মিষ্টি কুমড়ার ফুল দিয়ে মজাদার নাস্তার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন?
শুভ সন্ধ্যা, আশা করি যারা আমার এই ব্লগটি পড়তে শুরু করেছেন তারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমি টুক টাক রান্না করতে পারি। এবং মাঝে মধ্যেই মজাদার খাবারের রেসিপি শেয়ার করি। তবে অফিসের ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন হলো নতুন কোন রেসিপি লেখা হয় না, অবশেষে আজকে সুযোগ হলো। আশা করি বরাবরের মতই আজকের এই রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি মিষ্টি কুমড়ার ফুল দিয়ে মজাদার একটি ভাজাপোড়া নাস্তার রেসিপি শেয়ার করবো, পাশাপাশি থাকবে মিষ্টি কুমড়ার কুমড়ানি বানানোর পদ্ধতি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
প্রধান উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মিষ্টি কুমড়া ফুল | ৪-৫ টি |
মিষ্টি কুমড়া | ৬-৭ ফালি |
লবণ | পরিমাণমতো |
হলুদ গুড়া | ১ চামচ |
জিরা গুড়া | পরিমাণমতো |
মরিচের গুড়া | পরিমাণমতো |
ধনিয়ার গুড়া | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ২ কাপ |
বেসন | ২ কাপ |
রান্নার পদ্ধতি :
কয়েকটি ধাপে ধাপে পুরো রান্নাটা দেখাবো, চলুন
ধাপ - ১ :
প্রথমেই মিষ্টি কুমড়ার তাজা কয়েকটি ফুল নিতে হবে, এবং সেগুলো ভালোভাবে পরিস্কার করে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।
আমি আমার ছাদের গাছ থেকে এই ফুল গুলো সংগ্রহ করেছি। পাশাপাশি কুমড়ানি বানাতে চাইলে ছবির মত করে মিষ্টি কুমড়া গুলোকে স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। অনেকটা বেগুনি ভাজার সময় বেগুন যেভাবে কাটা হয় সেভাবে।
ধাপ - ২ :
এবার একটি বাটিতে বেসন নিয়ে ফুল ভাজার জন্য পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এর জন্যে পরিমাণমতো পানি ও লবণ, মসলার গুড়া দিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিতে হবে।
পানি দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন বেসনের মিশ্রণটি বেশি পাতলা হয়ে না যায়।
ধাপ - ৩ :
এবার একটি কড়াই গরম করে সেখানে তেল দিতে হবে।
ধাপ - ৪ :
মিষ্টি কুমড়ার স্লাইস ও ফুল গুলো ভালো করে বেসনে মাখিয়ে নিতে হবে। এবং মাখানো ফুল ও কুমড়ার স্লাইস গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে।
ধাপ - ৫ :
অল্প আচে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে ভাজতে হবে। আচ বেড়ে গেলে মচমচে ভাবটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভাজার সময় লাল হয়ে এলে উল্টিয়ে দিতে হবে, অন্যান্য ভাজাপোড়া যেভাবে ভাজে সেই নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।
ভাজা হয়ে গেলে এর সুঘ্রাণ নাকে এলেই বুঝতে পারবেন কখন কড়াই থেকে তুলে নিতে হবে। অবশ্যই ভালো ভাবে তেল ঝড়িয়ে তার পর তুলবেন।
পোস্ট প্রেজেন্টেশন
চলুন এবার দেখাই কেমন হলো আমার আজকের কুমড়া ফুলের মজাদার ভাজা ও কুমড়ানি। এর স্বাদ ও গন্ধ এতটাই লোভনীয় ও মজাদার যে যদি কাউকে না বলি যে এর ভেতর মিষ্টি কুমরা বা ফুল আছে তাহলে সে খেয়ে শেষ করে দিবে, কিন্তু বলতে পারবে না কি খাচ্ছে। শীতের দিনে সকাল বা বিকেল, যেকোন সময় গরম গরম এমন এক প্লেট কুমড়ানি পেলে যে কেউ সাবাড় করতে চাইবে।
পোস্ট বিবরণ
Category | Recipe |
---|---|
Device | Samsung M31 |
Photographer | @mukitsalafi |
Location | Dhaka, Bangladesh |
তো এই ছিল আমার আজকের মিষ্টি কুমড়ার ফুল দিয়ে মজাদার নাস্তার রেসিপি। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায়, অনেক অনেক ভালো থাকবেন সবাই।
সত্যিই ভাই অনেক অসাধারণ হইছে,আপনার রেসিপিটি। এই মিষ্টি কুমড়া ফুঁল দিয়ে বড়া তৈরি করলে অনেক মজা হয়। আমাদের বাসায়ও আম্মায় মাঝে- মাঝে তৈরি করে। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি ধাপে -ধাপে বর্ণনা, করেছেন, পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
আপ্নাকে অনেক অনেক ধন্যাব্দ আমার ব্লগ পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আমি চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ রেসিপিটি যত সহজে উপস্থাপন করা যায় তা করার। আপনাদের উপকারে আসলেই আমার এই ব্লগ লেখা সার্থক হবে।
শীতের দিনে গরম ভাতের সাথে গরম দুটো কুমড়ো ফুলের বড়া বা কুমড়োর বড়া হলে আমার আর কিচ্ছু চাই না। হ্যাঁ সাথে একটা কাঁচালঙ্কা আর লবন অবশ্য দিতে হবে। আমাদের বাড়িতেও মাঝেমধ্যে এটা তৈরি হয়। তবে আমাদের বাড়িতে আমরা বেসনের পরিবর্তে আঁতপ চাল ভিজিয়ে তারপর সেটা বেঁটে ব্যবহার করি, কারণ তাতে এই বড়া গুলো অনেকক্ষণ পর্যন্ত মচমচে থাকে। আপনারা যদি বেসনের সাথে অল্প একটু সুজি ব্যবহার করতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। সন্ধ্যা বেলায় গরম গরম এমন চপ পেলে ভালোই লাগবে, কিন্তু আপাতত আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে এই আর কি।ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। পাশাপাশি আপনি ছবিগুলো খুব সুন্দর করে তুলেছেন এ কথা বলতেই হবে।ভালো থাকবেন।
আতপ চাল না থাকায় আর দিতে পারি নি, তবে অনেক্ষণ কি মুচমুচে রাখবো একদিকে ভাজতে আর খেতেই ত শেষ, যেহেতু পরিমাণে হাতে গোণা কয়েকটা ছিল
ধন্যবাদ দিদি আমার রেসিপি পোষ্টে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।