Better Life with Steem|| The Diary Game|| 23th November 2024
নমস্কার বন্ধুরা,
গতকাল বাড়িতে ব্যস্ততার মধ্যে থাকার করে লেখার সময় বের করতে পারিনি। এটা হয়তো বিগত ২/৩ বছরের রুটিনকে ঙেঙ্গে দিয়েছিল যে দুপুর বারোটার পর থেকে এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম যে রাত এগারোটার দিকে মোবাইল হাতে নিয়েছিলাম। মাঝেমধ্যেই কয়েকটা ছবি তুলেছি, এছাড়া মোবাইলে হাত লাগানোরই সময় ছিল না। আমি এখন আমার বিগত দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার ঘুম থেকে উঠতে অন্য দিনের তুলনায় আরো বেশি বিলম্ব হয়েছিল। অন্যান্যদিন সকাল দশটায় ঘুম ভাঙলেও বিগত দিন ঘুম থেকে উঠতে সকাল এগারো বেজেছিল। কারণ আগেরদিন অনেক কাজ করেছিলাম এবং প্রায় ভোরের দিকে বিছানায় গিয়েছিলাম। বাইরে বেরোতেই ভাগ্নি আমার কোলে এসেছিল এবং আমরা কিছু সময় চেয়ারে বসে মোবাইল দেখছিলাম।
সকালে আর কিছু খেতেই ইচ্ছে করছিল না। আবার বাজারে একটু কাজ ছিল তাই বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। যেহেতু, ভাটার সময় তাই এই ছোট খালের একদম তলানিতে ছিল জল। বর্ষাকাল এবং এখনকার চিত্র সম্পূর্ণই ভিন্ন।
পূর্বে একটা পোস্টে আমি রাস্তার কথা বলেছিলাম সেই রাস্তার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যেহেতু, দোকানদার দোকানে উপস্থিত ছিল না তাই আমি বাজারের পূর্ব দিকে গিয়েছিলাম।
যাইহোক, দোকানদার দোকানে আসতেই আমিও দোকানে চলে এসেছিলাম। দোকান থেকে এক কেজির এক প্যাকেট পুষ্টি আটা নিয়েই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আজকের আবহাওয়ায় ছিল ভিন্নতা। উত্তর দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল।
এখনো বৃদ্ধা মায়ের সেবা করার মতো সন্তান ও দেখা যায়। দুপুরে বাড়িতে ফিরে স্নান করে যাবো তখন একটু বোনের বাড়ি গিয়েছিলাম কিছু ফল নিয়ে আসার জন্য। পথিমধ্যে দেখা হলো আমার এক কাকুর সাথে যিনি তাঁর মাকে রৌদ্রে উঠোনে চেয়ারে বসানোর চেষ্টা করছিল। যেহেতু, প্রায় একশত বছরের মতো বয়স তাই আমরা যেটা সহ্য করতে পারি তিনি সেটা পারেন না।
এমনকি মাঝেমধ্যেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন এই ঠাকুরমা কিন্তু আমার এই কাকু ক্লান্তিহীন ভাবে মায়ের সেবাযত্ন করে আবারো সুস্থ্য অরে তোলেন। আমাদের বর্তমান সমাজে সন্তানদের বাবা মায়ের খোঁজ রাখার সময় কোথায়? মা-বাবা বৃদ্ধ হলেই যেন পরিবারের বোঝা মনে করে। আমার এই কাকুর সব দিক ভালো এমনটা না কিন্তু সন্তান হিসেবে তিনি উত্তম।
স্নানে যাওয়ার পূর্বে আবার আমি জ্যাঠাবাবুকে সাহায্য করতেছিলাম, কারণ আগামী সপ্তাহে কালী পূজো এই জন্য উঠোন পরিষ্কার করতে হবে। তবে বেশিক্ষণ থাকা সম্ভব হয়নি, অন্যদিকে বাড়িতে কাকুর মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। এমনকি আজকেই আশীর্বাদ এইরকম একটা বড় আয়োজন। যদিও শনিবার ছিল কিন্তু কিছু করার নেই কারণ বড়'দি, কাকু ও কাকিমা সবার রবিবার থেকে আবার অফিস শুরু।
তাছাড়া বাড়ির মধ্যে অধিকাংশই এই অবস্থানে যে কারণে সকলের উপস্থিতির সুবিধার্থেই শনিবারের বিকল্প ছিল না। আমি বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে কাকুর ঘরে গিয়েছিলাম।
খাবারের পদঃ-
✅ বেগুন ভাজি
✅ মুড়িঘণ্ট (রুই মাছের মাথার সাথে মুগ ডাল)
✅পার্সে মাছ ভাজি
✅গলদা চিংড়ির মালাইকারী
✅রুই মাছ
✅দেশী হাঁসের ডিম
✅দেশী মুরগির মাংস
✅ ব্রয়লার
✅খাসির মাংস
✅চাটনী
✅দধি
✅মিষ্টি
এতো গুলো পদ সব বাড়িতেই রান্না করে হয়েছিল। যেখানে মা ও বড়'দির অংশগ্রহণ বেশি ছিল। অন্যদিকে পিসির পায়ে সমস্যা সাথে নূয়া ঠাকুরমা ও অসুস্থ্য যে কারণে সহযোগী ও কম ছিল।
মেহমান আসলেই তাঁদের জল খাবার কিন্তু আমার তো খিদেয় অবস্থা খারাপ হয়ে আসছিল। কি করা যায়, কোনো বুদ্ধি আসছিল না। জল খাবার খাওয়ার পরে সকলের পঞ্জিকা দেখা ও কথোপকথন। অন্যদিকে বড়'দি আমার জন্য ৭/৮ পিস খাসির মাংস তুলে প্লেটে দিয়ে খেতে বলতেই আর বিলম্ব নেই। অমনি খপখপ করে খেয়ে নিয়েছিলাম। খিদে পেটে আবার খাসির মাংস বলে কথা। পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সকলের খাওয়া শেষ হতে হতেই রাত নয়টার মতো বেজেছিল। তারপর বাবা, কাকু, বাবু ও দাদাসহ আমরা সকলে মিলে বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলাম। এগারোটার দিকে আমি বাড়িতে ফিরেই শুয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
Hi, @piya3,
Your post has been manually curated!