Better life with steem || The Diary Game || 21 st April, 2024 ||

in Incredible India18 days ago
IMG_20240422_024055.jpg

"বিয়ে বাড়িতে কাটানো কিছু মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সারাদিন আমার কিভাবে কাটলো সেই গল্প। সত্যি কথা বলতে, আজকাল যে পরিমাণ গরম পড়ছে, তাতে সারাদিন যে কি পরিমাণে কষ্টে কাটছে, সেটা আসলে আলাদা করে কাউকেই বোঝাতে হবে না। কারণ সকলেই একই পরিস্থিতির শিকার।

তবে গরম যতই পরুক না কেন, নিত্য দিনের সব কাজই আমাদেরকে করতেই হয়। আজও তার অন্যাথা হয়নি। তাই সারাদিন আজকে কি কি করলাম, চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

গতকাল রাতে ঘুমাতে আমার ৩.৩০ টের বেশি বেজে গিয়েছিলো। তবে শোয়ার সাথে সাথে ঘুম তো দূরের কথা, আরো যেন বেশি গরম লাগছিলো। এপাশ ওপাশ করতে করতে কখন ঘুমিয়েছি সত্যিই জানিনা।

সকালবেলায় যখন ঘুম ভাঙলো তখন ৬.২০ বাজে। যেহেতু রবিবার তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার কোনো তাড়া ছিলো না। বেশিক্ষণ ঘুম হয়নি, তাই ভাবলাম আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি, সেই অবস্থায় আবার কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝিনি। যখন ঘুম ভেঙ্গেছে তখন ৮.১৬ মিনিট। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যখন ঘুম থেকে উঠলাম,বাইরে তখন প্রচন্ড রোদ্দুর উঠে গেছে।

IMG_20240421_024253.jpg

প্রথমে তাড়াহুড়ো করে ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেলাম ফুল তুলতে। কারণ রৌদ্রের তাপ বেলা বাড়ার সাথে সাথে এতটা তীব্র হয় যে, তখন ফুল তোলা আরও অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। চা খাওয়াটা আমার বাড়ির সকলের অভ্যাস, তাই অল্প হোক বা বেশি সকালে ও সন্ধ্যা বেলায় চা খেতেই হবে। এই কারণে আমি এসে চা বসালাম।

IMG_20240421_024448.jpg

রবিবার বলে রান্নার কোনো তাড়া ছিল না। তাই চা করে একটু বেশি সময় নিয়ে আরাম করে খেলাম,আর তার সাথে কমিউনিটির কাজ দেখলাম

আমাদের পাশের বাড়িতে আজ একটা বিয়ে নিমন্ত্রণ ছিলো। সকাল থেকে সেই বাড়িতে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে শ্বশুরমশাইয়ের শরীর খারাপ তাই তিনি যাবেন না, আর শাশুড়ি মা অন্যের বাড়িতে খান না। এই কারণে খেতে যাওয়ার দায়িত্ব আমার ও শুভর ছিলো। তবে সকালের খাবার ওনরা বাড়িতে দিয়ে গিয়েছিল।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

আলুর তরকারি দিয়ে লুচি খেয়ে আমি কমিউনিটির কাজ করলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর ঘরের কিছু কাজ করে নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণের অফলাইনে গেলাম। তার মাঝে জামাকাপড় কেঁচে, ঘর মুছে, স্নান করে নিয়েছিলাম। এখন অবশ্য দিনে কতবার স্নান করি তার কোনো ঠিক নেই।

IMG_20240422_024425.jpg

তবে সময় মতন পুজো দেওয়ার জন্য দুপুরের স্নানটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে করে থাকি। দুপুরে শুভ ও পাশের বাড়িতে খেতে যায় নি। আজ রবিবার তাই দুপুর বেলাতেও সে ঘুমাচ্ছিলো। আমি একা গিয়ে পাশের বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছি। তবে ফোন বাড়িতে ছিলো, তাই ছবি তুলতে পারিনি।

1672344690977_010726.jpg

"বিকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলা"

এরপর বাড়িতে এসো কিছুক্ষণ কমিউনিটির কাজ করার পর একটু শুয়ে ছিলাম, কিন্তু কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। তবে খুব বেশিক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ হয়নি, কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল, তাই আমিও উঠে পূজো দিয়েছিলাম।

সন্ধ্যার দিকে আমাদের ঘরে এতো গরম থাকে যে, ঘরের মধ্যে ফ্যান চললেও যেন গরম হাওয়া বেড়োয়। এই কারণে বেশিরভাগ দিন সন্ধ্যাবেলা আমরা বারান্দাতে বসি, সেখানটাতে একটু হলেও ঠান্ডা থাকে।

এই গরমে বিয়ের বাড়িতে যাওয়া মানে শাস্তি। তবে রোজ সন্ধ্যাবেলায় বুমিং সংক্রান্ত আমার কিছু কাজ থেকে, তাই আগে বসে সেই সমস্ত কিছু কাজ করে নিলাম। তারপর মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিলাম বিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য। এই গরমে সবথেকে কঠিন কাজ হলো- শাড়ি পড়া।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

যাইহোক এদিক ওদিক করার পরেও মোটামুটি ৯.৩০ নাগাদ তৈরি হলাম। আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আজ বোঝাতে আয়োজন করা হয়েছিল। তাই আমি আর শুভ বাইক নিয়ে সেখানে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম, যাতে আসার সময় আর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে না হয়।

IMG_20240421_224213.jpg
IMG-20240421-WA0005.jpg

মোটামুটি রেডি হয়ে পৌঁছে গেলাম বিয়ে বাড়িতে। ভিতরে ঢুকে মনে হল যেন এখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে সেদ্ধ হয়ে যাবো, এতটা গরম লাগছিলো। আসলে এতো মানুষের সমাগম ছিলো যে, গরমটা আরো বেশি অনুভুত হয়েছিলো। তাই আমরা বাইরে অপেক্ষা করলাম।

IMG-20240421-WA0006.jpg
IMG-20240421-WA0004.jpg

বেশ অনেক মানুষের আয়োজন ছিল তাই আমাদের খাওয়ার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বাইরে শুভর বন্ধু, আমার ননদের বড় ছেলে, আমি, ও শুভ সকলে মিলে অপেক্ষা করছিলাম। বাইরেটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছিলো, তাই কয়েকটি ছবিও তুললাম।

IMG_20240421_224506.jpg

সত্যি কথা বলতে ,গরমে ততক্ষণে অবস্থা খারাপ। মাঝখানে পাশের দোকান থেকে একটা থামস্ আপ এনে খেয়েছিলাম। কারণ বিয়ে বাড়ির মকটেল কাউন্টারে এত বেশি ভীড় ছিল যে, সেখানে লাইন দিয়ে খেতে গেলে, দম বন্ধ হয়ে মরে যেতাম।

IMG_20240421_231112.jpg

যাইহোক অবশেষে ১১:৩০ টা নাগাদ আমরা খেতে বসলাম। আয়োজন ভালোই ছিলো, কিন্তু গরমের কারণে খেতে পারিনি। আর আমার পছন্দের জিনিস খুব বেশি ছিল ও না
যাইহোক আপনাদের জন্য প্রতিটা খাবারের আলাদা করেছিল তুলতে পারিনি বলে, মেনু কার্ডের একটি ছবি তুলে নিয়ে এসেছি।

তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে, আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা করি। রাস্তায় আবার একটা দোকানে দাঁড়িয়ে কোলড্রিংস খেয়ে, তারপর বাড়িতে ফিরলাম। রাত হয়ে গেছে তবে বাড়িতে এসে যখন ঘরের ভিতরে ঢুকলাম তখন আরো অনেক বেশি গরম লাগছিলো।

এরপর ফ্রেশ হয়ে কমিউনিটির কিছু কাজ দেখে নিয়ে, আমি আমার পোস্ট লেখার কাজ শুরু করলাম। লেখা শেষ করে পোস্ট করবো এবং তারপর শুয়ে পড়বো। কারণ আগামীকাল সোমবার, আবার নতুন সপ্তাহ শুরু এবং রুটিনমাফিক কাজও করতে হবে।

1672344690977_010726.jpg

এইভাবে কাটালো আজকের দিনটি। যদিও গরমটা একটু কম থাকতো তাহলে বিয়ে বাড়িটা বোধহয় আরেকটু বেশি উপভোগ্য হতে পারতো। কিন্তু গরমের কারণেই আনন্দটা নষ্ট হয়ে গেছে এবং শুধু আমার নয় বাকি সকলের ও একই অবস্থা।

যাইহোক এই গরমে সকলেই সাবধানে থাকবেন। চেষ্টা করবেন প্রয়োজনীয় কাজ গুলি একটু সকালের দিকে, অথবা বিকেলের দিকে করার, কারণ দুপুরবেলা বাড়ি থেকে না বেরোনোই ভালো। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সকলের ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।

Sort:  
 17 days ago 

আসলে এত গরম পড়েছে যে কোন কিছু করেই শান্তি পাওয়া যায় না। সেটা সাধারণ ঘরের কাজই হোক, বাইরের কাজই হোক কিংবা কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াতই হোক না কেন।
একটা কাজ করেই শুধু শান্তি পাওয়া যায় আর সেটা হলো গোসল করে।

চা খাওয়াটা আপনার বাড়ির মতো আমাদের বাড়িতেও বানাতেই হবে। মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। যদিও এখন দুইবেলা থেকে একবেলায় নামিয়ে আনি বেশিরভাগ দিনই।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। তবে গরমের কারনে যে ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন নাই সেটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

 14 days ago 

আমার নিজের চায়ের নেশা না থাকলেও, শীতকালে মাঝে মধ্যে চা খাওয়া হয়। তবে গরমকালে চা খেতে এবং চা বানাতে দুটোই আমার কাছে বেশ বিরক্তিকর কাজ। সত্যিই এই গরমে বাড়ির কাজ করা যতটা কষ্টকর, ততটাই কষ্টের কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...
 17 days ago 

বর্তমানে এত বেশি গরম পড়েছে যা বলার মত নয়। আর এই গরমে কাজ করতেও বেশি ভালো লাগে না। আপনাদের বাসায় সবাই চা অনেক পছন্দ করে। বলতে গেলে চা খাওয়া পুরনো দিনের অভ্যাস।
এরকম গরমের দিনে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া একদম বিরক্তকর কাজ।

সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 14 days ago (edited)
  • একদমই তাই, চা টা আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই অভ্যাস। গরম হোক বা শীত চা না খেলে অনেকের নাকি মাথা যন্ত্রণা করে, অন্তত আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও হাজবেন্ড তো তাই বলে। তাই অল্প করে হলেও দু চুমুক চা প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যাতে লাগবেই।

  • এইরকম গরমে শুধু নিমন্ত্রণ বাড়ি কেন, যে কোনো জায়গাতে বের হওয়াই অনেক কষ্টের। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাঝেমধ্যে আমাদেরকে বেরোতেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে আপনার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 61232.75
ETH 2977.74
USDT 1.00
SBD 3.60