Online Shopping .
source |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
আজ সকালে চিন্তা করলাম অনলাইন শপিং বিষয়বস্তু নিয়ে একটা লেখা উপস্থাপন করবো। যদিও এটা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল কিন্তু ইতিমধ্যে সময় শেষ। এটা অপরাধ ও বটে কারণ আমি সময় অনুসরণ করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে আমার কিছু বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা আছে যেটা এখন আমি নিজের মতো করে তুলে ধরবো।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ, হাতে একটা স্মার্ট ফোন থাকলেই ঘরে বসেই নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য সামগ্রী পাওয়া সম্ভব। তবে হ্যাঁ সেখানে আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার সঠিকভাবে জানতে হবে। পাশাপাশি এটাও সত্য যে এগুলো জানলেই যে শুধুমাত্র আমি প্রয়োজনীয় এবং সঠিক পণ্য হাতে পাব এটা সঠিক না।
হয়তো আমার এই অভিমতের সাথে অনেকেই সহমত পোষণ করবেন না কারণ আপনাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাটা ব্যতিক্রম। সত্যি কথা বলতে অর্থ উপার্জনের জন্য আমরা অনেকেই অসৎ পথ অবলম্বন করি যেটার মধ্যে একটা অনলাইন পরিষেবা যেখানে অনেকেই নিজেদের অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে নিয়েছে।
এক কথায় আমি অনলাইন পরিষেবার বিরুদ্ধে বলতে পারেন। অবশ্যই আমার এই বাক্যটি আপনাদের পছন্দ নাও হতে পারে কিন্তু আমি যে কারণে বললাম সেটাও আমি আপনাদের অবশ্যই লেখার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব।
অনলাইনে শপিংয়ের সুবিধা:-
source |
---|
✅ অনলাইনে শপিং করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সময় বাঁচাতে পারি।
✅ অনলাইনে শপিং এর ক্ষেত্রে পরিবারের সকলকে একসাথে নিয়ে বসে অনলাইনে পণ্য সামগ্রী পরিদর্শন করা সম্ভব হয়। যার ফলে ভিন্ন পছন্দের পণ্য সামগ্রী ও বাছাই করা সম্ভব এবং সহজ। কারণ একটি পরিবারে যদি দশ জন মানুষ থাকে তাহলে শপিং এর সময় ১০ জন একসাথে শপিং করতে বাইরে যাওয়া কিন্তু যথেষ্ট কষ্টকর।
✅ যাতায়াতেও বেশি মানুষের জন্য বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় কিন্তু অনলাইন পরিষেবাতে দেখা যায় অনেকগুলো পণ্য-সামগ্রীর জন্য একটি মাত্র ডেলিভারি চার্জ প্রদান করতে হয় যে কারণে কিছু অর্থ বেঁচে যায়।
✅ যেহেতু মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সচরাচর রয়েছে তাই আলাদা করে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া অনেক বেশি টাকা হাতে নিয়ে বাজারে গেলে টাকা ছিনতাই হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই ঝুঁকিটাও অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে আর থাকে না।
✅ স্ব-শরীরে কোনো শপিংমলে শপিং করার উদ্দেশ্যে যেতে হলে অফিসিয়াল সময় মেইনটেইন করে যেতে হয়। কিন্তু অনলাইনে আমরা আমাদের সময় সুযোগ বুঝে ২৪ ঘন্টার যে কোনো মুহূর্তে অর্ডার করতে পারি।
অনলাইনে শপিংয়ের অসুবিধা:-
source |
---|
✅ অনলাইনে কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে দেখা যায় মূল্যটা অনেক বেশি।
✅ অন্যদিকে যে কোনো বস্ত্রের ক্ষেত্রে রঙের বিষয়ে বেশ কনফিউশনে পড়ে যেতে হয়। কারণ শপিংমলে উপস্থিত হয়ে যেমন একই কোয়ালিটির বিভিন্ন রং পরিদর্শন করা সম্ভব সেটার কোথাও একটা ঘাটতি আমার মনে হয় অনলাইনে এর ক্ষেত্রে থেকেই যায়।
✅ আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন পরিষেবার বিশ্বস্ত যে মাধ্যম সেগুলো কম যে কারণে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হতে হয়।
✅ বিশেষ করে আমরা যদি ক্যাশ অন ডেলিভারি অর্ডার না করি তাহলে প্রতারণার শিকার হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
✅Evaly নামক একটি অনলাইন পরিষেবা কোম্পানির কথাই আমি বলব যারা মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা নিজেদের কুক্ষিগত করে একটা সময় হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। যেটার এখনো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
✅ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্ডার না করলে প্রতারণার শিকার হতে হয়। কারণ আমি নিজেও একবার অনলাইনে একটি হুডি অর্ডার করেছিলাম যেটার ছবি এবং বাস্তবের সাথে কোনো সাদৃশ্যতা আমি খুঁজে পাইনি। এক প্রকার গায়ের জোরে বলা যায় আমি টাকাটা তাদের প্রদান করিনি এবং ওই বস্ত্রটাও তাঁদের থেকে নিই নাই শেষ পর্যন্ত। যে কারণে অনলাইন আমার অনেক অপছন্দের।
উপসংহারঃ |
---|
যদি আমি অনলাইন শপিংয়ের বিপক্ষে কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন ভারত যাদের অনলাইন সেবা নিয়ে আমার কোন সন্দিহান নেই। কারণ আমি আমাদের এডমিন ম্যামকেই দেখেছি অধিকাংশ সময় অনলাইন শপিং যেটাতে কখনোই নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাই নি। তবে অনলাইন থেকে কোন কিছু অর্ডার করতে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করতে হয় এবং সঠিক পদ্ধতিতে করতে হয় এটাতে আমি একদমই নিশ্চিত।