ঠিকই বলেছ আগেকার দিনে কাঁসার জিনিসের মর্যাদাই ছিল অন্যরকম। মেয়েদের বিয়ের সময় নাকি কি কি কাঁসার জিনিস দেওয়া হয়েছে সেটা আগে শ্বশুরবাড়ির লোক দেখে নিতো। কিন্তু এখন সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পাল্টে গেছে তাই কাঁসার জিনিসের আর মূল্য নেই। তোমাদের মত প্রত্যেকের বাড়িতেই কাঁসা ,থালা ,বাসন সবকিছুই রয়েছে। কিন্তু আমাদেরও খাওয়া হয়ে ওঠেনা। এখনকার মানুষের নাকি কাঁসার থালায় ভাত খেতে ভালো লাগে না। আমার বিয়ের সময় দেই যখন কাঁসার থালা ,বাসন আমার শ্বশুর বাড়িতে দিতে এসেছিল। আমার শাশুড়ি মা বলছিল আমাদের রাখার জায়গা নেই। তোমরা নিয়ে যাও। যাইহোক ওরা দিয়ে গেছে ওই টুকুনি। সব কিছুই এখনো পড়ে রয়েছে। ওই সবের আর কোন মূল্যই নেই। তবে এখনো বহুবারই রয়েছে কাঁসার জিনিসপত্রে চল রয়েছে। আমার এক মাসির বাড়িতে তারা সব জিনিসে কাঁসার ব্যবহার করে। মুড়ি খাওয়ার বাটি থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিস কাঁসার। যারা ওইসব জিনিসের গুরুত্ব বুঝে তারা কখনোই ভুলবে না। একটা জিনিসের প্রতি মায়া পড়ে গেলে হয়তো এরকমই হয় তাই তোমার মা ফুলের সাজিটার মায়া ত্যাগ করতে পারছে না। তোমার মা যদি তোমার মত হত তাহলে হয়তো ওটা ফেলে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আর একটা কিনে নিত। কিন্তু উনি তো আগেকার দিনের মানুষ সব জিনিসেরই মর্ম বোঝেন।