শীতের শুরুতেই একটা বনভোজনের আয়োজন।
Hello Friends,
শীতের আগমনে আমাদের বনভোজনের প্রথম আগমন ঘটলো। গতকাল খুব সকালে এক বন্ধুর কলে ঘুম ভাঙলো। মোবাইলের ওপার থেকেই বলল শুমারি সম্পর্কিত কিছু তথ্য দরকার। যেহেতু সর্বশেষ জন শুমারিতে আমার সরকারিভাবে অংশগ্রহণ ছিল।
কিছু কথা বলতে গেলে হয়তো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মনে হতে পারে তবে এটাই বাস্তব যে সত্যি কথা বলতে গেলেই লক্ষ্মী বেজার হয়। কিছু কাজ দলমত নির্বিশেষে বিবেচনা করলেই দেখা যাবে শক্তির অপব্যবহার করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
যাইহোক, আমি সেই বিষয়টির অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে উপস্থাপন করব না। সকালে খাবার খেয়ে বাজারে গেলাম বন্ধুর সাথে দেখা করতে এবং সেখানে গিয়েই ফাঁদে আটকা পড়লাম। ইতিপূর্বেই ওদের সকলের পরিকল্পিত মোটামুটি বড় পরিসরে একটি বনভোজন।
এটা প্রকৃতপক্ষে বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় না কিন্তু আনন্দ সীমাহীন। একই পরিবারে আমরা যখন বসবাস করি তখনও বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনি একই এলাকাতে থাকলেও হয়। তবে আমার মনে হয় এই ধরনের আয়োজন গুলো আমাদের সম্পর্ক ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি এ কারণেই মূলত আমাকে সকালে ডাকা হয়েছে। বাজারে উপস্থিত হতেই বন্ধুর সাথে বসে চা খেলাম এবং আমাকে নিয়ে দলীয় অফিস কক্ষের কাছে গেলো। সেখানে গিয়েই দেখলাম ইতিমধ্যে বনভোজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
এখানে একশত প্যাকেট এনে রাখা হয়েছে। কারণ বনভোজনের রান্না শেষ হতে হতেই অনেক রাত হবে। বিশেষ করে আমার ও থাকা সম্ভব হবে না কারণ আমার রাতে একটা তিন ঘন্টার জুম ক্লাস আছে। আমার মতো অনেকেই আছে যারা শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে পারবে না। তাই যে যে খাবার প্যাক করে নিয়ে যেতে চায় তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা।
এটা কিন্তু আমাদের এলাকায় নতুন কোনো বিষয় না। কারণ সর্বশেষ আমরা যে বড় বনভোজনের আয়োজন করেছিলাম সেখানে গোটা দুইটি খাসি এনে করেছিলাম। তারপরও যখন কম মনে হচ্ছিল তখন আলাদা করে খাসির মাংস ক্রয় করে নিয়ে এসেছিলাম।
তবে মজার বিষয় হলো সকলেই এই ডিম থেকে খোসা ছাড়াতে ভয় পাচ্ছিল। কারণ এই কাজটার সাথে সম্পৃক্ত সেই মানুষটি এই বছর আমাদের বনভোজনের সাথে নেই। তবে এই কাজটি যেভাবে তিনি করতেন আমার মনে ছিল তাই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। দুই এক'শ না বরং দুই এক হাজার ডিম অনায়াসে চামচের সাহায্যে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব যেখানে নিখুত ভাবেও করা সম্ভব।
মাত্রই জুম ক্লাসে জয়েন করেছি তখনই বন্ধুরা আমাকে নিতে চলে এসেছিল। মূলত, এ কারণে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। যাইহোক, কি আর করা স্যারের থেকে বিরত নিয়ে বাজারে পৌঁছে কিছু সময় সব কিছু দেখলাম। বাইরের কিছু মেহমান ছিল নিমন্ত্রিত। যে কারণে তাদের আপ্যায়নটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রাত তখন প্রায় নয়টা কিন্তু রান্না শুরু করা হয়নি। মেহমানদের বিদায় পর্ব শেষ এবং রান্নার বাকি সামগ্রী ঠিক ঠাক করা হচ্ছিল। যেহেতু, এলাকার অনেক ছেলে উপস্থিত তাই কাজে তেমন একটা সমস্যা হচ্ছিল না। খুব অল্প সময়ের মঝ্যে রাঁধুনিকে সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হলো। তারপর বন্ধুদের সাথে কথা বলে আমিও বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমাকে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছিল তখন রাত প্রায় তিনটে বাজে। যেহেতু, আমি তিনটে বা সাড়ে তিনটের আগে বিছানায় যাই না তাই খাবারের প্যাকেট নিতে আর সমস্যা হয়নি।
এভাবেই বনভোজনের পর্বটা শেষ হয়েছিল। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@piya3 কিছু হাড়ি পাতিল আর ডিম এর ছবি দিয়ে বনভোজন এর পর্ব সেরে ফেললেন, খাবারের ছবি কি হজম হবার পরে দেবেন?
যাক ভালই দিন কাটছে বলতে হবে, তবে মাঝে নিজের ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন এই বাঁচোয়া! এই ক্লাস কি অনির্দিষ্ট কালের জন্য?
আর আপনার ভূমিকা কি ছিল বন ভোজনে?
শুধু খাবার প্যাকেট নিয়ে কেটে পড়েছেন?
আপনি কিন্তু বিশেষ সুবিধার নয়, এখানে যদি থাকতেন খতিয়ে উশুল করে নিতাম, সেই সুযোগ হচ্ছে না এটা একটা খেদ!
আপনার এই আড্ডা কবে শেষ হবে আর কমিউনিটিতে নিজের উপস্থিতি আর বেশি বৃদ্ধি পাবে সেই অপেক্ষায় রইলাম।
রইলো বাকি চামচ দিয়ে ডিম ছড়ানোর বিষয়, সেটা আমি শিলিগুড়ি থাকা কালীন এক্ ঘুগনি বিক্রেতা কে দেখতাম নিপুণ হাতে করেতে, এবং অর্ধেক সেদ্ধ ডিম কেও অক্ষত ভাবে তিনি ছাড়াতে পারতেন, এবং বিষয়টি সম্ভব খুব পাতলা চামচের সাহায্যে, যেখানেই যেটা দেখি শেখার প্রয়াস করি।
🤣🤣🤒 পেট খারাপ হওয়ার ভয়েই ছবি দিই নাই দিদি। মজা করলাম দিদি, কিন্তু শেষ রাতে ছবি তোলার কথা মাথাতেই ছিল না।
বলি লজ্জা কি ড্রেনে পড়ে গেছে? নাকি আদেও কোনোদিন ছিল না? মানে কোনটা ধরে নেবো?
আপনার জন্য সব Allow দিদি। ❤️