অতিথি আপ্যায়ন।
Hello Friends,
আমার শীর্ষক দেখেই অনেকে বুঝতে পেরেছেন আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। তবে আজকে যে তাপমাত্রা অতিথি এলেও আপ্যায়ণের ভয়ে হয়তো পলায়ন করতে হতো। আমি পলায়ণ করতাম এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আবহাওয়ার অবস্থা একদমই তাল-মাতাল। আমাদের এখানে আজকেও তাপমাত্রা ছিল ৩৮/৩৯° তাহলে শহরে কেমন ছিল? আমি গ্রামে থাকি যদি এখানে এই অবস্থা হয় তাহলে শহরের অবস্থা তো আরো খারাপ।
দিনটি ছিল বুধবার, আমার সপ্তাহের প্রিয় দিন যে কারণে সকাল থেকেই মনটা ছিল ফুরফুরে। পাশাপাশি ঐ দিন ছিল মহানবমী তিথি যেহেতু আমাদের মন্দিরে বাৎসরিক বাসন্তী পূজা উদযাপন চলছে তাই গরম উপেক্ষা করেও জনসমাগম দৃশ্যমান।
ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের।
এই বাক্যটি হয়তো আপনারা সকলেই অনেক বার শুনেছেন। এটা সঠিক, নচেৎ আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ একটি দেশে বসবাস করতে পারতাম না।
যাইহোক, এখন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমরা অতিথি আপ্যায়ণ পর্বে চলে যাই।
Location | Flower Stick | Per stick BD Price | Steem | Total sticks BD Price | Steem |
---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ | গোলাপ ও রজনীগন্ধা | 100.00 | 03.00 | 1000.00 | 30.00 |
আমাদের সংগ্রহে গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছিল। কিন্তু এটাকে আপনারা যতোটা তাজা মনে করছেন একদমই ঐরকম ছিল না। কারণ এই গুলো ৩/৪ দিন পূর্বে আমরা যশোর থেকে নিয়ে এসেছিলাম এবং আমার জ্যাঠাবাবুর এ সি কক্ষে রেখেছিলাম।
আবার অতিথি আসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আমরা কাজিন ও কাকিমা গন্ধরাজ ফুল দিয়ে মালা প্রস্তুত করছিল। যেহেতু, আমাদের এলাকার বার বার নির্বাচিত এম পি মহোদয়া এবং আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয় আসবেন।
আমাদের ধর্মীয় যে কোনো উৎসবে এনাদের উপস্থিতি থাকে যেটা আমাদেরকে আরো বেশি উৎসাহিত করে।
অন্যদিকে অতিথিদের জন্য বাহারি ফল কেটে সাজানো হচ্ছিল। এটা কোনো পূজার প্রসাদ ছিল না। অতিথিদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র জল খাবারের আয়োজন ছিল।
আমরা সকলেই যেন গরমে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। যাইহোক, আমার তেমন বিশেষ কাজ না থাকায় আমি সুযোগ বুঝে বড় স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে এগিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এই প্রচন্ড গরমে ফ্যানের হাওয়া ও অনেক গরম কিন্তু এই স্ট্যান্ড সেই দিক থেকে একদমই নিখুঁত।
আমাদের সকল কাজ শেষ ঠিক ঐ মুহুর্তে আমাদের অতিথি ও আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। আমরা সকলেই আমাদের মতো করে প্রধান অতিথিকে বরণ করে নিয়েছিলাম।
ধর্ম হোক না ভিন্ন, আমরা মানুষ আর অতিথি নারায়ণ।
আমি অনেক সময় বড়'দির কথা বলি, ইনিই হলেন আমার বড়'দি যিনি এম পি মহোদয়াকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। আমি এবং আমার বড়'দি সাধারণত মন্দিরে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে সম্পৃক্ত থাকি।
আমরা সকলে মিলে জল খাবার ও ফলমূল টেবিলে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয় দিকনির্দেশনা মূলক কিছু কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি, একটি খুশির বার্তা দিয়েছিলেন যে আমাদের মন্দিরের জন্য একটি সরকারি অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সকলে বসে কুশল বিনিময় করেছিলাম। কারণ স্থানীয় এবং রাজনৈতিক কাজের সূত্রে অধিকাংশ মুখই আমার পরিচিত। তাই আমাদের মন্দিরে আসা সকলেই ছিল আমাদের মেহমান। এভাবেই খুব সুন্দর ভাবে আমরা মন্দিরের পক্ষ থেকে অতিথিদের আপ্যায়ন পর্ব শেষ করেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি আমি এখানেই সমাপ্ত করছি, সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
সত্যিই আমরা যারা গ্রামে থাকি তাতেই আমাদের যা অবস্থা তাহলে শহরের অবস্থা একদম বলার বাইরে। সামনের দিনে আরো যে কতটা গরমের তাপমাত্রা হবে কে জানে।
অতিথি আপ্যায়নের খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাজে তথ্য শেয়ার করেছেন।
We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @patjewell
@patjewell,
Thank you so much my dear honourable ma'am for your encouraging support.🙏
The pleasure is all mine! ☕
❣️❣️