পড়ন্ত বিকেলে প্রশান্তির খোঁজে।

in Incredible India18 days ago
PhotoCollage_1714926338931.jpg

Hello Friends,
একটু প্রশান্তির খোঁজে বিকেলে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। ঠিক বিকেল বললেও হয়তো ভুল হবে তখন ছিল গোধূলি লগ্ন। আকাশে মাঝেমধ্যেই সাদা মেঘ ভেসে আসছিল কিন্তু দক্ষিণা বাতাস যেন মেঘকে সরিয়ে দিচ্ছিল।

আজও বাবার মুখে শুনলাম যে দক্ষিণা বাতাসে মেঘ দেখা দিলে নাকি বৃষ্টি হয়। এটা এই মুহূর্তে আর মিলছে না। তবে বড়'দির নাম্বারটা মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠতেই রিসিভ করলে বড়'দি বলল মোংলা এবং রামপালের বিভক্তকারী নদীর দুই পাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।

হয়তো এ কারণেই হাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ছিল। কিন্তু আমি এপাশ থেকে বললাম আমাদের এখানে সেইরকম মেঘ ও দেখা যাচ্ছে না।

আমি নই কোনো আবহাওয়াবিদ আবার নই কোনো গবেষক এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত ও অভিজ্ঞতা। আমি পূর্বে ও হয়তো পোস্টে উপস্থাপন করছছিলাম যে আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই বছরের মতো চাকরি করেছি। চাকরি সূত্রে মাঝেমধ্যেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেতাম।

বিশেষ করে চারশত টাকা করে বাইক ভাড়া করে আমি প্রতিমাসে ২/৩ বার বৈদ্যমারী যেতাম। এই নামটা শুনে আপনারা বুঝতে পারবেন না এটা সেই লোনা জলের বন/ ম্যানগ্রোভ বন বা সুন্দরবনের পাশের একটি গ্রাম।

আমি এতোটাই আকৃষ্ট হয়েছিলাম যে আমি সর্বদাই হাতে সময় নিয়ে যেতাম কারণ সুন্দর বনের অপর পাশে গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে শ্বাস নিতে আমি ভীষণ পছন্দ করতাম। এখনো মনে হয় যেন সুযোগ পেলেই গিয়ে ঘুরে আসি।

হঠাৎ যে কারণে এই সময়টা মনে পড়েছিলঃ

IMG20240505181429.jpg

বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে আমি বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। অন্যদিন এরকম সময়েও পশ্চিম আকাশে ডুবন্ত টগবগে লাল সূর্য দেখা যায়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই মেঘের ঘনঘটা যে কারণে দেখা যাচ্ছিল না।

যদিও তাপমাত্রা ৩৩° সেলসিয়াস কিন্তু মানুষ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। এখনো গরমের ধকল কাটিয়ে ওঠেনি মনুষ্য শরীর। তাই মনে হয় সোরগোল নেই। সামনেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুধুমাত্র মাইক ও বক্সের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে মাঝেমধ্যে।

প্রকৃতি যেন একটা অন্যরকম রূপ ধারণ করেছে। আমি কিছুটা সুন্দরবনের পাশের গ্রামের পরিবেশ অনুভব করেছি। যে কারণে লেখার শুরুতে আমি কিছু স্মৃতি এবং আমার অনুভূতি তুলে ধরেছি।

IMG_20240505_220820.jpg

দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে অর্থাৎ গোধূলি লগ্নে আমার মতো অনেকেই ছুটে এসেছিল সেলিম ভাইয়ের সুস্বাদু লেবুর শরবত খাওয়ার জন্য। ভীড়ের কারণে ছবিটা পর্যন্ত ক্যামেরা বন্দি করতে পারিনি। শরবত খাওয়ার পরে একটি কম্পিউটারের দোকানের পাশে চায়ের দোকানে চা অর্ডার করেছিলাম।

IMG_20240505_221206.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানদার আমাদেরকে চা দিয়েছিল। যেহেতু, আমরা তিনজন তাই আমাদের মতো করেই চা দেওয়া হয়েছিল। আমি সাধারণত চিনিছাড়া চা খেতে পছন্দ করি। তাই দোকানদার সেরকমটাই দিয়েছিলেন।

IMG_20240505_221249.jpg

চায়ের দোকানে নিজের কথার থেকে অন্যদের কথাই বেশি কানে আসে। তাছাড়া সামনে যেহেতু একটা নির্বাচন তাই সেই গুনগানই বেশি শোনা যাচ্ছে। যার যাকে পছন্দ তাঁর প্রশংসাতেই তিনি ব্যস্ত। তবে চায়ের দোকানে শ্রোতা হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

IMG_20240505_221848.jpg

তেমাথাতেই এক নেতা/প্রার্থীর ক্ষণস্থায়ী অফিস নেওয়া হয়েছে। যেখানে শিশু থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর মানুষের সমাগম। তাছাড়া চব্বিশ ঘন্টা আছে চা-পানের পরিষেবা যে কারণে ভোট কেউ দিক বা না দিক এই খাবারটা অনেকে মিস করবে না।

এবার বাড়িতে ফেরার পালা, বাবাকে দেখেই ডেকে একটা অটোরিকশা করে বাড়িতে ফিরেছিলাম। বন্ধুরা, আপনাদের আজকের বিকেলটা কেমন ছিল?

আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি, সকলে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...


We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @edgargonzalez

 13 days ago 

আপনার সবগুলো পোস্ট পড়লেই কেন জানি মনে হয়। আপনি একটু ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করেন। যাইহোক আপনাদের ওইদিকে তো বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমাদের এই দিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কোন নাম গন্ধ নেই।

আপনার সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 68055.12
ETH 3813.21
USDT 1.00
SBD 3.72