দিদির বাড়িতে তৈরি করা চিকেন কষা
বন্ধুরা,
আশাকরি আপনার সকলেই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আর আজকের দিনটা আপনাদের ভালো কেটেছে।
আজ আমার দিনটা খুব ভালো কেটেছে।আজকে আমি দিদির বাড়িতে সবার জন্য চিকেন রান্না করলাম। আমার মেয়ে চিকেন খেতে চাইলো তাই দিদি চিকেন নিয়ে এলো। আমি তাই বললাম সবার জন্য আজকে আমি রান্না করবো। দিদি বললো তাহলে তুই রান্না কর।
আমি একটু অন্য রকম ভাবে এটি রান্না করলাম।
আজ আমি সেটাই আপনাদের জানাবো।
আসুন তাহলে যেনে নেওয়া যাক কি ভাবে আমি রান্নাটি করলাম।
প্রথমে কি কি উপকরন নিলাম সেটা আমি আপনাদের জানাবো।
উপকরনঃ-
১)চিকেন=১কেজি৫০০গ্রাম
২)আলু=৫টা বড়ো সাইজের(চৌক করে কাটা)
৩)পেয়াজ=৩টে বড়ো সাইজের(ঝিরি ঝিরি করে কাটা)
৪)আদাবাটা=৩চা চামচ
৫)রসুনবাটা=৩চা চামচ
৬)জিরেবাটা=৩চা চামচ
৭)টমেটো=১টা বড়ো সাইজের(ছোট করে কাটা)
৮)কাঁচা লঙ্কা=৩চা চামচ
৯)চিনি=স্বাদ মত
১০)নুন =স্বাদ মত
১১)তেজপাতা=৩টে
১২)সরষের তেল=প্রয়োজন মত
এবার আপনাদের জানাবো কি ভাবে এটি তৈরি করলাম।
পদ্ধতিঃ-
১)প্রথমে একটি পাত্র নিয়ে তার মধ্যে চিকেন গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২)এবার কিছুক্ষণ বাদে কড়াইটি গ্যাসে অল্পো আঁচে বসিয়ে দিতে হবে।
৩)কড়াই গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে সরষের তেল দিয়ে দিতে হবে।
৪)এবার আলুর মধ্যে নুন আর হলুদ মাখিয়ে সেটা একটা পাএে রাখতে হবে।
৫)এরপর তেলটি গরম হলে আলুগুলো ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।
৬)তারপর ওই অবশিষ্ট তেলটির মধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে তেজপাতা ফোরন দিতে হবে।
৭)এবার তারমধ্যে কুঁচানো পেঁয়াজ গুলো তারমধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে।
৮)তারপর একে একে আদাবাটা,রসুনবাটা, জিরেবাটা, কাঁচালঙ্কাবাটা,টমেটো গুলো দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে নিতে হবে।
৯)এরপর তারমধ্যে নুন, হলুদ ও একটু মিষ্টি দিয়ে তার মধ্যে চিকেন গুলো দিয়ে শেটা ভালোকরে ১০মিনিট কষাতে হবে
১০)মাংসটা ভালোকরে কষেগেলে তার মধ্যে ভাজা আলুগুলো দিয়ে তারমধ্যে অল্পো পরিমাণে গরম জল দিয়ে দিতে হবে। তারপর সেটা কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
১১)কিছুক্ষন বাদে ঢাকনা খুলে দেখবেন মাংসটা সেদ্ধ হয়েছে নাকি।
১২)সেদ্ধ হয়েগেলে তারমধ্যে একটু গুরো গরমশলা দিয়ে সেটা একটি পাত্রে নামিয়ে পরিবেশন করুন।এটি সাধারণত রুটি ও ভাত দুটো দিয়েই ভালো লাগে।
আপনাদের কেমন লাগলো আমার রান্না জানাবেন।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শুভরাএি।
আপনি বলেছেন যে আপনার দিনটি ভালো কেটেছে। ভালো তো কাটার ই কথা। আমার তো মনে হয়, আপনি যদি রান্না করার সুযোগ পান, তাহলে ঐ রান্নার মূহুর্তটা আপনি খুব উপভোগ করেন।
লাইফে প্রথম দেখলাম একজন রান্না প্রিয় দিদি।
আপনার মেয়ে খেতে চাইলে চিকেন, ভালোবেসে নিজের হাতে তৈরি করে খাওয়ায় দিলেন অন্যরকম ভাবে আর আপনার দিদি নিয়ে এসে দিল সেই চিকেন।
এরপর শুরু হয়ে গেল বাকি প্রসেস গুলো যা আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যেখান থেকে চাইলে আমরা টিকেন তৈরি করতে পারি সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চিকেন খেতে বাচ্চারা ভীষন ভালো বাসে। আমার ছেলেও তাই। ওকে যদি রোজ চিকেন করে দেওয়া হয় ও রোজ চিকেন খেতে পারে। বেশ লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার তৈরি রেসিপি চিকেন কষা সম্পূর্ণ পোস্টটি আমি পড়লাম। খুবই সুন্দর এবং সহজভাবে আপনি এখানে উপস্থাপন করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ লোভনীয় হয়েছে খেতে। চিকেন কষা আমরা মুরগির মাংস ভুনা বলে থকাি বাংলাদেশে। অনেক ধন্যবাদ আপনার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।