শৈশবের মাছধরা
প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও রাতের কর্ম শেষ করে। সকালবেলা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি যেখানে কাজ করি সেখান থেকে আমার বাড়ি যেতে প্রায় ১৫ মিনিট লাগে। অটোতে উঠে ১০ মিনিট একটু জায়গা হেঁটে যেতে হয় সেখানে ৫ মিনিট। অটো থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। একটু জায়গা হাটতেই দেখলাম আকাশ মেঘলা মেঘলা এই মনে হয় বৃষ্টি নামবে।
আকাশটা মেঘলা মেঘলা দেখে সামনের দিকে হাঁটতে থাকলাম। হঠাৎ রাস্তার পাশে থেকে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার একটি শব্দ পেলাম। এটা হচ্ছে বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালে আবাদি চাষের জমিতে পানি জমলে, সে আবাদি জমিতে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা হয়। পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা দেখতে থাকলাম আর আমার শৈশবের একটি কথা মনে পড়ে গেল।
আগে যখন আমরা ছোট ছিলাম। এক কথায় আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তারা এই ঘটনাটির সাথে জড়িত। যারা গ্রামে বড় হয়েছে তাদের প্রত্যেকের শৈশব এরকম ছিল। মানে আগে যখন বর্ষাকালে আবাদি জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করানো হতো। তখন আমরা মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ঝুড়ি, চালা দিয়ে মাছ ধরতাম।
শৈশবের এই কথাগুলো তখন মনে পরল আমার।
কিন্তু আফসোস এখনো সেই পাওয়ার টিলার দিয়েই আবাদি জমি চাষ করতেছে। কিন্তু আগের মতো আর সেই ঝুড়ি বা চালা দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্যটি আর নেই। আগে এত পরিমান ছেলেমেয়েরা মাছ ধরত বা আমিও ধরেছি অনেক। কিন্তু আজকে পাওয়ার টিলারের পাশে একজনও নেই মাছ ধরার মতো।
আসলে শৈশবের দিনগুলো কখনো ভোলার নয়। শৈশবে আমরা বিভিন্ন খালে বিলে বিভিন্ন পর্যায়ে মাছ ধরেছি। অথচ আমরা বর্তমান সময়ে এমন একটা সময়ে রয়েছি,যে সময় খালে বিলে মাছ নেই বললেই চলে।
কারণ যদি মাছ থাকতো তাহলে আজকে এই জায়গাতে অনেক ছেলে মেয়েরা মাছ ধরত। একই জায়গায় পাওয়ার টিলার দিয়ে আজকে থেকে ১০ থেকে ১২ বছর আগে এই জায়গাতেই আমরা অনেক মাছ ধরেছি।
প্রকৃতি এমন এক পর্যায়ে এসেছে। বৃষ্টি ঠিকঠাক হচ্ছে না।বৃষ্টি হলেও খালে বিলে পানি ঠিকঠাকভাবে জমছে না। দীর্ঘ কয়েক দিন যাবত বৃষ্টি হলো। আগে বৃষ্টি হলে শুধু পানি আর পানি। আগে বৃষ্টি হলে চারিদিকে বন্যা আহত পানি থৈথৈ করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে বৃষ্টি কম হয়। এখনকার বৃষ্টি আর আগের দিনের অতীতের বৃষ্টি অনেক পার্থক্য।
মূলত আগে চারিদিকে গাছপালা জঙ্গল নানান গাছ ছিল। রাস্তার চারপাশ দিয়ে অনেক গাছ ছিল। অথচ এখন আমরা বর্তমান সময়ে সব গাছ কেটে আমরা শুধু চারিদিকে বিল্ডিং ঘর বাড়ি তৈরি করার চেষ্টায় মগ্ন রয়েছি। এখন চারিদিকে তাকালে বা রাস্তার পাশে যদি আমরা তাকাই গাছ খুবই কম দেখা যায়।
উপরের এই ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন। এত সুন্দর একটি রাস্তা কিন্তু রাস্তার দুই পাশে একটি গাছও নেই। অথচ আমি ৮ থেকে ১০ বছর আগে এই রাস্তায় অনেক গাছ দেখেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখন বর্তমানে একটি গাছও এই রাস্তায় নেই। সব গাছ কেটে ফেলেছে এলাকার নেতারা। তারপরে আর কেউ গাছ লাগাইনি। আমি যতটুকু জানি প্রকৃতি এমন একটি জিনিস। যত গাছ বেশি হবে তত বৃষ্টি হবে।
তাই আমরা সবাই চেষ্টা করব গাছ লাগানোর জন্য। বন্ধুরা আজকে আমি এখানেই সমাপ্তি টানছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার মাছ ধরার স্মৃতি মনের মধ্যে ভেষে উঠতে শুরু করল। এখন বর্ষাকাল ছোটবেলায় এই সময় গ্রামের বন্ধুদের সাথে বন্যার পানিতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নেমে যেতাম, মাছ ধরার সেই মধুর স্মৃতি কখনও ভোলা যাবে না।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যদিও আমি ছোটবেলায় সেভাবে মাছ ধরতে যায়নি তবে বাবার পিছন পিছন মাছের ব্যাগ ধরতে যেতাম। বাবা মাছ ধরতো আর আমি সেটাকে ব্যাগে রাখতাম। তখনকার মজাই ছিলো অন্য রকম। একবার বৃষ্টির রাতে মাঠে জল উঠে গিয়েছিলো আর আমি আর মামা মাছ ধরতে গিয়েছিলাম তবে একটাও পায়নি সেদিন।
বর্ষাকালটা চাষীদের পক্ষে খুবই ভালো। আবার যারা মাছ চাষ করে তাদের পক্ষেও ভালো। এই সময় পুকুরে অনেক জল হয়। আর মাছেরা জলে খেলা করে বেড়ায়। আমাদের পাড়াতে দেখি অনেক জনকে মাছ ধরতে যেতে। এখন যত দিন যাচ্ছে কোথাও আর গাছ দেখা যাচ্ছে না। তবে এটা ঠিক যত গাছ বেশি থাকবে বৃষ্টি তত বেশি হবে ।এই কথাটা যদি সবাই বুঝত ।তাহলে আর এভাবে গাছ কেটে ফেলত না।
আমিও ছোটবেলায় পাওয়ার ক্লিয়ার বা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার সময় বর্ষাকালে অনেক মাছ ধরতাম।। শুনে ভালো লাগলো আপনিও এভাবে মাছ ধরেছেন।। আসলে এখনকার ছেলে মেয়েরা আগের মত আর মাছ ধরে না আমরা অনেক আনন্দের সাথে মাছ ধরতাম।
আসলে শৈশবকালের সেই মাছ ধরার কথাগুলো যদি এখনো আমাদের মনে পড়ে যায় তাহলে মনে হয় যে আমরা এখনো ছোট আছি। এবং খুব ইচ্ছা করে সেই দিনগুলো আবার ফিরে পেতে কিন্তু সে দিনগুলো তো আর ফিরে পাওয়া যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমর আপনার এই পোষ্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে