ডেঙ্গুজ্বর কি? ডেঙ্গুজ্বর হলে কি করবেন?
হ্যালো আমার স্টিমিট বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক ভাল আছেন।
সবাইকে বৃষ্টি ভেজা বর্ষার শুভেচ্ছা ।
আজকে এই কবির ভাষায় বলতে হয়
"বর্ষার ঝর ঝর সারাদিন ঝরছে
পথঘাট সব থই থই করছে। "
সত্যি বর্ষার বৃষ্টি কার না ভালো লাগে প্রকৃতি যেন এক অপরূপে সাজে এই বৃষ্টির ফলে
কিন্তু বৃষ্টি অতিরিক্ত হওয়ার ফলে মশা আমাদের পরিবেশে বেড়ে যায়। আর সেই মশা থেকে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। যার কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আজকে আমি আলোচনা করব আমাদের বাংলাদেশের একটি ভয়ংকর এবং কমন রোগ ডেঙ্গুজর সম্বন্ধে। লেখাটি আপনাদের সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। তাই অবশ্যই পুরো লেখাটি আপনারা পড়বেন আশা করি উপকৃত হবেন।
ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত মশাবাহিত জ্বর। এডিস প্রজাতির মশার কামড়ে ডেঙ্গুজোর হয়। ডেঙ্গুজ্বর
দুই ধরনের হয়ে থাকে
- ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু
- হেমোরেজিক ডেঙ্গু
এছাড়া ডেঙ্গুজ তীব্র হয়ে ডেঙ্গু হেমোরেজিক শক সিনড্রোম হতে পারে।আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ শুরু হয় বিশেষজ্ঞরা জ্বর সেরে যাওয়ার পরের সময়টিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন।অন্যান্য জ্বরের ক্ষেত্রে জ্বর কমে যাওয়া মানে হচ্ছে কিছুটা সুস্থ বোধহয়। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রমজ সেরে যাওয়ার পর রোগীকে প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
সাধারণ পর্যায় বা ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর
- উচ্চ মাত্রার ঝড় ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তিন থেকে সাত দিন জ্বর থাকে
- চামড়ার উপরে লালচে ফুসকুড়ি
- মাথা চোখ ও চোখের চারদিকে ব্যাথা
- লালচে চোখের মনি
- ক্লান্তিবোধ অবসাদ উদ্যমহীনতা
- মাংসপেশী হার ও মেরুদন্ড ব্যাথা
- বমি বমি ভাব কিংবা বমি
- খাবার খেতে অনীহা
জটিল পর্যায় বা হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর
- চামড়ার উপরে লালচে ফুসকুড়ি
- মাংসপেশি হার ও মেরুদন্ডে পছন্দ ব্যাথা
- নাক মুখ ও দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া
- বমির সাথে রক্ত রক্ত মিশ্রিত কালো পায়খানা
- অনিদ্রা ও ক্লান্তিবোধ
- পায়ের চামড়া ফ্যাকাসে মলিন ঠান্ডা ও আঠালো হয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত পানি পিপাসা
- শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট
- মু্র্ছা যাওয়া
ডেঙ্গুজোর আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোমর ব্যাথা অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে ব্যাথা চোখের পিছনে ব্যাথা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে হাড় ব্যাথা এতটাই পছন্দ হয়েছে মনে হয় হাড় ভেঙে গেছে। এ কারণে জ্বরকে ব্র্যাকবোন ফিভার বলা হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরে কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গুজ্বর
ক্ষেত্রে উপসর্গ ও লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে
ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায় এক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। যেমন ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বমির জন্য স্টেমিক জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয় এছাড়া ডেঙ্গুজারে প্রচুর পানি পান করতে হয়।
হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে সন্দেহ হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে হবে।
এডিস নামে এক জাতীয় মশার ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান উৎস
সাধারণত দিনের বেলায় সকাল এবং বিকাল বেলায় বেশি কামড়ায় তাই দিনের বেলাও মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হতে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর ছড়াতে পারে
ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সার্বক্ষণিক মশারির মধ্যে রাখতে হবে
রোগীকে প্যারাসিটামল দিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বাসস্থানে ফুলের টপ অব্যবহিত কৌটা ডাবের খোসা ব্যবহৃত টায়ার মুখ খোলা পানির ট্যাংক প্লাস্টিকের প্যাকেট পলিথিন এবং ঘরের আশেপাশে পানি জমতে দিবেন না
আপনার নিজ বাড়ির আঙ্গিনা ও চারপাশ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
আজ এই পর্যন্তই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ পুরো লেখাটি পড়ার জন্য আশা করি ডেঙ্গুজ্বরে কেউ আক্রান্ত হলে বা ডেঙ্গু যাতে না হয় সেজন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন।
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ডেঙ্গুজ্বর একটি মারাত্মক রোগ বলা যায় ৷ তার জন্য আমাদের এই ডেঙ্গু থেকে সাবধান থাকা উচিত ৷ রাতে ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারন এই রোগের চিকিৎসাও অনেক কঠিন ৷ তাছাড়াও আপনি এই ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেছেন ৷ যেটা থেকে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারলাম ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। আসলে ভাই বর্তমানে বাংলাদেশের ডেঙ্গু যেভাবে ভয়ংকর এখন ধারণ করতেছে। তাতে ডেঙ্গু সম্পর্কে যদি আমরা সচেতন না হয় তাহলে দেখা গেছে কি যে কেউ যেকোন জায়গা থেকে আক্রান্ত হয়ে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিত সম্পর্ক এবং আমাদের আশেপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
ডেঙ্গুজ্বর একটি ভয়ানক রোগ বলা যায় ৷এ রোগে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের সবারই এই ডেঙ্গু থেকে সাবধান থাকা উচিত ৷ ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কিভাবে করতে হয় এবং এ রোগের প্রতিরোধ করা যায় তা আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এটি একটি মশা বাহিত রোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রোগ বলে আমি মনে করি। তাই ডেঙ্গু সম্বন্ধে আমাদের সবারই জানা উচিত বিশেষ করে যারা ঢাকা শহরে বা বিভিন্ন শহরে বসবাস করে। সেখানে ডেঙ্গুর প্রকট বেশি থাকে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু থাকতে পারে তবে সেখানে খুবই কম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।