Better Life With Steem || The Diary game || 18 November 2024 ||
মানুষের জীবনের পরিস্থিতি সবসময় একরকম থাকে না। কখনো কখনো আমাদের জীবনের পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়, আর এই পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে মানুষ নিজের ভালো থাকা মন্দ থাকা সব কিছুই নির্ভর করে থাকে। কিন্তু কিছু সময় দেখা যায়, কিছু মানুষের কথা এমন ভাবে মনে আঘাত লাগে। যেটা মানুষ সহজে ভুলে থাকতে পারে না।তবে ভুলে থাকার ভান কেরে যেমনটা মাঝে মাঝে আমিও করে থাকি।
তার পরেও প্রতিদিন ভালো থাকার চেষ্টা আমাদের করে যেতে হবে আর ভালো থাকতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টি কর্তার কাছে। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম ছেলের শরীরে প্রচন্ড জ্বর, কি করব বুঝতে পারছিনা। ডাক্তার বলেছিল ওষুধ খাওয়ানোর পরে একটু জ্বর বাড়বে। তারপর আবার কমে যাবে। তাই আর অতটা ভয় পেলাম না। তাড়াতাড়ি করে উঠে সকালের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিলাম।
এরপরে ছেলেদের জন্য নাস্তা তৈরি করে নিলাম। আজকে বুট মুড়ি মাখা তৈরি করেছি। আসলে কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না সকাল সকাল ঠান্ডার পরিমাণটা এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু ঘুম থেকে তো উঠতেই হবে তাই না, এরপরে ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসলাম। আমি এসে রান্নার জন্য সমস্ত কিছু রেডি করে রান্না করে নিলাম।
আজকে মোটামুটি গ্যাস ছিল, তাই রান্না করতে এত বেশি সমস্যা হয়নি। রান্না শেষ করে ছেলের জন্য আগে দুপুরের খাবার রেডি করে আমি গোসল করে নিয়েছিলাম। তারপর ওকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি সোজা বাসায় এসে নামাজ পড়ে, নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এদিকে দেখলাম সাহেব অনেক আগেই খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেছে। আমি এসে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে তারপর ওকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম।
এরপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম শরীরটা একেবারেই ভালো লাগছে না। আসলে হাঁটাহাঁটি কাজকর্ম সবকিছু মিলিয়ে কেমন যেন খারাপ লাগছিল। সবকিছু ঠিকঠাক করে শুয়ে পড়লাম আর একটু পরেই আসরের আযান দিল তাই তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে আসার জন্য রওনা করলাম। এরপর ওখান থেকে আসার সময় ওদের জন্য বার্গার নিয়েছিলাম দুইটা। এরপর বাসায় এসে দুই ভাই মিলে মজা করে বার্গার খেলো।
আমি রাতের জন্য সামান্য কিছু রান্না করবো তাই সবকিছু রেডি করে নিলাম, কিন্তু ব্যাস ছিল না তাই ওদেরকে পড়তে বসিয়ে আমি ওদের পাশে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। রাত ৯ টার সময় দেখলাম গ্যাস চলে এসেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে রান্না করে নিয়েছিলাম। আসলে শীতের সময় এখানে গ্যাসের পরিমাণটা নাকি অনেকটাই কমে যায়, অনেক বেশি সমস্যা করে এটা বাড়িওয়ালা আন্টির কাছে শুনতে পেয়েছিলাম, যাইহোক এটাই সত্যি হচ্ছে।
এরপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে নিজেও খাবার খেয়ে একটু বসে ছিলাম। এরপর দেখলাম সাহেব সিলিং ফ্যান নিয়ে এসেছেন এরপর বলল লোক নিয়ে আসতেছে ফ্যান লাগিয়ে দেয়ার জন্য। আমি বললাম লোক লাগবে না আমি এটা সেটিং করতে পারব। এরপর বললে তুমি পারবা আমি বললাম হ্যাঁ।
তারপর নিজে বসে ফ্যান সেটিং করে নিয়েছিলাম এরপর ও উপরে তার দুইটা জোড়া লাগিয়ে দিল এরপর আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
কিছু কিছু সময় নিজেকে অনেক জায়গায় মানিয়ে নিতে হয়। আজ যে আমাদের ছোট করে বলছে নিজেকে মানিয়ে নিলে আরো একটু ছোট হয়তোবা হয়ে যাবো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাছে ভালো থাকতে পারবো। তাই আমাদের জীবনে অনেক কিছু না চাইলেও মানিয়ে নিতে হবে এতে জীবন সুন্দর থাকবে। যাই হোক আপনার ছেলে অনেক অসুস্থ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এটা ভালো কাজ করেছেন। আসলে ডাক্তার কিছু কিছু সময় কিছু ঔষধ দিয়ে থাকে যেটা খেলে আরো অসুস্থ বেশি হয়ে যায় পরে আবার সব ঠিক হয়ে যায়। আশা করি আপনার ছেলে খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
I love these foods
কিছুদিন আগে আমি ঠিক আপনার এই কথাগুলো দেখেছিলাম কোন এক কমেন্টে যে কাউকে আঘাত করে কথা বললে সেটা সারা জীবন থেকে যায় তবে কাউকে যদি থাপ্পড় মারেন সেটা ক্ষণিকের জন্য ব্যাথা থাকে তার পাশে ভুলে যাই তবে আঘাত করে কথা বললে সেটা মানুষ কখনোই ভোলে না।
ভালো-মন্দ সময় নিয়েই মানুষের দিন চলা পরিস্থিতি মানুষের সব সময় এক রকম থাকে না এর পরিবর্তন ঘটে আশা করি আপনার সময় গুলো ভালো কাটবে ইনশাল্লাহ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।