ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন।
Hello Friends,
কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেটা খুব খারাপই লাগছে। গতকাল সময়মতো মোবাইল চার্জ না দেওয়ায় বিকেল হতেই মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিগত রাতে ও ভেবছি হয়তো আগামীকাল আর সমস্যা হবে না। কিন্তু সকালে দেখলাম ইনডিকেটর অফ অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে।
নেটওয়ার্ক ও ঝামেলা করা শুরু করে এভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে। তাছাড়া, মাঝেমধ্যে তো বাংলালিংক সিমে নেটওয়ার্ক এতোটাই ঝামেলা করে মন চায় যেন ফেলে দিই। তবে ফেলে দিয়েই বা ফায়দা কোথায়? অন্য সিমের অবস্থা আরো বেতাল।
যদিও আজ বেশি সময় নেটওয়ার্ক সমস্যা ছিল না কারণ গতকাল থেকেই জেনারেটর এনে রাখা হয়েছে টাওয়ারের কাছে। ইতিমধ্যে টাওয়ার কর্তৃপক্ষ অবগত যে কিছুদিন বিদ্যুৎ লাইনে কাজের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকবে। সিম কোম্পানিগুলোরই ক্ষতি যদি নেটওয়ার্ক ঠিক না থাকে। এমনকি গ্রাহক ও কমতে শুরু করবে যদি দিনের পর দিন এভাবে নেটওয়ার্ক সমস্যা সৃষ্টি করে।
যাইহোক, আজ নেটওয়ার্কে তেমন একটা সমস্যা হয়নি। তবে এখানেই কি শেষ? কারণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট অথচ নেটওয়ার্ক পাচ্ছি? শহরের কথা বলবো না কিন্তু আমাদের এখানে টাওয়ারে জেনারেটরের মাধ্যমে টাওয়ারে চার্জ দেওয়া হয় যখন বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকে। তবে এটাতে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল বা ডিজেল ব্যয় হয় যেটা চিন্তার বাইরে।
আমরা সকলেই জানি প্রাকৃতিক সম্পদ একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমার মনে হয় এই সব আমরা শুধু মাত্র পরীক্ষায় পাশ করার জন্যই পড়ি, বাস্তবে প্রয়োগ দেখার সুযোগ মেলে না বললেই চলে।
এখানেই দেখুন দুটো জেনারেটর এবং ইতিমধ্যে নিচে ও একটা চলছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে না হতেই নেটওয়ার্ক ঘাটতি মানে ব্যাক আপ দেওয়ার মতো ব্যাটারি জাতীয় কিছু নেই এই টাওয়ারে। একটা টাওয়ারে অনেক গুলো ব্যাটারি থাকে কিন্তু আমি শুনেছি আমাদের এই টাওয়ারে নাকি ব্যাটারি অনেক কম। কারা যেন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।
অথচ আমি দেখিনি এবং শুনিনি আমাদের এলাকায় এই ধরনের কোনো নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ ঐ কোম্পানির সাথে জড়িত লোকজনই এই কাজ গুলো ঘটিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের উচিত এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নচেৎ এটাও পরিবেশ বিরোধী একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১২ সালে আমাদের গ্রামে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলাম। এই সময়ের পূর্বে আমরা বাতির জন্য কেরোসিন তেল ব্যবহার করতাম। প্রতি মাসে একটি পরিবারে প্রায় ২কেজির মতো কেরোসিন ব্যয় হতো। অথচ এখন সেখানে পঞ্চাশ গ্রাম ও ব্যয় হয় না। অথচ আপনারা যে জেনারেটর দেখছেন এগুলোতে যে কি পরিমাণ তেল ব্যয় হয় সেটা আমাদের চিন্তার ও বাইরে।
আমাদের করণীয়ঃ-
একা একা কিছু করা সম্ভব না, দলবদ্ধভাবে আমরা কোম্পানির কাছে সকল বিষয় তুলে ধরতে পারি। কারণ ভালো মানের আরো কয়েকটি চার্জ ধরে রাখার মতো ব্যাটারি যোগ করলে হয়তো এভাবে আর জেনারেল ব্যবহার না করলেও চলবে। বা যদি সম্ভব হয় সৌর প্যানেলের জন্য ও প্রস্তাব করা যেতে পারে।
একটি কোম্পানি তো অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তাই সার্ভিস ভালো দেওয়ার জন্য তাদেরকেই অর্থ ব্যয় করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের ও দায়িত্ব প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা। আমি ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি যে কোনো টাওয়ারে এভাবে চার্জ দিতে হয়। আপনারা দেখলে অবাক হবেন যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতেই নেটওয়ার্ক সমস্যা শুরু হয়। আদেও কি কোনো ব্যাটারি আছে? আমার তো সন্দেহই হয়।
যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।