সিমলিপাল এর বেশ কিছু ছবি নিয়ে আজ হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
প্রিয় বন্ধুরা,
মঙ্গলবার দিনটি সকলের মঙ্গলময় হোক এই কামনা করে আজকের লেখা শুরু করছি। যদিও ভারতীয় সময় অনুযায়ী দিনের বেশিরভাগটাই অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এমন অনেক দেশ আছে যাদের জন্য দিন কেবলমাত্র শুরু হয়েছে।
কাজেই সকলের জন্যই রইলো আমার শুভেচ্ছাবার্তা।
লেখার মাঝে একটু নৈশ্য ভোজনের বিরতি নিতে হলো, গিন্নির হুকুমের বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা আমার নেই, আর শুধু আমার কেনো তাবড় তাবড় পুরুষের নেই বলেই আমার মনে হয়।
ওই দেখুন কথায় কথায় আবার গিন্নির নামে দু কথা বলে ফেললাম, দেখবেন যেনো পাঁচ কান করবেন না।
আমাকে এই বাড়িতেই বাকি জীবন থাকতে হবে কাজেই জো হুকুম বলা ছাড়া যো নেই।
যাক সেসব দুঃখের কথা অন্যদিন হবে, আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি, ওড়িশায় অবস্থিত সিমলিপালের টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের বেশ কিছু ছবি।
উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলায় অবস্থিত এই জঙ্গল পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় বিশেষ করে যারা দু'- তিনদিন হাতে নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন, খুব বেশিদিনের জন্য নয়।
আবার ধরুন যাদের জঙ্গল সাফারি পছন্দ, পশু, পাখি, বন, জঙ্গল যাদের মধ্যে রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।
বিলাসিতা পছন্দ করা মানুষের জন্য নয়, বরঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসা মানুষের জন্য এই জায়গাটি আদর্শ।
এখনও বেশ গা ছমছমে অনুভূতি পাওয়া যায়, ফরেস্টের গেস্ট হাউসে, সেই শব্দ অবশ্যই বিভিন্ন পশুর যারা রাতে শিকারে বের হয়।
দিনের বেলায় আপনি কপাল ভালো থাকলে হাতি, হরিণ দেখতে পাবেন সাথে বেশ কিছু অসাধারণ পাখি।
কিন্তু সত্যি বলতে এখনও বাঘ সেইভাবে আমার চোখে পড়েনি, আমরা এক বন্ধুকে অনুরোধ করেছিলাম ছাগল বানিয়ে রাতে বেধে রাখার জন্য, কিন্তু রাজি হলো না জনেন।
দেখুন ছবিতে মাকাল ফলকে দেখা যাচ্ছে, কত বোঝালাম বাঘের টেস্ট এত খারাপ নয়, কাজেই তাকে বেধে রাখলেও বাঘের রুচিতে বাঁধবে তাকে খাদ্য হিসেবে মেনে নিতে।
বিশ্বাস করলো না আমাদের কথা তাই আর বাঘ দেখা হলো না, এমন হতচ্ছাড়া দিনের বেলাতেও নিচে নামতে চায় না।
যাক বন্ধুদের দলে এরকম দু একজন সকলেরই থাকে, মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়, খাবার পচে গেলে ফেলে দেওয়া যায় কিন্তু বন্ধুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এখনও প্রচলিত হয়নি।
যাইহোক, যদিও ছবিগুলো গত বছরের কিন্তু আজও সেই বন্ধুর অবস্থার কথা মনে পড়লে বেশ হাসি পায়। বিষয়টি হচ্ছে আমরা খুব সিরিয়াসলি মানে গম্ভীর মুখে মজা করি ওই বন্ধুর সাথে, মানে যাকে গোদা বাংলায় বলে পিছনে লাগা।
কাজেই প্রথমে বিষয়টি সে বুঝতে পারে না, আসলে আমাদের দলের দু চারজন সেইবার হাফ প্যান্ট পরিহিত এই বন্ধুকে একপ্রকার চ্যাংদোলা করে রুম থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল।
কারণ তাকে বোঝানো হয়েছিল, এত টাকা খরচ করে অ্যাডভেঞ্চার করতে আসা, কাজেই বাঘ না দেখে ফেরার কোনো মানেই হয় না।
সকলে বৌ বাচ্চার দোহাই দিয়ে যখন দেখলো কেউ খান্ত হচ্ছে না তখন অকথ্য গালাগাল দিতে দিতে কেঁদেই ফেলেছিল বেচারা।
এরকম কত ছোটখাটো ঘটনা জড়িয়ে থাকে প্রতিবারের ভ্রমণের সাথে। আপনাদেরও নিশ্চই ঘুরতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে। পারলে সেগুলো লেখায় প্রকাশ করতে পারেন।
আজ এখানেই শেষ করে বিদায় নিলাম ভালো থাকবেন সবাই।
আমি দেখতে পাই, আপনি মাঝে মাঝেই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হোন। আসলে এরকম দৃশ্য এবং জায়গাগুলো কখনো স্বচক্ষে দেখিনি। তাই আপনার পোস্টের ফটোগুলো বারবার জুম করে দেখতে ছিলাম এত সুন্দর দৃশ্য এবং জায়গাগুলো। কত সুন্দর জায়গা গুলো এবং মনমুগ্ধকর..!
সিমলিপালের বেশ কিছু জায়গার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। বলে বুঝাতে পারবো না। ভালো থাকবেন।
গিন্নির কথা শুনতে হবে, না শুনে কোন উপায় নেই কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন। আচ্ছা ঠিক আছে আমরা পাঁচ কান করব না। আমাদের মধ্যে এ কথাটা রাখবো।
উড়িষ্যার কথা অনেক শুনেছি, তবে কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু আবার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে, জায়গাটা অনেক সুন্দর।
আপনারা জায়গাটা খুব সুন্দর ভাবেই পরিদর্শন করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে।
যাক ফটোগ্রাফি গুলো গত বছরের হলেও, যেভাবে শেয়ার করেছেন, মনে হচ্ছে গত কয়েকদিন আগের। খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি। সাথে লেখাটি পড়ে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।