আবারো একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা।
source |
---|
Hello Friends,
বন্ধুরা, আমরা চাইলেও কিছু বিষয় নিজেদের থেকে আলাদা করতে পারি না। যদিও নেই সেখানে কোনো আত্মিক বন্ধন তবুও যেন কিছু হারানোর আর্তনাদ। এটাকেই বলা হয় ভ্রাতৃত্ববোধ।
আমরা একটু সচেতন হলেই এই সকল দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারি। হয়তো আজ অন্য পরিবার সন্তান হারিয়ে কিন্তু আগামীকাল আমাদের ওপর এটা চেপে বসবে না এটা আমরা কেউই বলতে পারি না।
আমি পূর্বেও দূর্ঘটনা নিয়ে ১/২টি পোস্ট উপস্থাপন করেছি। আজও নতুন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা এই লেখাটি। আশাকরি, এটা আমার নিজস্ব অভিমত প্রকাশের পাশাপাশি আপনাদের সুপ্ত মনের চিন্তাকেও জাগিয়ে তুলবে। তবে আমি জানিনা যথার্থভাবে তুলে ধরতে পারবো কি না।
যাইহোক, আমি এই বিষয়টি এ কারণেই তুলে ধরছি কারণ গতকাল আমাদের এলাকায় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়েছিল। সেই ঘটনাস্থলেই তিনজনকে মৃত বলে স্থানীয় ডাক্তার জানিয়েছিলেন।
যারা ঐ ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছিলেন তাঁরা দূরের কেউ না আমাদের গ্রামেরই এক পরিবারের দুই পুত্র সন্তান এবং অন্য একটি পরিবারের এক ভ্যান চালক।
source |
---|
ঘটনাটা যেভাবে ঘটেছিলঃ
ঐ দুই ভাই জীবন-জীবিকার তাগিদে মোংলা যাচ্ছিলেন। যেহেতু, স্বল্প বেতনের চাকরি তাই নিজস্ব কোনো পরিবহন ও নেই তাঁদের। সকালেই মায়ের হাতে খাবার খেয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য বেরিয়েছিলেন।
পথেই তাঁদের সাথে যুক্ত হয়েছিল অন্য এক চাকরিজীবী। যাইহোক, তিনজন মনের সুখে হাঁটতে শুরু করেছিল এবং ইচ্ছে করেই কোনো পরিবহনে যাত্রা করেননি। কারণ তাঁদের যেহেতু, হাতে সময় আছে এভাবে গেলেও অসুবিধা হবে না।
তাঁদের পায়ে হেঁটে যাওয়ার গন্তব্য ছিল সিকির ঘাট পর্যন্ত। কিন্তু সময়কে কখনোই অবহেলা করতে নেই যেটা এইরকম মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে।
তবে সিকির ঘাটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে একটু বিলম্বই হয়েছিল। তারপরে তাড়াহুড়ো করে একটি ভ্যানে উঠে বসেছিল ঐ তিনজন। পথেই যুক্ত হওয়া লোকটির একটা ওষুধ নেওয়ার কথা ছিল এবং তিনি চেয়ারম্যানের মোড় নামক একটি বাজারে নেমে ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ভ্যানে বসে থাকা দুইভাই খুব তাড়াহুড়ো করছিল। এক পর্যায়ে ঐ ফার্মেসিতে যাওয়া লোকটিকে রেখেই তাঁরা ভ্যান চালককে যাত্রা শুরু করতে বলেছিলেন।
মরণের খবর জানে চরণে।
অজানা
চেয়ারম্যানের মোড় নামক এই বাজারে মাঝেমধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকেই এটা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। আমি নিজেও একদিন রাতে এখানেই দূর্ঘটনার শিকার হতে হতেই বেঁচে গিয়েছিলাম।
যাইহোক, ঐ ভ্যানটি মেইন রাস্তায় উঠতেই সামনে থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাক ধাক্কা দিয়েছিল। ঐ ট্রাকের গতি এতোটাই বেশি ছিল যে তিনজন মানুষের শরীরের সব কিছুই খন্ড খন্ড হয়ে গিয়েছিল।
এই দূর্ঘটনার কারণ:-
➡️ সময় সম্পর্কে অসচেতনাতা এবং নিজেদের ধৈর্য্যশীলতার অভাব।
➡️ একাধিক রাস্তা থাকা সত্ত্বেও জেব্রাক্রসিং না থাকা।
➡️যাত্রী বা পথিকের তুলনায় পরিবহন স্বল্পতা।
➡️ গাড়ির অতিরিক্ত গতি।
➡️রাস্তার দুইপাশে অতিরিক্ত জায়গা না থাকা।
➡️রাস্তায় গাড়ি চালানোর সঠিক নিয়মাবলী সম্পর্কে অজ্ঞতা।
➡️গাড়ির চালকের অদক্ষতা।
➡️নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানো।
এই পয়েন্ট গুলো কিছুটা হলেও আপনারা বইয়ের পাতায় ও দেখে থাকবেন। তবে এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তুলে ধরেছি।
source |
---|
যে উদ্যোগে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
➡️ রাস্তার দুইপাশে অতিরিক্ত জায়গা রাখতে হবে। এটার জন্য স্থানীয় ভাবে আমরাই কাজ হাতে নিতে পারি।
➡️ আমাদের সময়ের পাশাপাশি জীবনের মূল্যকে প্রাধান্য দিতে হবে।
➡️ অতিরিক্ত যাত্রীবাহী পরিবহনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
➡️গাড়ির গতি রোধের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা নিতে হবে।
➡️গাড়ির চালক সঠিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কি না সেটা যাচাইকরণ করতে হবে।
➡️গাড়ির চালকদের জন্য মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। অবশ্যই সেটা শুধুমাত্র খাতা-কলমে না বরং বাস্তবে।
গতকাল যে দূর্ঘটনা ঘটেছিল এটা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা দিন দিন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি এটাই সমস্যা। কারণ টাকা হলেই মানবিকতা হ্রাস পাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত নিজে না বরং সকলকে নিয়ে ভালো থাকা।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি, সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
সড়ক দুর্ঘটনার কথাগুলো শুনলেই কেন যেন গা শিউরে ওঠে। আসলে আমরা যদি সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই তাহলে আমাদের প্রত্যেককেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
আমরা যদি সবাই ট্রাফিক সিগনাল ও সঠিক নিয়ন্ত্রণে গাড়ি চালায় অবশ্যই দুর্ঘটনা হার কমে যাবে
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ও সচেতনতামূলক একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।