Better Life with Steem|| The Diary Game|| 10th December 2024
Hello Friends,
গত পরশু রাত থেকেই একটা উদ্বিগ্নতা কাজ করছিল কখন যেন রাত পোহাবে। এটাই প্রথম যে স্মার্টফোন ছাড়া দুইদিন অতিবাহিত করা। তারপরেও বিশেষ সুবিধা হলো না, অন্যান্য দিনের মতো বিলম্বই হলো ঘুম থেকে উঠতে। ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলাম সাড়ে নয়টা বাজে, ব্রাশ করতে করতেই দৌড়ে গিয়েছিলাম স্কুলে।
কাকিমার থেকে মোবাইলটা নিয়েই আমার সিমটা চালু করে ডাটা অন করে নয়নকে বাজারে যেতে বলেছিলাম। অন্যদিকে আমি বাড়ি পৌঁছে রেডি হয়ে বেরোতেই একটা গুরুত্বপূর্ণ কল, তারপর কথা বলতে বলতে বাজারে পৌঁছেছিলাম।
যেহেতু, নয়নের বিলম্ব হচ্ছিল তাই একটু বাজারের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। অন্যদিকে ফয়লা বাজার অনেক দিন যাওয়া হয়নি, শুনেছি রাস্তা নাকি অনেক খারাপ। অবশেষে নয়ন এসে হাজির হলেই আমরা একটা অটো ভ্যানে করে রওনা দিলাম।
নয়ন অটোতে উঠেই বললো রাস্তা আগের থেকে এখন অনেকটাই ভালো। কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম এবং যথাস্থানে পৌঁছে দেখলাম আসলেই রাস্তা বেশ ভালোই। কিন্তু বাজারের মধ্যে রাস্তার কাজ চলছে যেখানে পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও কষ্টকর।
রাস্তার কি একটা অবস্থা দেখেই যেন ক্লান্তি চলে আসছিল। সৌভাগ্যক্রমে, আমার নতুন মোবাইল নেওয়া লাগেনি, কারণ মোবাইল মাটিতে পড়ে যাওয়ায় Display তে একটু ত্রুটি হয়েছিল। তাছাড়া মোবাইল ম্যাকানিক আমার পরিচিত এক বড় ভাই যিনি দক্ষ ও বটে।
যে কারণে নিজের ফেলে রাখা একটা Mobile এর Display লাগিয়ে রেখেছিলেন। আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছিলাম। বরং তিনিই দোকানে নিয়ে কফি অফার করেছিলেন। ঐ যে বড় ভাই বলে কথা তাই আর না করতে পারিনি। এখনো সম্পর্ক এবং মানবিকতা বেঁচে আছে এইরকম কিছু মানুষের জন্য।
Shopping
NO. | Name | BD Price | Steem Price | Photo |
---|---|---|---|---|
1, | Pant | 850.00 | 32.69 | |
2, | Kates | 1200.00 | 46.15 |
যদিও পূর্ব থেকেই এগুলো কেনার বাজেট ছিল সাথে আরো অনেক কিছু কিন্তু বাজারের মধ্যে রাস্তার হাল দেখে অন্য গুলো আর দেখতেই ইচ্ছে করছিল না। পাশাপাশি , ভীষণ খিদে পেয়েছিল। তবে খুব ভালো মানের খাবারের অভাবে রেস্টুরেন্টে ও যাওয়া হয়নি।
ফেরার পথে স্ট্যান্ডে পৌঁছে একটা দোকানে সিদ্ধ দেশী হাঁসের ডিম দেখেই দুই ভাইবোন দুটো খেয়েছিলাম। পাশেই একটা বড় নদী যেটা এখন খালে পরিণত হয়েছে, পরিবেশটাও বেশ ভালো ছিল। তাই কিছু সময় ব্রিজের ওপরে হাঁটাহাঁটি ও করেছিলাম। এখানে আমার যাতায়াত আমাদের স্থানীয় বাজারের মতোই যে কারণে হাঁটতে অনেকটা সাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম।
প্রকৃতপক্ষে, আমার শপিং করতে একদমই ভালো লাগে না। যদিও টাকা খরচের হিসাব কেউ চাওয়ার নেই কিন্তু যেটা খুব বেশি দরকার ছিল সেইটা কিনেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। যে কারণে টাকা একদমই খরচ হয়নি বললে চলে। যেহেতু, বড়সড়ো বাজেট নিয়েই গিয়েছিলাম কারণ মোবাইল কেনার দরকার ছিল। যে কারণে টাকা গুলো আর ব্যয় করতে হয়নি।
আমার হাতে টাকা থাকলেই সমস্যা, ফালতু কাজেই বেশি খরচ হয়। যাইহোক, বিকেলে বাজারে যাওয়া হয়েছিল ব্যাডমিন্টনের কিছু সরঞ্জাম কেনার জন্য। কিছু সময় অতিবাহিত করেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
রাতে খেয়ে ব্যাডমিন্টন খেলবো না বলেই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। আমি দুটো ম্যাচ খেলার পরেই মন্দিরের বারান্দায় বসে পোস্ট লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু বেশ লোকজনের ভীড় তাই অর্ধেকটা লেখার পরে আর একটা ম্যাচ খেলে বাড়িতে ফিরে ডিনার করেছিলাম। ডিনার শেষ করে লেখার বাকি অংশ সমাপ্ত করে কম্পিউটার ডেস্কে বসেছিলাম।
এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।