আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন ও প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন
সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। বাঙালী জা তির জন্য চিরগৌরবময় ও অবিস্মরণীয় এক দিন ১৬ ই ডিসেম্বর। বাঙালির আত্মপ্রকাশ ও পৃথিবীর মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব আজকের এই দিনে। যে কোন বিজয় আনন্দের তবে তা যদি হয় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় তাহলে তা স্মরণাক্ষরে লেখা থাকে ইতিহাসের পাতায়। রাজনৈতিক নানা পঠ পরিবর্তনের মাধ্যমে এবারের বিজয় বাংলাদেশের মানুষেরা অন্যভাবে উদযাপন করেছে। আর এই বিজয় উদযাপনে আমি নিজেও অংশগ্রহণ করেছি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আমরা এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেছিলাম। গতকাল সকালে ঢাকার বেরাইদে অবস্থিত একেএম রহমউল্লাহ মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল এই ক্রিকেট ম্যাচ। আমরা যারা এখনও খেলাধূলার মধ্যে আছি মূলত তারাই এই আয়োজন করি। উক্ত খেলায় আমরা সবাই দুই দলে বিভক্ত হই। লাল দল ও সাদা দল।
ভোর বেলা ঘুম থেকে ঊঠেই মাঠ পরিস্কার করে সাদা রঙ দিয়ে সীমানা নিরধারণের কাজ শুরু হয়। খেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সকাল ৮ টায়।
দু দলের খেলোয়ারেরা সাড়িবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করি। সেসময় উপস্থিত দর্শকরাও আমাদের সাথে জাতীয় সঙ্গীত এ সুর মেলায়। বিজয় দিবসে এই মূহর্তটা সত্যিই অনেক আবেগের, গর্বের ও গৌরবের।
আমি সাদা দলের হয়ে মাঠে নামি। টসে জিতে আমাদের দল ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা ১৫ ওভার এ ১৬৪ রান করতে সক্ষম হই ৭ উইকেটের বিনিময়ে, যেখানে আমার সংগ্রহ ৩০ রান।
১৬৫রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লাল দল শেষ ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে ম্যাচে জয় লাভ করে। টান টান উত্তেওজনার এই ম্যাচ বিজয় দিবসকে যেনা আরো রঙিন করে দিল। যদিও বিজয়ের দিনে খেলায় আমাদের দল পরাজিত হয়েছে, তবে উদযাপনে আমাদের কোন কমতি ছিল না। খেলা শেষে আমাদের ফটোসেশান চললো ৫ মিনিটের মত। চলুন কিছু ছবি দেখে আসি।
খেলা শেষে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া, গল্প করার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনটি খুব সুন্দর ভাবেই কেটেছে।
তবে, আফসোস ছিল একটাই, স্পন্সর কোম্পানী আমাদের সবুজ রঙ এর জার্সি দিতে ব্যার্থ হয়েছে, কথা ছিল লাল-সবুজের লড়াই হবে। এর পরেও সীমিত সময়ের মধ্যে এই আয়োজন করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। সেই খুশির দিনটি ভাগ করতেই আজকের এই ব্লগ লিখতে বসা।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এই ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের দুইটি লক্ষ্য ছিল। প্রথমত, বিজয়ের আনন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করা, দ্বিতীয়ত, যুব সমাজকে খেলার মাধ্যমে মাঠে নিয়ে আসার চেষ্টা ও সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহবান জানানো। জানিনা আমরা কতটা সফল হয়েছি, তবে দর্শকদের প্রশংসা আমাদের কে সামনে এমন আরো কিছু মুহূর্তের জন্য তৈরী হতে সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হোক একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।’
ব্লগে ব্যবহৃত ছবি গুলো আমাদের টিমের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নেয়া।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)