ভ্রমণ মানেই নতুন কিছু দেখা, জানা এবং শেখা।( নীলফামারী জেলাতে ঘুরতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা)

in Incredible India4 days ago


আসসালামু আলাইকুম,
আমি @rasel72. বাংলাদেশ থেকে।


সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। গত সপ্তাহে আমি নীলফামারী জেলাতে আমার বন্ধুর বাড়ীতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে আমি অভিজ্ঞতা বা তাদের রীতি নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে পারি। যা আমরা কুষ্টিয়া জেলার মানুষেরা অভ্যস্ত নয়। এরকমই একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। সেটা খাবার সংক্রান্ত। চলুন শুরু করি-


1000001250.jpg


সচারাচর পুরো পৃথিবী জুরেই রয়েছে কতশত বিখ্যাত নাম করা সব হোটেল রেস্টুরেন্ট। তাতে পাওয়া যায় বাহারি সব স্বাদের ও বাহারী নামের সব খাবার। যাদের স্বাদ সব সময়ই ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মনকে জয় করে। আমি নিজেও একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। এজন্য মাঝে মাঝে ছুটে যায় ভিন্ন কোথাও ঘুরতে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মনটা ভালো না। ডুয়েটে এডমিশন দিয়েছিলাম, কিন্তু ভাগ্যের কাছে হেরে গিয়েছি। চান্স হয় নাই। অনেক স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু আসতে হলো খালি হাতে হতাশা নিয়ে। যাই হোক কষ্টটা আর বাড়াতে চায় না। এজন্য গাজিপুর থেকে বাড়ী এসে সব সময়ই প্রায় কান্না করতা 🥴🥴 আমার মা সব সময় আমার এই অবস্থা দেখে কষ্ট পেত। এজন্য বাড়ির সবাই বলতেছিল, বাইরে কোথাও ঘুরে আসো ভালো লাগবে। কিন্তু আমি নিজেই কোথাও যাছিলাম না। আমার এক বন্ধু আছে, নীলফামারীতে, আমার অবস্থার কথা শুনে, সেও বার বার কল দিচ্ছিল তাদের বাড়ীতে ঘুরতে যেতে। বলতেছিল, ঘুরে যান মন ভালো হয়ে যাবে। আমি সব সময়ই না বলে আসতে ছিলাম। কিন্তু বন্ধু নাছর বান্দা। একটা পর্যায় গিয়ে আমি রাজি হলাম। এবং তাদের বাড়ীতে ঘুরতে গেলাম। এই গত সপ্তাহের ঘটনা।


1000001245.jpg

1000001247.jpg

1000001246.jpg


সেখানে যাওয়ার দিন বিকালে আমরা দুইজন মিলে সেখানের একটা হোটেলে গেলাম। কিছু একটা খাওয়ার জন্য। ভিন্ন জায়গা যেহেতু হয়ত নতুন কিছু পাওয়া যাবে৷ তবে তেমন কিছু না পাওয়ার কারণে, আমরা মোগলাই পরোটা অডার দিলাম। ভালো কথা, দুইজন খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। এরপর দেখি আমার বন্ধু আমাদের জন্য চায়ের অডার দিচ্ছে। আমি আবার জিগালাম, খাওয়ার পরে চা, আর হোটেলে চাও বিক্রি করে নাকি। আমার বন্ধু বলল হ্যা। এটা নাকি তাদের এলাকার প্রচলন। প্রতিটা হোটেলেই সবাই খাওয়া শেষ করে চা খায়। হোটেলগুলোতে আলাদা করে চায়ের ব্যবস্থা আছে। আমি বেশ অনেকটাই অবাক হলাম। আগে কখনও এমন নিয়ম দেখি নাই। আমাদের কুষ্টিয়া জেলাতে হোটেলে কখনও কেউ চা খায় না। এটা আমি নীলফামারীতে এসেই প্রথম দেখলাম। আসলেই ভ্রমণ করলে মানুষ নতুন নতুন বিষয়ের সাথে পরিচিতি লাভ করতে পারে।



আমাদের জেলাতে চা বিক্রি করে চায়ের কাপে, কিন্তু নীলফামারী জেলা কাঁচের ছোট গ্লাসে কেউ কেউ বড় গ্লাসে চা বিক্রি করে। বেশির ভাগ হোটেলগুলোতেই দুধ চা পাওয়া যায়। তবে আপনে চাইলে তারা রঙ চাও বানিয়ে এনে দিবে। আমি মনে করি এটা একই সাথে দুই ব্যবসা। হোটেলেও বিক্রি চায়েও বিক্রি। এক সাথে দুইটা জিনিসের লাভ। যা আমাদের জেলাতে হয় না। আমি মনে করি দেশের বেশির ভাগ জেলাতেই এটা হয় না। এজন্য ভাবলাম বিষয়টা আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।



ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্য জানানোর জন্য।



CommunityIncredible India.
CategoryTravelling story.
DeviceSamsung Galaxy A05
LocationSaidpur, Nilphamari, Bangladesh
Captured by@rasel72.

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...
 3 days ago 

আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম আপনি আপনার বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছেন। এটা বাস্তব এক, এক জেলায় এক ,এক প্রচলন রয়েছে। যা মানুষকে আকৃষ্ট করে, চা আমি পান করতে অনেক ভালোবাসি কিন্তু রং চা, ভাত খাবার পর চা খেলে ঘুম আসে না এটা সত্য কথা বা শরীরে একটা ঘুম ঘুম ভাব এটা কেটে যায়।
ভ্রমণের যদি কথা বলি তো মানুষ ঘুরতে গেলে মানুষের মন ভালো হয়। আপনার পরিবার ঠিকই বলেছে।আপনার পোস্টে পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ।

 3 days ago 

এটা একেবারেই ঠিক নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে নতুন কিছু জানা যায় সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছুই বোঝা যায় তবে আপনি একটা হোটেলে ঢুকে অনেক বেশি অবাক হয়েছেন নতুন কিছু না পেয়ে মোগলাই পরোটা অর্ডার করেছেন যেটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে।

আপনার লেখার মধ্যে নীলফামারী জেলার অনেক কিছুই জানতে পারলাম তবে আপনাকে অনুরোধ করব আপনার লেখা প্যারা গুলো আরো ছোট করে লেখার চেষ্টা করবেন এতে করে দেখতে যেমন সুন্দরভাবে পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগবে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ মতামতটা জানানোর জন্য।