Better Life with Steem|| The Diary Game|| 27th March 2024

in Incredible Indialast month
PhotoCollage_1711609519988.jpg

Hello Friends,
কিছুদিন বাদেই রমজানের ইদ এবং তারপরেই আমাদের বাসন্তী পূজা, অর্থাৎ সব মিলিয়ে মানুষের মনে এখন এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করছে। যদিও অনেক গরম কিন্তু বসন্তের দক্ষিণা বাতাসের কারণে গরমের তীব্রতা তেমন একটা বোঝা যাচ্ছে না।

এখন বাংলাদেশ সময় ঘড়িতে সবেমাত্র দুপুর ০১.০০টা, আমি চিন্তা করলাম এতো দ্রুত স্নান না করলেও চলবে। যেহেতু, অনেক গরম তাই এখন পোস্ট লেখাটা এগিয়ে রাখা ভালো হবে। এখন আমি আমার দৈনন্দিন জীবনের একটি দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থাপন করবো। আশাকরি, আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

Morning

আমি গতকাল সকাল সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম কিন্তু ঘুম যেন চোখে লেগেছিল। তাই আবারো বারান্দায় খাটে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর মায়ের ডাকে সকাল দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে আবার খাবার খেতে ও ইচ্ছে করে না। যেহেতু, খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী আমি ও আমার পরিবারের সকলেই তিনবেলা ভাত খাই, তাই এটা মনে হয় ভারী খাবারের তালিকাভুক্ত।

IMG20240327132759.jpg

তারপর আমি আমাদের স্থানীয় বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। আকাশে কোথাও মেঘের চিন্হ মাত্র নেই । যার ফলে গরমটা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছিল। তবে রাস্তায় পা রাখতেই যেন একটা ভালো লাগা কাজ করছিল।

কিছুটা দূরে যেতেই রাস্তার বাম পাশে থাকা একটি বাগানের ছবি আমি মুঠোফোনে সংগ্রহ করেছিলাম। কারণ বসন্তে নতুন পাতা গজিয়ে যেন প্রকৃতি তাঁর প্রকৃত রূপে পদার্পণ করেছে।

IMG20240327175629.jpg

আমাদের বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব মাত্র এক-চতুর্থাংশ কিলোমিটার। যদিও চলতি গাড়িতে বাজারে যাওয়া সম্ভব কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই পায়ে হেঁটে বাজারে গিয়েছিলাম। দোকানে পৌঁছেই একটা নতুন খাবার দেখেছিলাম।

আমার আবার এইসব খাবারের প্রতি ঝোঁক আছে, তাই দোকানে পৌঁছে এই নতুন খাবারটি দেখা মাত্রই সম্পূর্ণ পাত্রটি হাতে নিয়ে ২/৩টি বের করেছিলাম। তারপর একটু খেয়ে দেখলাম এটা অনেকটা মিষ্টি, তাই আরো একটি খেয়েছিলাম।

IMG20240327115610.jpg
IMG20240327114723.jpg

এখন রমজান মাস তাই আমাদের বাজারে লোকজন নেই বললেই চলে। কিন্তু আমি যে দোকানে গিয়েছিলাম সেখানে ফ্রিজ ছিল না, তাই ঠান্ডা কিছু খাওয়াটা ছিল অসম্ভব। আমি এই প্রখর সূর্যের তাপ উপেক্ষা করেই বাজারের পূর্ব দিকের একটি দোকানে গিয়েছিলাম।

আমি ঐ দোকানে পৌঁছে ফ্রিজ থেকে সদ্য রাখা একটি লাচ্চি নিয়েছিলাম। পাশাপাশি আমি মেয়াদ ও পর্যবেক্ষন করেছিলাম অন্যথায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো কিছু খেলে শরীরে প্রভাব পড়বে যেটা আমি পূর্ব থেকেই জানতাম।

আমাদের সকলেরই জানা যে বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাবার খাই কিন্তু এই খাবারই হতে পারে আমাদের জীবন নাশের কারণ। তাই কোনো কিছু খাওয়ার পূর্বে সেইটা সম্পর্কে একটু সচেতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Noon

IMG20240327131357.jpg

আমি লাচ্চি খাওয়া শেষ করেই আবার পূর্বের দোকানে গিয়েছিলাম যখন দুপুর বারোটা বেজেছিল। এরপর দেখলাম এক আখের রস বিক্রেতা কাকু প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাজারে আখের রস বিক্রি করতে যাওয়ার জন্য।

আমি, মামা ও আমার সুমন কাকু দোকানে বসে স্টিমিট নিয়ে কথা বলতেছিলাম। আমি ইতিমধ্যে কাকুকে একটা স্টিমিট account create করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ আমার কাকু একজন সচেতন ও শিক্ষিত মানুষ। যেহেতু কাকু একজন প্রভাষক হিসেবে রয়েছেন, তাই কাকুর হাতে অনেক অবসর সময় ও থাকে। তাছাড়া কাকু আমার স্টিমিট প্রোফাইল ও পরিদর্শন করেছেন।

যদিও আমি কাকুকে পূর্বে অনেকবার বলেছি কিন্তু কাকু নিজে থেকে তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করেনি।তবে আগ্রহ প্রকাশ করে তেমন একটা ভালো ফলাফল হয়নি। কারণ কাকুর মোবাইলের ই-মেইল এ কোড যাচ্ছিল না। আমি কাকুকে খুব শীঘ্রই একটি steemit account create ও কাজ গুলো বুঝিয়ে দিবো যেটা আমার সিদ্ধান্ত এরকমটাই কাকুকে জানিয়েছিলাম।

IMG20240327132652.jpg

আমাদের গ্রামে সকাল থেকেই লোডশেডিং চলছিল যে কারণে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয় মাঝেমধ্যেই। তাই খুব সকালে ঘুমের মধ্যেও আমিসহ আমরা কয়েকজন আমাদের বিভাগীয় শহরে কল দিয়েছিলাম।

যে কারণে এইমাত্র জেনারেটর পৌঁছেছে আমাদের গ্রামের টাওয়ারের কাছে। আমি জেনারেটরের ট্রাক রাস্তায় প্রবেশ করতে দেখেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পথিমধ্যে পৌঁছে ২/৩ টি ছবিও মুঠোফোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিলাম।

IMG20240327191212.jpg

বাড়িতে ফিরেই কেমন যেন ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছিল। তাই বাড়িতে রান্না করে রাখা খাসির মাংস থেকে কিছুটা মসলা উঠিয়ে নিয়েছিলাম এবং সাথে ছিল খাসির চর্বি। আমি মা'কে বললাম মুড়ি মাখানোর কথা। মা ঘরে খাবারের পাত্রে রাখা মুড়ি নিয়ে এসেছিল।

তারপর একটি সিদ্ধ ডিম, খাসির মসলা ও চর্বি, কাঁচা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও চানাচুর দিয়ে মা মুড়ি মেখে দিয়েছিল। আহ! দারুন মজা হয়েছিল খেতে। আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যেই বলছি যে বাড়িতে এভাবে সময় সুযোগ হলেই মুড়ি মেখে খেতে পারেন।

সত্যি কথা বলতে বাইরের খোলা খাবার সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আপনি যার থেকে এই ধরনের খাবার ক্রয় করবেন যদি তিনি দীর্ঘদিন এই ব্যবসা করেন তাহলে আরো ঝুঁকিপূর্ণ। আমার জানামতে কখনোই কোনো দোকানদার তেল পরিবর্তন করে না , বড়জোর তেল কমে আসা মাত্রই আবারো কিছু নতুন তেল ঐ কড়াইতে যোগ করে।

অর্থাৎ কেউ যদি বিশ বছর ধরে একই কাজ করে তাহলে আমরা বিশ বছর পুরনো তেলে ভাজি করা খাবার খাচ্ছি। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমিও বাইরে থেকে এই ধরনের খাবার ক্রয় করে খাই কিন্তু সুযোগ পেলেই বাড়িতে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করি।

Afternoon

এরপর নতুন পোস্টের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। যখন বিকেল তিনটা বেজেছিল তখন আমি স্নানে গিয়েছিলাম। তারপর দুপুরে আর কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না। কারণ মুড়ি একটু বেশি পরিমাণেই খেয়েছিলাম।

IMG20240327180604.jpg

আমি বিকেলে আবারো বাজারে গিয়েছিলাম কাঁকড়া ক্রয়ের জন্য। তবে কাঁকড়া বিক্রেতাকে না দেখে এক কাপ কফি খেয়েছিলাম। তারপর কাঁকড়া হাতে পেয়ে বিলম্ব না করেই বাড়িতে চলে এসেছিলাম।

IMG20240327163538.jpg
IMG20240327163127.jpg

আমি বাড়িতে ফিরেই দেখলাম আমার কাজিন উচ্চস্বরে চেঁচামেচি করে কান্না করছিল। আমাকে দেখা মাত্রই ঘরের বাইরে বের হয়ে তাকে এখন পশ্চিম পাশের বিলে ঘুড়ি উড়ানো দেখাতে নিয়ে যেতে হবে।

আমি বললাম ঠিক আছে, এটা বলতেই কান্না বন্ধ হয়েছিল। আমি ঘরে পৌঁছে জামাকাপড় পরিবর্তন করেই আমার কাজিনকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছিলাম। তবে একটু ভয় ভয় লাগছিল ওকে নিয়ে যেতে। কারণ এদিক ওদিক শুধু বিষধর সাপের আনাগোনা।

তাই কিছুটা পথ যেতেই আমি আমার কাজিনকে কাঁধে নিয়ে নিয়েছিলাম। শরীরের ওজন ও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই কোলে বা হাতের ওপর ধরে নেওয়াটাও সম্ভব ছিল না।

আঁকাবাঁকা পথ, তাই দুরত্বটা সঠিক বোঝা যায় না। তবে আনুমানিক অর্ধ-কিলোমিটার তো হবেই। আমরা ঘুড়ি যে ছেলেরা উড়াচ্ছিল সেখানেও গিয়েছিলাম। তারপর প্রায় এক ঘন্টার মতো সময় অতিবাহিত করেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

Evening and Night

তারপর আমরা বাড়িতে পৌঁছে নিজেদেরকে পরিষ্কার করেই একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। কিছু সময় পরে আমি মোবাইল হাতে নিয়ে কিছু পোস্ট পরিদর্শন করেছিলাম।

IMG_20240327_142757.jpg

রাত আটটার দিকে মা আমাকে রাতের খাবার খেতে ডেকেছিল। ইতিমধ্যে আমার মা সুন্দর করে কাঁকড়া ভুনা রান্নাটাও শেষ করেছিল। আমার সুস্বাদু খাবারের কথা ভাবলেই বেশি খিদে পায়। তাই অর্ধেকটা খাওয়া হতেই ছবি তোলার কথা মনে পড়েছিল। আমি দ্রুত মোবাইল নিয়ে এসেছিলাম ও ৩/৪টি ছবি তুলেছিলাম।

এভাবেই আমি গতকালকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

END

Sort:  
Loading...

TEAM 1

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by : @𝖾𝗅-𝗇𝖺𝗂𝗅𝗎𝗅



 last month 

@𝖾𝗅-𝗇𝖺𝗂𝗅𝗎𝗅,

Thank you so much for your encouraging support 🙏

 29 days ago 

আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে মনে হল খুব কর্ম ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করেছেন। বর্তমানে গাছের নতুন পাতা গজিয়ে নতুনভাবে নতুন রূপে সজ্জিত হচ্ছে। আপনার একটি বিষয় ভালো লেগেছে আপনি লাচ্ছি খেয়েছেন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ডেট ও দেখেছেন। যে কোন খাবার বাইরে থেকে কিনে খেলে সব কিছু দেখেশুনে খাওয়া উচিত। আপনার সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 27 days ago 

এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। রোজার এই কয়দিন বেশ ঠান্ডা থাকলেও বর্তমানে কিছুটা গরম বেড়েছে। আজকে গরমে বাজার করে নিয়ে আসতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। রোজার দিনে গরম পড়লে ভয়ে আমি বাসা থেকে বের হই না। কিন্তু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাজারে যেতে হয়েছিল।

 21 days ago 

গরমের শুরুর দিকেই গরমটা যেন একটু বেশিই পড়েছে। তাছাড়া আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তন মানুষের শরীরের উপর ও প্রভাব ফেলেছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বাড়ানো টাই উত্তম এবং আপনি সেই দিক দিয়ে ঠিক কাজই করেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 63841.10
ETH 3299.71
USDT 1.00
SBD 3.92