Better Life with Steem|| The Diary Game|| 13th December 2024

in Incredible India13 days ago
PhotoCollage_1734094184455.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
হঠাৎ করেই ঠান্ডা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে যেটা এই মুহূর্তে বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। বিবিধ কারণে কখন যেন সময় অতিবাহিত হয়েছে নিজেও বুঝতে পারিনি। অন্যদিকে বিকেলে বাইরে যাওয়ায় ধূলোবালি, সব মিলিয়ে একটা বিশ্রী অবস্থা।

যাইহোক, এখন আমি আমার আজকের দিনটি আপনাদের সাথে ভাগ করতে চলে এসেছি। সকালে আজ ঘুম ভেঙ্গেছিল ছয়টার দিকে। কিন্তু অতিরিক্ত শীতে গরম বিছানা ছাড়তেই ইচ্ছে করছিল না। তাই আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

IMG20241213111124.jpg

IMG20241213111116.jpg

IMG20241213111049.jpg

IMG20241213110835.jpg

যদিও শুক্রবার তবুও বিদ্যালয় খোলা ছিল এবং খোলা বলতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিল। যেহেতু, বিকেলেই অনুষ্ঠিত হবে একটি আলোচনা সভা। তাই সকালে স্নান সেরে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে চায়ের জল গরম করতে দেখে বেশ ভালোই লাগলো।

বর্তমানে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ না থাকায় জ্বালানির অভাবে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে আমি মনে করি আমাদের প্রয়োজন মেটাতে যতোটা দরকার যদি আমরা সচেতন হয়ে ততোটা ব্যবহার করি তাহলে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

অনুরূপভাবে এই বিদ্যালয়ের মতো সকল দপ্তর গুলোতেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কোনো কিছুই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ঠিক না। এই ছোট থেকেই বড় কিছুর সৃষ্টি হয়।

IMG20241213150417.jpg

পাড়ার কয়েকজন মিলে চেয়ার সাজানো শেষ করলো তখন প্রায় দুপুর একটা বাজে। শীতের সময় যেন সকাল হতেই কিভাবে বিকেল চলে আসা। পাশাপাশি, যদি আমার মতো বিলম্ব হয় ঘুম থেকে উঠতে তাহলে তো কোনো কাজ করেই এগোনো যায় না। প্রকৃতপক্ষে, শীতের সময় দিনটা একটু ছোটই হয়।

IMG20241213121331.jpg

যতোক্ষণ ব্যস্ত ছিলাম ততোক্ষণ শীত অনুভূত হয়নি কিন্তু স্থির হয়ে দাঁড়াতেই যেন শীতল হাওয়া শীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। অন্যদিকে খিদেও পেয়েছিল। কারণ সকালে খাওয়া হয়নি। যাইহোক, বাইকে করে এক অথবা দেড় মিনিটের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। দুপুরের খাবার সম্পন্ন করতেই যেন শীত আরো বেশি লাগছিল। আমি দ্রুত শীতের হুডি পরেছিলাম এবং বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম।

IMG20241213162204.jpg

IMG20241213162154.jpg

আমি বিকেলে তিনটের দিকে আবারো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌঁছে ছিলাম। তবে লোকজন তেমন একটা না থাকায় পাশেই এক কাকুর বাড়িতে কমলা খেতে গিয়েছিলাম। বাড়ির মধ্যে যেতে হবে তাই আমরা ২/৩ জন গিয়েছিলাম। যদিও দেখতে অর্ধেক পাকা মনে হচ্ছিল তবে গাছের কমলা খেতে তো হবেই। এই সুযোগ বারবার আসবে না। আমরাও নাছোড়বান্দা, সকলে একটা একটা করে কমলা নিয়ে ফিরে এসেছিলাম। নচেৎ গাছের ডালপালা থাকলেও কমলা থাকবে না সকলে যদি চলে আসে। এমনি ২/৪টা গাছ ও উধাও হয়ে যেতে পারে। বাঙালি বলে কথা ফ্রির জিনিস ছাড়লেই পাপ হবে।

IMG20241213163653.jpg

ইতিমধ্যে, চেয়ার বুকিং হয়ে গিয়েছে এবং মঞ্চে ও নিমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত। অনেক লোকজন থাকলেও সোরগোল কমই ছিল। সকলে মনে হয় মৌনব্রত পালন করছিলেন। সূচনালগ্নেই আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে পৌঁছে ছিলাম। আমার বন্ধু মুক্তির সাথে কথোপকথন সেরে গোধূলি লগ্নে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। তবে ধূলোবালিতে খারাপ লাগছিল। বাড়িতে ফিরেই গরম জল দিয়ে স্নান করেছি কিন্তু পরক্ষণেই যেন অতিরিক্ত শীত লাগছিল।

IMG20241213183617.jpg

সন্ধ্যায় প্রচন্ড খিদে পেয়েছিল, মা'কে খাবার দিতে বলা মাত্রই মটনের চর্বি দিয়ে চানাচুর ও মুড়ি মেখে আমার কম্পিউটার ডেস্কে দিয়েছিল। এমনিতেই অনেক মজা হয়েছে আবার খিদে পেট এক কথায় সেই স্বাদ। এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি।