উত্তর চব্বিশ পরগনার গাইঘাটায় অবস্থিত জলেশ্বর মন্দিরের কিছু ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? এক ঘন্টা হয়েছে অফিস থেকে ফিরেছি, আজ গাইঘাটা নামক একটি স্থান যেটি কলকাতার উত্তর চব্বিশ পরগনার একটি জায়গা সেখানে কাজের সুবাদে যেতে হয়েছিল।
কাজের মাঝে বেশ খানিকটা সময় হাতে থাকার কারণে মনে হলো সেখানে অবস্থিত মন্দির প্রাঙ্গণের কিছু ছবি তুলে নিয়ে যাই।
এই প্ল্যাটফর্মে লেখা শুরুর পর থেকে যেখানেই যাই না কেনো ছবি তোলার অভ্যেস বেড়ে গিয়েছে।
যদিও আমি শুরু থেকেই ছবি তোলায় অভ্যস্ত কিন্তু তখন ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গেলে ছবি তুলতাম।
সত্যি বলতে মোবাইলে আমি ছবি তুলতে বিশেষ অভ্যস্ত নই।
আধুনিক ছেলে মেয়েরা যেমন কায়দা করে ছবি তোলে আমায় আজও রপ্ত করতে পারিনি সেসব।
মন্দিরের ভিতরে যাবার সময় হাতে ছিল না, তাই বাইরে থেকে যতটা সম্ভব ছবি তুলে এনেছি।
এখানের পরিবেশটা বেশ ভালো, অনেক বছর ধরে একই রকম ভাবে দাড়িয়ে থাকা গাছগুলো কত সময়ের এবং ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে।
সাথে মনাদির লাগোয়া পুকুরটির পাড়ে বসলে যে মুক্ত বাতাস পাওয়া যায় সেটা মন জুড়িয়ে দেয়, ক্লান্তিকর দিনের মাঝে এই বাতাস প্রশ্নটির কাজ করে।
তবে, আজকাল মানুষের ভির বেড়ে যাবার কারণে পুকুরের জল বেশ দূষিত হয়ে উঠেছে।
আমার মনে পড়ে প্রথম লকডাউন উঠে যাবার পর পর একবার গিয়েছিলাম গাইঘাটা।
তখন এই পুকুরের জল ছিল সচ্ছ কিন্তু আজকের চেহারাটা একেবারেই বিপরীত।
খারাপ লাগে কিন্তু বলার কিছু নেই, ভোকির নামে মানুষ যেভাবে পরিবেশ দূষিত করে তুলছে সেটা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহল।
মন থেকে ডাকলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়, তাকে সন্তুষ্ট করতে যে ফুলগুলো উৎসর্গ করা হয় সেগুলো পরের দিন সঠিকভাবে, সঠিক জায়গায় না জমা করে প্রায়শই এই পুকুরের জলে ফেলা হয়।
ফলস্বরূপ সেগুলো পচে জলের দূষণ বাড়ে। আমরা নিজেদের শিক্ষিত বলি বটে, তবে সেই শিক্ষিত মানুষের মধ্যে কতজন পরিবেশ সচেতন সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
যেকোনো কিছু সৃষ্টির চাইতেও তাকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে পারাটাই আসল দক্ষতা বলে আমার মনে হয়।
আমার মনে হয় যেকোনো ধর্মস্থানের কতৃপক্ষের এটা নজর রাখা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তবে তারা নিজেরাই যদি এই কাজ করেন তাহলে সাধারণ মানুষদের মানে দর্শনার্থীদের দোষ দিয়ে লাভ কি!
আমি ৩০ মিনিট ছিলাম ওই পুকুরের ধারে বসে তবে আর থাকতে পারেনি কারণ কাজের তাড়া ছিল, সাথে ছিল অস্বস্তি।
মানুষকে ভালোবাসলে সবার আগে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে জনাতে হয়, কারণ তাদের কারণে আমরা এই ধরায় বেঁচে আছি। পৃথিবীর বুকে জল আছে তাই জীবনের অস্তিত্ব, জানিনা কবে মানুষ এই সহজ হিসেবটা বুঝবে।
যাক আজ এখানেই ইতি টেনে বিদায় নিলাম, আশাকরি ছবিগুলো আপনাদের পছন্দ হবে।
ভালো থাকুন সবাই এবং ভালো কাটুক সারাটা সপ্তাহ আপনাদের এই কামনা করি।
আপনি জলেশ্বর মন্দিরের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে অনেকে দর্শনার্থী আছে। আর সুন্দর জায়গায় দর্শনার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আপনার পোস্টে আপনি একটি অনেক মূল্যবান কথা লিখেছেন যে মানুষকে ভালবাসলে আগে প্রকৃতিকে ভালবাসতে হয়। কথাটি আসলেই সত্য। প্রকৃতি আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। মোট কোথায় আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে অবস্থান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। আমিও এতটা ছবি তুলতাম না৷ কিন্তু এই প্লাটফর্মে লেখার জন্য ছবি দরকার হয়। তাই তো আপনার আমার ছবি তোলার অভ্যেস হয়ে গেছে।
জলেশ্বর মন্দিরের বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। সেগুলোকে ঘিরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। ভালোই লাগলো। ভালো থাকবেন।