আইপিএল : পাঞ্জাব কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালস

হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে আসার পর থেকেই দর্শকদের দুয়ো শুনে আসছেন। গতকালের ম্যাচের পর তা বেড়ে গিয়েছে বহুগুনে। শুনবেনই না কেন, আইপিএলের এল ক্লাসিকো হিসেবে পরিচিত মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচে নিজের দলকে ডুবিয়েছেন তিনি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে হারানোর জন্য যা যা দরকার কোনটাই বাকি রাখেননি তিনি। আগের ম্যাচগুলোতে বল করে বেদম মার খাওয়ার পরও নিজ হাতে বল তুলে নিয়েছেন তিনি। বল করতে এসে ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৩ রান অপরদিকে ব্যাট করতে নেমেও ফ্লপ ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার বাজে পারফরমেন্সের রাতে অতিমানবীয় ইনিংস খেলেছেন রোহিত শর্মা। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার বাজে পারফরমেন্সের জন্য রোহিত শর্মার দারুণ এক সেঞ্চুরিও কাজে আসেনি।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুব করেন হাফ সেঞ্চুরি। আর শেষ ওভারে ধোনির তাণ্ডবে ভর করে চেন্নাই করে ২০৬ রান। পরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি করার পরও ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলতে পারে তারা। মুম্বাইয়ের এই সাবেক অধিনায়ক মাত্র ৬৩ বল খেলে ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে চেন্নাইয়ের জয়ের সবথেকে বড় অবদান ছিল শ্রীলংকান প্লেয়ার মাতিশা পাতিরানার। গতকালকে তিনি করেছেন তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। চার ওভার বল করে মাত্র আটাশ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন চারটে উইকেট। এ কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে। এই ম্যাচে জয় পাওয়ায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে চেন্নাই সুপার কিংস।

চেন্নাই সুপার কিংস এর বাংলাদেশী বোলার মুস্তাফিজুর রহমান এতদিন ধরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও গত কালকের ম্যাচে ছিলেন বেশ খরুচে। এটি তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বাজে বলিং। চার ওভার বোলিং করে একটি উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৫৫ টি। তবে দলের প্ল্যানিং অনুযায়ী বল করায় মুস্তাফিজের উপর দলের সবাই খুশি ছিলেন। তবে পাতিরানা বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে আউট করেন তিনি।

আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৯৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৭ বল থাকতেই জিতে গিয়েছিল ম্যাচ। চেন্নাই আরো কম রানে অলআউট হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিলো কিন্তু শেষ ওভারে ধোনির ব্যাটিং এ ২০০ এর উপরে রান হয়ে যায়। ২০৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে দারুন সূচনা এনে দিয়েছিল রোহিত ও ঈশান কিষান। তারা দুইজন মিলে মাত্র ৭ ওভারে তুলে নেন ৭০ রান। এরপর পাতিরানা ঝড় শুরু হয়ে অষ্টম ওভারে। প্রথম ওভারেই ঈশান কিষানকে আউট করে উদ্ভোদনী জুটি ভাঙেন। একটা বল পরেই সূর্যকুমারকে আউট করেন শুন্য রানে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে রোহিত শর্মা। এরপর আবার পাতিরানা উইকেটে এসে উইকেট নেন। এরপর আর কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। রোহিত শর্মা একপাশে বীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেও পার্টনারের অভাবে কাংক্ষিত জয় অধরাই থেকে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।