আমার ছাদ বাগানের গাছেদের পরিচয়।
প্রিয় বন্ধুরা,
চলুন আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই ভর দুপুরে একবার নিজের বাড়ির ছাদের গাছেদের সাথে আলাপ করিয়ে দি।
এখনও গ্রীষ্ম কাল আসেনি, বসন্তকাল চলছে কিন্তু বাড়ির বাইরে পা রাখলে সেকথা বোঝার উপায় নেই। গত বছর আমি বাড়ির দোতলায় নিজের জন্য একটি ঘর তৈরি করেছিলাম, তার পাশেই একটুকরো ছাদ রয়েছে, আবার ঘরের মাথায় রয়েছে আরো একপ্রস্থ ছাদ।
সাধারণত দুপুরের খাবার সমাধা হলে এই ঘরটিতে আমি বেশ খানিকটা সময় অতিবাহিত করি কারণ দরকার বাইরে ছাদের গাছগুলোর সাথে সময় কাটাতে আমার বেশ ভালই লাগে।
গ্রীষ্ম কালে সম্ভব হয় না কারণ ছাদের গরমটা সরাসরি এই ঘরে পরার কারণে, বেলা বেড়ে ওঠার গেই ঘরটি বেশ গরম হয়ে যায়।
আমার ছাদ বাগানের গোলাপ:-
আজকে শনিবার অফিসের কাজ সেরে মোটামুটি দেড়টা নাগাদ বাড়ি চলে এসেছি, বাইরের তাপ এখনই মাথা খারাপ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
কাজেই বড়ো ফিরে একটু জিরিয়ে নিয়ে, স্নান করবার আগে একবার ছাদে উঠেছিলাম, তখন বেশ কিছু ছবি তুলে এনেছিলাম।
এখন দুপুরে ভালো রকমের পেট পুজো সেরে আপনাদের সাথে সেই ছবিগুলো ভাগ করে নিতে চলে এলাম।
আমাদের মত এই গাছেরা কি তাপমাত্রা বাড়লে কষ্ট পায়? নিশ্চই তাদেরও কষ্ট হয়, তাই তো সময় মতো জল না পেলে তারা বাঁচে না।
কত গাছ আছে যারা ছায়াতলে আশ্রয় পেলেই বাঁচে নয়তো তারা বেড়ে উঠতে পারে না। মানুষের মতোই গাছেরা ও ভিন্ন ধর্মী হয়।
আর ঠিক সেই কারণে সব মরশুমে সব ফুল বা ফলের দেখা মেলে না। তবে প্রকৃতিতে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন অনেক কিছুই বদলে দিচ্ছে ফলে এখন অনেক হিসেব বহির্ভূত হয়ে গেছে অনেক বিষয়বস্তু।
বাড়ি ফিরতি পথে একটি জায়গায় দেখলাম সারা আম গাছ জুড়ে বোল ধরেছে, মানে আম্রমুকুল।
নিমেষেই চলে গেলাম ছেলেবেলায়, কাল বৈশাখী এসে কত মুকুলকে ঝরিয়ে দিয়ে যেত তারা পরিণত হবার আগেই।
এখন সেই অর্থে কাল বৈশাখী চোখেই পড়ে না, খর বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে প্রচন্ড পরিমাণে। আমাদের সকলের উচিৎ বিশেষ করে যারা শহরাঞ্চলে থাকি, যথাসম্ভব বৃক্ষরোপণ করা।
নয়তো আগামী দশ বছরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সুস্বাস্থ্য, নতুন নতুন আরো অনেক রোগ বাসা বাঁধবে আমাদের শরীরে।
এই বসন্তকাল কে ঋতুরাজ বলা হলেও এই সময় আমাদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তেল মশলাযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলে, সজনে ডাটা, সজনে ফুল, জ্যান্ত মাছের পাতলা ঝোল ইত্যাদি খারার তালিকায় নথিভুক্ত করা সাস্থের জন্য সমীচীন।
প্রকৃতি প্রতিটি ঋতুতেই মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাদ্যের যোগান দিয়ে যায়, কাজেই সেই প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত মানব স্বার্থে।
আজকের কথাগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনারা একবার ভেবে দেখবেন, মানুষ হিসেবে কতখানি দায়িত্ব পালন আমরা করছি প্রকৃতিকে সংরক্ষণের জন্য।
আজকে এখানেই ইতি টেনে বিদায় নিলাম, ভালো থাকবেন সবাই।
বেশ সুন্দর কথা বলেছেন। এরকম পরিবেশ করে নিজের থাকা সত্যিই একটা আনন্দের বিষয়। পরিবেশটা যদি হয় সেটা প্রাকৃতিক এবং ফুলে ফুলে ভরা। তাহলে তো সর্বোচ্চ সুন্দর পরিবেশ বলায় যায়।
সত্যিই আমি কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি। আচ্ছা একটু গরম পড়লে আমরা রোদে থাকতে পারিনা। তাপমাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে আমাদের শরীরকে যেন পুড়ে ছাই ছাই করে দিচ্ছে। অথচ গাছপালা? তারা কিভাবে থাকে? এটা বলা যায় সৃষ্টিকর্তার একটা বড় লিলা খেলা। কিছু গাছ আছে যেই কাজগুলো খুব বেশী রোদ পেলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় নষ্ট হয়ে যায়।আবার কিছু কিছু গাছ আছে, যারা যত বেশি রোদ পাবে ততই ভালো গজাবে।
শহর অঞ্চলে এটার অভাব খুব বেশি।কিছু কিছু জায়গায় গাছ গুটিকয়েক আছে। সেই গাছগুলোপ কেটে নতুন নতুন বিল্ডিং করছে। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ি হচ্ছে বিল্ডিং হচ্ছে কিন্তু গাছ রকম হচ্ছে না। এখন এমন এমন শহর আছে যে এই শহরে মাটি পর্যন্ত নাই। গাছ তো দূরের কথা। এভাবে চললে সত্যি ১০ বছর পর দেখা যাবে। স্বাস্থ্যের বারোটা বেজে যাচ্ছে। শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে হাহাকার করছে। তাই আমাদের উচিত গাছপালা রোপণ করা। ভালো থাকবেন।
খুব ভালো লাগলো দেখে এই কমিউনিটিতে বেশ কিছু নতুন মানুষ এসেছে যারা নিজেদের সবটুকু দিয়ে কাজ করছে, ভালো থাকবেন সবসময় এবং সঙ্গে থাকবেন।
আরে বাহ আপনি খুব সুন্দরভাবেই, আপনার ছাদ বাগানের পরিচর্যার কথা। আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তার সাথে ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যেমন প্রকৃতি আমাদেরকে অনেক কিছু উপহার দিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আমাদেরও প্রকৃতির প্রতি, কিছুটা হলেও পরিচর্যা করা উচিত।
আমরা গাছের পরিচর্যা যত বেশি করে করব ।গাছ থেকে আমরা তত বেশি ফলন আশা করতে পারব, এটাই স্বাভাবিক।
আপনার প্রত্যেকটা কথাই মূল্যবান। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটা লেখা এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ম্যাডাম আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে, সময়ের অভাবে এখন আর আগের মত সময় দিতে পারি না, তবে আপনাদের কাজ দেখে নতুন করে উৎসাহ ফিরে পাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ছাদটা যদি বিরাট হতো
ঈদগা মাঠের সম।
শোভা পেতে সময় দিতে
পাইতাম সময় কম।।
অল্প শোভায় অধিক তুষ্টি
পরিচর্যায়ও কম।
তাইতো আমরা স্বল্প জায়গায়
অধিক নিব দম।
ছাদবাগানের স্বল্প জায়গার
তুলে এনেছেন ফুল।
ফুলের শোভায় মুগ্ধ হলাম
গাছ পরেছে দুল।।
স্বাগতম সবাইকে