রাতের শিমলার কিছু নিদর্শন রইলো আপনাদের মাঝে।
প্রিয় বন্ধুরা,
শনিবারের বারবেলায় স্বাগত জানাবে অবকাশ না পেয়ে এই রাতে চলে এসেছি আপনাদের মাঝে নিজের লেখা নিয়ে।
কেমন কাটলো আপনাদের পুরো সপ্তাহ? আশাকরি ভালোভাবেই অতিবাহিত হয়েছে পুরো সপ্তাহ। আমারও একপ্রকার ভালোই গিয়েছে এই সপ্তাহটা।
আজ শনিবারের ফরফুরে আমেজ নিয়ে লিখতে বসে দেখলাম আফসোস কখনো পিছু ছাড়ে না।
কি নিয়ে আফসোস সেটা জানতে চাইছেন তাই তো?
বলছি বলছি একটু ধৈর্য্য ধরুন, তাড়াহুড়ো করে কি আলোচনা হয়, অন্য কিছু হলেও হতে পারে।
বিষয়টা এমন কিছুই নয়, দিন দিন ছবি ভাগ করে নিতে নিতে ভাড়ারে টান পড়বে পড়বে করছে, তাই ভাবছিলাম কত ছবি হেলায় হারিয়ে গেছে, তখন তো এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতাম না, কাজেই ছবির গুরুত্ব এতটা বুঝিনি।
সময়ের সাথে ফোন বদলে গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সাথে চলে গেছে বহু ছবি, তবে চেষ্টায় আছি আমার ডিজিটাল ক্যামেরার ছবিগুলোকে ফোন এ চালান করবার, কিন্তু সময় পাচ্ছি না মোটেই।
রাতের শিমলা:-
প্রতিটি শহরের সৌন্দর্য্য দিনের আলোয় একরকম আর তমসা ঘনালে অন্যরকম। যারা শহরে বসবাস করছেন তারা বিষয়টির যথার্থতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
দিনের বেলায় যেখানে শহরে মানুষের সমাগম, মাথার উপরে নীলাকাশ এবং সূর্য্য মামার উপস্থিতি, দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার সংঘর্ষ চোখে পড়ে। আবার যদি কোনো পাহাড়ী অঞ্চলে আপনি বেড়াতে যান তাহলে রোদের তাপ আপনারা অনুভূত হবে না।
দিনের শুরুর সূর্যের রশ্মি যখন পাহাড়ের উপরের উপরে জমে থাকা বরফের উপরে এসে পড়ে, মনে হয় একরাশ সন কেউ গলিয়ে ঢেলে দিয়েছে পাহাড়ের মাথায়।
আবার সেই পাহাড়ের রাতের দৃশ্য কেমন হয় তার নিদর্শন হিসেবেই আজকে আমার এই ছবিগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়া।
ক্রায়িস্ট চার্চ শিমলা:-
দিন দিন এই সকল পাহাড়ী জায়গাতে জনবসতি বেড়ে চলছে আর আধুনিক বিজ্ঞানের সহায়তায়, গড়ে উঠেছে একাধিক ইমারত সাথে আলোর রোশনাই দেখলে বেশ ভালো লাগা কাজ করে।
যদিও শহরের রাতের দৃশ্য সবটাই প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের অবদান, তাই অনেকের এই সৌন্দর্য্যকে মেকি বলে আখ্যা দিতেই পারেন।
তবে কিছু তমসা প্রকৃতি দূরীকরণ করে আর কিছু আজকে উন্নত প্রযুক্তির দান, হিসেব করলে এর প্রয়োজন অবশ্যই আছে আমাদের জীবনে।
আজ শহরে মেয়েরা রাতের বেলায় কাজে বেরোতে পারার পিছনে এই আলো যেমন সহায়ক তেমনি এটাও সঠিক যে, ঘরে বসে ও কিন্তু আমরা অন্ধকারে ভয় পাই, কাজেই সেই আঁধারে মহিলারা কখনোই সুরক্ষিত নয় কাজে বেরোনোর ক্ষেত্রে।
অন্ধকারের সাথে আমাদের ভীতি, অসুরক্ষা, এবং দৈনন্দিন কাজের অনেক অসুবিধা জড়িয়ে আছে।
আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম ছবিগুলো তোলার সময়।
কোনো কিছুর প্রয়োজনীয়তা তার উপস্থিতিতে নয় অনুপস্থিতিতেই বেশি বোঝা যায়, আমার ছেলেবেলায় অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব ছিল, কাজেই আজকের এই উন্নত প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের মাঝে রোজ বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি, এটাও তো আধুনিক প্রযুক্তির অবদান তাই না?
আজ এখানেই শেষ করে বিদায় নিলাম, ভালো কাটুক আপনাদের আগামী দিনগুলো এই কামনা রইল।
আসলেই আপনি ঠিকই বলেছেন তাড়াহুড়া করে কোন আলোচনাই করা যায় না। তার সাথে আপনি বলেছেন হাজারো ছবি আপনি অবহেলায় হারিয়ে ফেলেছেন। আপনার মত ঠিক আমিও অনেক ছবি অবহেলা হারিয়ে ফেলেছি। যে ছবিগুলোর মর্ম এখন বুঝতে পারছি।
যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তার সাথে রাতে শিমলার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসম্ভব সুন্দর শহরটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে একটা পোস্ট। এবং তার সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
কমন একটা সমস্যা, আমারও অনেক ছবি হারিয়েছি ফোন বদলের কারনে, সেগুলোকে মিস করা ছারা কোন উপায় দেখিনা। তবে এখন আর সেই সমস্যার সম্মুখীন হইনা, কারন গুগল ড্রাইভে সেভ করে রাখি।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।