মাছ দেখার মূহুর্ত।
রুটিনটা বড্ড একঘেয়েমি মনে হচ্ছিল, তাই আজ গোধূলি লগ্নে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে যেটা সবচাইতে বেশি উপভোগ্য তা ছিল মাছের সমারোহ। তাহলে চলুন সেই সময়টুকু যেটা একটু হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছিল।
গ্যালাক্সি শো-রুমে গিয়ে দেখলাম সব Vivo Mobile কেমন লাগে তখন। আমার গ্যালাক্সি ফোন একদমই পছন্দ ছিল না তবে ইদানিং ভালো লাগতে শুরু করেছে। কারণ বর্তমানে কিছু গ্যালাক্সি মোবাইল দেখছি যেগুলোর প্রসেসর খুবই ভালো। এক কথায় অসাধারণ, তবে বাজেট ৭০/৮০হাজার রাখতে হবে। যাইহোক, শো -রুমের দ্বিতীয় চিত্র দেখেই বেরিয়ে পড়লাম। পাশেই মাছের অনেক বড় বাজার যেখানে গলে মনে হয় সমুদ্রের পাড়ে ঘুরে ঘুরে মাছের দোকান দেখছি।
এই বড় আকৃতির মাছটিকে অনেকেই কোরাল মাছ মনে করতে পারেন কারণ সাদৃশ্যতা রয়েছে। তবে আমার মনে হয় সমুদ্র থেকে ধরা কোরাল মাছ দেখতে এতোটা উজ্জ্বল হয় না। এই ছবিতে যেটা দেখছেন সেইটা হলো জোয়ার ভাটা জলেরই একটি মাছ যেটা পুকুরে ও পালন করা যায়। এমনকি এরা যদি পাঁচ অথবা ছয় বছর কোনো পুকুরে টিকে থাকতে পারে তাহলে এরা দানব আকৃতি ধারণ করে।
মাছ আসলে দানব হতেই পারে না। তবে দানব এ কারণেই বললাম যে এরা রাক্ষুসে প্রকৃতির মাছ। আমি নিজ হাতে ৮/৯কেজি ওজনের ভেটকি ধরেছি যেটা ধরার জন্য ও বিপদজ্জনক। এতো ক্ষিপ্র এঁদের চলাচলের গতি এবং ধারালো চোয়াল যে আপনি কিছু বোঝার আগেই আপনার হাত ফসকে বেরিয়ে যাবে। অন্যদিকে আপনাকে রীতিমতো আহত করেই ছাড়বে। ওদের ব্লেটের মতো ধারালো চোয়ালে হাত পা বাঁধলে কখন কেটে যাবে সেইটা বোঝাই যায় না।
পাশেই দেখলাম কালো রূপচাঁদা, বাতির জন্য মনে হচ্ছি রূপালীটা যেটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে মূল্যটা একটু বেশিই মনে হলো, অন্যদিকে সাইজ ও অনেক ছোট। তবে মাছ বিক্রেতা খানিকক্ষণ মাছ বিক্রির বৃথা চেষ্টাই করলো। কিছু ব্যাবসায়ীদের আমাদের এখানে এই ধরনের ব্যাবসায়িক চিন্তা ধারা যেটা খারাপই লাগে। ক্রেতার ডিমান্ডটা ও মাথায় রাখা উচিত। আমার ডিমান্ড ছিল রূপালী রূপচাঁদা কিন্তু মাছ বিক্রেতা নেই সেটা না বলে ঐটাই আমাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
এটাকে আমাদের এখানে ভাঙ্গাল মাছ বলে যেটা হয়তো ভিন্ন নামেও অন্যরা চিনতে পারে। এই মাছের বেশ কয়েকটি প্রজাতি হয়। যদিও মাছটার মূল্য এবং চাহিদা বেশি তবে আমি আবার এটা খেতে পছন্দ করিনা। ভাঙ্গালের অন্য আর একটা প্রজাতি আছে সেইটা আমার বেশি পছন্দের।
এই হলো সেই বিখ্যাত জাবা মাছ, ভালো কোনো নাম আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই। তবে মাছের বাজারে এই সামুদ্রিক মাছটা শীতের সময়ে অন্য মাছের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। এঁরা গভীর সমুদ্রে থাকে এবং দলবেঁধে চলতে পছন্দ করে। ভোল জাবা মাছের নামটা হয়তো অনেকের কাছেই পরিচিত। আবার কেউ কেউ খটক মাছ বলে যেটার এক কেজি মাছের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই মাছে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আছে।
এই সেই রূপালী ইলিশ যেটা আমাদের জাতীয় মাছ। এটা অনেক ছোট আর আমাদের এখানে চন্দনী ইলিশ বলা হয় এটাকে। ২কেজির চন্দনী ইলিশ নিয়ে চলে এসেছিলাম। মাছটা খেতে দারুন হয়েছিল। যাইহোক, কিছুটা সময় ব্যস্ততার মধ্যে থেকেই ভালো লেগেছিল।
যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@kouba01,
Sir, thank you so much ☺️ for your attention. 🙏🙏🙏
কথার সাথে একমত প্রতিদিনই কাজের সাথে নিজেকে আমরা একঘেয়েমি করে তুলি, তবে গোধূলি না লগ্নে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা কিন্তু সত্যি বেশ ভালো ,,।
সেই সাথে এত সুন্দর মাছ দেখা ভালোলাগার একটা বিষয়, বেশ কয়েক ধরনের মাছ শেয়ার করেছেন, নদীর এই মাছগুলো সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর ,, এর ভিতরে আমার ইলিশটাই বেশি পছন্দ তবে, ইলিশের আগে যে মাছটা দেখতে পাচ্ছি এটা আমি লালপোয়া নামে জানি।
টাটকা টাটকা রান্না করলে ভীষণ মজার হয় খেতে, যাইহোক ধন্যবাদ কিছু মাছ দেখার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।।
মাছের গল্প আর আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগল আপু। বাজারের নানা প্রজাতির মাছের বর্ণনা এবং তাদের স্বাদ ও বিশেষত্ব নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার হয়েছে।
রূপালী ইলিশ থেকে শুরু করে জাবা মাছের গল্প, প্রতিটি অংশে প্রকৃতির স্বাদ ফুটে উঠেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও এভাবে আপনার অভিজ্ঞতা আর সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে ভাগ করবেন। সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।