ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো একটি দিন

in Incredible Indialast month
IMG_20240517_170057.jpg

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আবারও চলে আসলাম আমার মনের কিছু ভাবনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকের জন্যই স্বপ্নের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আমারও স্বপ্ন ছিল যে কোন একদিন আমার ছেলে মেয়েরেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক আমার মনের আশা পূর্ণ করেছেন। বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাক ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো একটি দিনের গল্প।

মে মাসের ১ তারিখে আমি ঢাকা গিয়েছিলাম। আপনারা সবাই হয়তো ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে হঠাৎ করে পরিক্ষা রেখে চলে এসেছিল বাসায়। তাই আমি অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করতে গিয়েছিলাম ঢাকা ভার্সিটিতে। সারাদিন ওখানে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম। যা এখন আমি আমার মত করে ব্যক্ত করার চেষ্টা করছি।

আমি পূর্বে ও ঢাকা ভার্সিটিতে কয়েকবারই বিভিন্ন কারণে গিয়েছিলাম। আমার বার কাউন্সিলের পরীক্ষার সিট ও ঢাকা ভার্সিটিতেই পড়েছিল।
তবে ঢাকা ভার্সিটিতে পূর্বে বহুবার যাওয়া হলেও এবার মেয়ের সুবাদে যেয়ে অনেকটা অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করেছিল মনে । ওকে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলাম। তখন হয়তো জানতাম না যে আমার মেয়ে এখানে চান্স পাবে বা আমি আবার এখানে ফিরে আসতে পারবো।

কিন্তু ২ তারিখে যখন আবার ভার্সিটিতে ঢুকলাম অতিতের স্মৃতি গুলো বারবার মনে পড়ছিল। নিজের পরীক্ষার জন্য হোক বা মেয়ের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হোক বিভিন্ন কারণেই ভার্সিটিতে আসা হয়েছে আমার কিন্তু এবারের আসাটা একটু অন্যরকম।

IMG20240502093451.jpg
IMG20240502093555.jpg

প্রথমেই বোনের বাসা থেকে সকালবেলা বের হই ।তারপর রিক্সা করে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে চলে যাই। ওখানে যেয়ে ওর ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করি। যে কি করা যায় ।তখন উনারা আমাকে বলল, যদি প্রেসক্রিপশন থাকে তাহলে এটার ফটোকপি সহ একটা অ্যাপ্লিকেশন ওর ডিপার্টমেন্টের প্রধান এর কাছে সাবমিট করার জন্য।

IMG20240502100404.jpg

তাই আমি ওকে কমনরুমে দেখে প্রেসক্রিপশন টা ফটোকপি করার জন্য ফটোকপি দোকানে চলে যাই।
ওখান থেকে এসে ওর এক টিচারের সাথে দেখা করি। তারপর বিস্তারিত সব খুলে বলার পর ওমনি আমার মেয়েকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দিদ।তাই অনেকটা খুশি হয়ে আমি ওকে বললাম তুমি প্রেজেন্টেশন দিয়ে আসো আমি কমন রুমে বসে থাকি।

প্রায় এক-দেড় ঘণ্টার মতো আমি কমন রুমে বসে ছিলাম ফাঁকে ফাঁকে ওর ডিপার্টমেন্টের কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম এবং ওর হলের ছবিটাও তুলে নিলাম ।যখন ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেল তখন এই হলে এসেই কাগজপত্র সাবমিট করেছিলাম।

IMG20240502100958.jpg
IMG20240502100554.jpg
IMG20240502100901.jpg
IMG20240502101108.jpg

যতক্ষণ না ওর প্রেজেন্টেশন শেষ হলো ততক্ষণ আমি ঘোরাঘুরি করতে লাগলাম একা একা আর কি করবো। তাছাড়া অপরিচিত জায়গায়, কারো সাথে কথা বলতে ও ভয় লাগে। তাই খানিকটাক্ষন ঘুরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। সেজন্য আমার মেয়ে আসার পর বললাম যে, একটি তরল জাতীয় কিছু কিনে নিয়ে আসার জন্য ‌।কারন এতো পরিমানে গরম পড়ছিল।তাই দুজনে দুইটা মিল্ক ড্রিংক খেয়ে নিলাম।

তারপর খানিকটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর ওকে এপ্লিকেশন লিখতে বললাম ,সাথে প্রেসক্রিপশনটা স্টেপলার করে ডিপার্টমেন্টে জমা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। তবে ঢাকা ভার্সিটির ক্যাম্পাস টা ঘুরে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল এবং কিছু অভিজ্ঞতা ও অর্জন হল আমার। ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়লে সবার জীবনেই কিন্তু সফলতা আসে না কিছু ছেলে মেয়ের আচরণ দেখে মনে হল এলোমেলো চিন্তাভাবনার মধ্যেই তারা রয়েছেন । আবার কিছু ছেলেমেয়েকে দেখলাম খুব সচেতন তাদের লাইফ সেটেল করার জন্য এখন থেকেই তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়লেই যে জীবন প্রতিষ্ঠিত হবে এমনটা নয় নিজের পরিকল্পনামাফিক কাজ করাটাও খুবই জরুরী। বন্ধুরা এই ছিল আমার ঢাকা ভার্সিটির ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ।যা আমি আমার মত করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ধন্যবাদ সবাইকে ,ভালো থাকবেন।

Sort:  
Loading...
 last month 

সত্যিই বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই অনেক জনের স্বপ্ন। কিন্তু ক'জনরই বা এই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। যাক আপনার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
আপনার মত আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বার গিয়েছিলাম।
আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন আপনার মেয়ে অসুস্থ এজন্য এপ্লিকেশন সাবমিট করার জন্য।
সেই সুবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছবি আমাদের মধ্যে তুলে ধরেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

মেয়ের কাজের জন্য ঢাকা ভার্সিটি গিয়েছিলেন, এটা আপনি একদম সত্য বলেছেন ঢাকা ভার্সিটি পড়ার অনেকের স্বপ্ন থাকলেও অনেকে পড়তে পারে না।। আর যে কোন প্রতিষ্ঠানে অসুস্থ থাকলে অনেক সময় প্রেসক্রিপশন দেখাতে আর এরকমটা আপনি করেছেন।। আর হ্যাঁ ঢাকা ভার্সিটিতে বেশ অনেকটা সময় পার করছেন।।।

 last month 
  • আমার নিজের অনেক স্বপ্ন ছিল ঢাকা ভার্সিটিতে যে কোন একটা সাবজেক্ট পড়বো কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই স্বপ্ন আধুরাই রয়ে গিয়েছে।
 last month 

স্বপ্ন আমাদের প্রতিটি মানুষের রয়েছে সেটা আমরা অনেকেই পূরণ করতে পারি আবার অনেকেই না।। জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত আছে সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরা চাইলেও অনেক সময় অনেক কিছু করতে পারি না যেমনটা আপনার সাথে হয়েছে।। আপনি না পারেন আপনার মেয়ে তো পড়ছে এটাই অনেক।।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 60896.89
ETH 3361.32
USDT 1.00
SBD 2.49