মুসং রংপো মেল্লি- কালিম্পং এর কিছু ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
আবারও আপনাদের মাঝে চলে এসেছি নিজের কিছু কথা আর সাথে বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নিতে।
মাঝেমধ্যে বেশ অবাক লাগে একই আকাশের নিচে থেকেও প্রতিটি দেশ, সেই দেশের মানুষ এবং তাদের জীবনযাত্রা কত আলাদা।
সেটা ভাষা হোক বা পোশাক, কিংবা খাদ্য হোক না চিন্তাধারা।
সবাই নিজের সময় মত নিজেদের দৈনন্দিন কর্ম সমাধা করতে ব্যস্ত। অন্যান্য দেশের কথা কিছুক্ষণ পাশে রেখে যদি কেবল ভারতের কথা বলা যায় তাহলেও এই বিভিন্নতা গুলো চোখে পড়ে।
এর পিছনে সবচাইতে বড় করুন সেই স্থানের জলবায়ু, একটি স্থানে আবহাওয়ার উপরে সেই স্থানের মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভর করে।
ঠিক সেই কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের খাদ্য, পোশাক, এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপরে সেই জলবায়ু এবং আবহাওয়ার প্রভাব চোখে পড়ে।
কাশ্মীর দিয়ে শুরু করলে হিমালয়ের কাছে থাকার কারণে এখানের মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে খাবার সব কিছুই অনেকটা আলাদা এখানের নিম্ন তাপমাত্রার কারণে। এখানে প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবার , সাথে জল পদ্মের ডাঁটা, সহ বিভিন্ন ফল খাবার তালিকায় রাখা হয়, যেগুলো শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণতা প্রদানে সাহায্য করে।
অপরদিকে দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত মানুষের জীবনযাত্রায় চোখে পড়ে একেবারেই বিপরীত জীবনযাত্রা এখানের তাপমাত্রার উচ্চতার করবে, সারা বছর খাবারের তালিকায় টক দই সহ কারি পাতার ব্যবহার;
সাথে খাদ্যে টক জাতীয় খাদ্যের আধিক্য চোখে পড়ে, যেগুলো শরীরকে অভ্যন্তরীণ দিক থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
আজকে আপনাদের মাঝে কালিম্পং এর বেশ কিছু ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি, এখানের আবহাওয়া ঠাণ্ডা কাজেই মানুষের জীবনযাত্রা এখানেও সমতল ভূমির থেকে অনেকটা আলাদা।
অনেক সময় নর্থ বেঙ্গল ঘুরতে গেলে সবাই দার্জিলিং , সিকিম বেড়াতে পছন্দ করেন, তবে যদি কখনো উত্তরবঙ্গ ঘুরতে যান তাহলে অবশ্যই কালিম্পং দেখতে যেতে ভুলবেন না।
অন্যান্য জায়গাতে এখন পর্যটকের ভিড় এখন অনেকটা বেশী হলেই কালিম্পং এখনও মন শান্ত করতে সক্ষম বলে আমার মনে হয়।
শহরের ভিড় এড়াতে আমরা সাধারণত ঘুরতে যাই, অন্ততপক্ষে আমি তো সেই কারণেই বেড়াতে গিয়ে থাকি।
কাজেই ভিড় এড়াতে আবার ভিড়ের মধ্যে নিজেকে ঠেলে দিতে আমি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।
ছোট একটি অংশ নিয়ে থাকা কালিম্পং আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়, শান্ত পরিবেশ, নানান জাতের গাছ, সাথে ঠাণ্ডা মেঘ যখন গা ঘেঁষে পার হয়, সেই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত সম্ভব নয়।
প্রকৃতির সাথে আবহাওয়ার একটা সুমধুর সম্পর্ক আছে, সেটা আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে গেলেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
পাহাড়ী মানুষের একটি বিশেষত্ব তাদের পৃথক করে সেটা হলো তাদের সাদামাটা জীবনের সাথে সরল এবং সাবলীল ব্যবহার।
শহরে যদি কাউকে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন অনেকেই জানিনা বলে এড়িয়ে যায়, কিন্তু পাহাড়ী মানুষগুলো প্রয়োজনে আপনাকে সাথে নিয়ে সেই জায়গায় পৌঁছে দেবে।
এরকম অনেক বৈষম্য চোখে পড়ে স্থান নির্বিশেষে, যাইহোক আজ এই পর্যন্তই এসে আমার লেখায় ইতি টেনে বিদায় নিলাম।
আশাকরি আপনাদের আজকের ছবিগুলো ভালো লাগবে, ভালো থাকবেন সবাই এই কামনা করে আজ বিদায় নিলাম।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন, আমরা একই আকাশের নিচে থেকেও একেকজনের ভাষা একেক রকম, একেকজন এক একটা খাবার খেতে পছন্দ করি।
আসলে আমার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনার সাথে আমিও বেশ অবাক হই মাঝে মাঝে। আমরা একই আকাশের নিচে কত প্রকারের মানুষ বসবাস করি। কত রকমের ভাষা ব্যবহার করি৷ আবার কত রকমের পোশাক-আশাক বা খাবার ভক্ষণ করি।
আপনার তোলা ফটো গুলো খুবই সুন্দর চমৎকার লাগছে। আমি মাঝে মাঝেই আপনার পোস্টে অবলোকন করি আপনার ফটোগুলো দেখার জন্য। ভালো থাকবেন।