গ্রামীণ জীবনধারার এক খন্ড চিত্র।
Hello Friends,
গরমে যেন বার বার মনে হচ্ছে অন্য কোনো গ্রহে চলে যাই যেখানে নেই এই প্রচন্ড সূর্যের তাপ। বিকেলে একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছিল কিন্তু শরীর ঘেমে যে অবস্থা তাতে আর শুয়ে থাকতেই ইচ্ছে করছিল না।
বিগত রাতেও ঘুমাতে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ সময় রাত তিনটার দিকে আবার প্রয়োজনে ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম। যদিও উঠতে ইচ্ছে করছিল না কিন্তু মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙ্গেছিল। সাধারণত আমার মা সকালে আমাকে ঘুম থেকে দশটার আগে কখনোই ডাকে না।
অন্যদিকে ২/৩ দিন ধরে মা আমার সাথেই রাতে ঘুমাচ্ছে। কারণ সোমবার রাতে আমার শারীরিক অবস্থার একটু অবনতি হয়েছিল যেটা হয়েছিল দুর্বলতার জন্য। যে কারণে মা ও জানে আমি অনেক রাতেই ঘুমাতে গিয়েছিলাম। তবে এতো সকালে মায়ের ডাকাডাকি অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তো বটেই।
আমার চোখের ঘুম ঘুম ভাব তখনও কাটেনি, আমি চোখ মুছতে মুছতে আমাদের পশ্চিম পাশের ধান ক্ষেতে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে আমার বাবা ও কাজের জন্য কিছু লোকজন ও এসেছিল। আমার এতোটাই ঘুম পাচ্ছিল যে আমি ব্রাশে পেস্ট নিতে দাড়ালেই হয়তো ঘুমে পড়ে যেতাম তাই ব্রাশ ও করতে যাই নি।
ধানক্ষেতের ধান কাটা শেষ এখন বাড়িতে নেওয়ার পালা। তবে গবাদি পশুর ঘাস খাওয়ানোর একটা প্রতিযোগিতা ও চলছে। কে সকলের আগে গরু নিয়ে ধানের মাঠে বাঁধতে পারে। আমি যেতেই ধানের বোঝা নিয়ে আসা শুরু করেছিল সকলে। পাশেই আছে খেজুর গাছ আমি সুযোগ খেজুর গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলাম।
ধানসহ ধানের গাছ ২/৩ দিন রৌদ্রে শুকানো হয়েছে। এই ধান গাছে রোপন করা খুব ব্যয় সাপেক্ষ যেখানে রীতিমতো কৃষকদের যুদ্ধ করতে হয়। অথচ কাটার পরে দেখুন ২/৩ দিনের মধ্যেই ধান গাছের কচি পাতা গজিয়েছে।
গবাদি পশু বিশেষ করে গরু এই কচি ধান গাছের পাতা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। যে কারণে আমি অন্য সকলের অনুপস্থিতিতে পাহারা দিচ্ছিলাম। তবে রোদের জন্য এতোটাই গরম অনুভব হচ্ছিলো যেটা এভাবে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব না।
ধান আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য শস্য তাই দেখা যায় আমাদের দেশের সর্বত্র কম বা বেশি ধানের চাষ করা হয়। আমাদের দেশের একটি বিভাগ বরিশাল যেটাকে বলা হয় শস্যভান্ডার। কারণ এখানে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক বেশি।
অন্যদিকে দুইজন খাল কেটে পাইপের মাধ্যমে লবণ জল নেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আমিও এটা দেখেই একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার পুকুরের জন্য ও জল দরকার ছিল। নচেৎ বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়তে পারছিলাম না।
আরো একটা সুবিধা আছে খাল থেকে জল নেওয়ার ক্ষেত্রে। সাধারণত, জোয়ারের সময় পুকুরে জল প্রবেশ করে তাই ঐ জলের সাথে বিভিন্ন রকম নদীর মাছের পোনা ও পুকুরে জলের সাথে চলে আসে।
জোয়ারের জলে আসা মাজ গুলো যেমন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তেমনি সুস্বাদু। তবে কিছু রাক্ষুসে মাছের পোনা ও জলের সাথে আসে যেটা পুকুরের অন্যান্য ছোট মাছ খেয়ে ফেলে।
আমি পূর্ব থেকেই সাথে করে একটি ধারালো ব্লেট নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ধান নিয়ে আসা মাত্রই এখানে গবাদি পশুর মেলা বসবে, ঘাস থাকুক আর নাইবা থাকুক। গবাদি পশুর উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এই নেটের ব্যবহার করা হয়েছিল।
ধান রোপনের প্রাথমিক ধাপঃ
প্রথমেই আমাদের উচিত মাটির লবনাক্ততা পরীক্ষা করে এটার জন্য আমাদের সকলেরই তাঁদের নিজস্ব উপজেলাতে পাওয়া সম্ভব।
কৃষি কাজের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো কৃষকের পায়ের ধূলো। এটা বলা একদমই সঠিক, কারণ একজন কৃষক যদি জমিতে ঠিকঠাক না যায় তাহলে ধানক্ষেতের সমস্যা গুলো ধরা পড়ে না এটাই মুশকিল।
এই যে আমি সবেমাত্র ও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পোস্ট লেখা ছিল প্রায় শেষের দিকে কিন্তু ভীষণ ঘুম পাচ্ছিল। এভাবেই রোদকে উপেক্ষা করে একটু খোলা আকাশের নিচে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Your post has been successfully curated by @𝐢𝐫𝐚𝐰𝐚𝐧𝐝𝐞𝐝𝐲 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way, you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
গ্রামীণ জীবন একটি সুন্দর অমায়িক যার তুলনা হয় না ।আর আপনার ছবিগুলা তুলা খুবই সুন্দর হয়েছিল। এই গ্রাম থেকেই আমরা আমাদের খাদ্যের চাহিদা মিটাই ।এবং টাটকা শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য
যদিও বর্তমানে শহরেও ফসল উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে কিন্তু গ্রামের মতো আদেও সম্ভব না। তাছাড়া আমরা সকলেই জানি যে গ্রামেই কৃষকদের আদি নিবাস। আমি চেষ্টা করেছি ভাই ছবি গুলো মন থেকে ভালো ভাবে ক্যাপচার করার জন্য। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
বর্তমানে গরমের তাপমাত্রা এতোই বেড়ে গেছে যা বলার মত নয়। আপনার পোষ্টের গ্রামীন জীবনধারা ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের ওইদিকে দেখি ধান কাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি আসলেই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপর আর কোন দৃশ্য হতে পারে না।
গ্রামীণ জীবনদ্বারার সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।