পিঠে এই রকম সুযোগ সুবিধা হয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।
সকলে মিলে রেডি হয়ে যখন চলে গিয়েছিলাম লজে তখন প্রায় অধিকাংশ লোকেই খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি চলে এসেছে। ঠান্ডার মধ্যে কেউ আর বেশিক্ষণ বিয়ে বাড়িতে কাটাতে চাই না। কতক্ষনে মানুষ ভাবে খেয়ে লেপের মধ্যে ঢুকবে।এদিকে তখন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। আমরা সকলে মিলে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে বিয়ে বাড়িতে বিয়ের সমস্ত কিছুই দেখছিলাম। এছাড়া পাড়ার সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে একটু গল্প করে নিয়েছিলাম। এরপর সকলে মিলে একটু কফি আর ফুচকা খেয়ে সময় কাটিয়েছিলাম। এদিকে পকোড়া শেষ হয়ে গিয়েছিল।যেহেতু বিয়ে বাড়িতে বেশি লোকজন ছিল না তাই তাড়াতাড়ি সকলে মিলে খেতে বসে পড়েছিলাম। কারণ বেশি লোকজন না থাকলে ক্যাটারিং এ লোকেরাও আবার সমস্ত কিছু গোছাতে শুরু করে দেবে।
খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিল খুব সুন্দর। সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া সেরে আবারো চলে গিয়েছিলাম বিয়ের জায়গাতে ।তখন অলরেডি বিয়ের পর্ব শেষ হয়ে গেছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন বসে গল্প করছিল। আমরা প্রথমে ছবি তোলার সুযোগ পাইনি। তাই সকলে মিলে বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম। বিয়ে বাড়িতে সবার আগে সেজেগুজে গেলে একটু ছবি তুলতে মনে হয়। তবে মনের মতো ক্যামেরাম্যান না হলে ছবি তোলা যায় না। কালকে একটা ভাই ছিল ।তাকে দিয়েই কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম। এরপর আবারো সকলের সাথে দেখা করে নিয়েছিলাম বাড়ি ফিরব বলে ।রাত তখন প্রায় ১১ঃ৪৫ বাজে।।
আর বেশি রাত করিনি কারণ রাতের দিকে ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। বেশিক্ষণ থাকলে আবারও ঠান্ডা লাগতে পারে ।তাই সকলে মিলে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম। ওদিকে সকলে বিয়ের পর্ব সেরে লজ থেকেই আবার বিয়ের গাড়ি রওনা দিয়েছিল তার শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। কারণ আজকে ছিল সংক্রান্তি। মেয়েদের তো আবার পদে পদে দোষ খোঁজে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।প্রত্যেক মেয়েদের জীবন এই রকমই ছোট থেকে এক বাড়িতে বড় হবার পর বিয়ে হয়ে গেলেই তাকে তার শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। এই দিনটি মেয়েদের যেমন ভীষণ আনন্দের ঠিক তার থেকেও বেশি দুঃখের। একটা বাবা মায়ের কাছে এই দিনটি আনন্দ থেকে কত যে দুঃখের সেটা বলে বোঝানো যায় না।
যাইহোক আমাদের বাড়ি থেকে লজ মাত্র দু থেকে তিন মিনিটের হাঁটা পথ ।আবারও সকলে মিলে রাতের বেলায় গল্প করতে করতে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। বিয়ে বাড়িতে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।





Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Thank you 🙏