Better life with steem// The Diary Game// 16 th November, 2024
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটছে। অন্যান্য কাজ সেরে বেশ কিছুটা দেরি হলো পোস্ট লিখতে বসতে।
আজ অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন। অবশ্য গত দুদিন যাবৎ এই শীতের হালকা আভাস পেতে শুরু করেছি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে শীত পরতে শুরু করবে আশা করা যায়।
তবে মাঝের এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টা কম বেশি সকলেরই শরীর খারাপ হচ্ছে। তাই একটু সাবধান থাকাই ভালো। যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার গতকালের দিনটি কিভাবে কাটিয়েছিলাম।চলুন তাহলে শুরু করা যাক, -
"সকালবেলা"
|
---|
ঘুম থেকে উঠলে আজকাল একটু শীত লাগে। তবে দরজা খুলে রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ দেখতে মন্দ লাগে না। শীতের রোদে দীর্ঘ সময় না দাঁড়ানো গেলেও, সকালে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ ভালোই লাগে। তবে ঘুম থেকে একটু দেরিতে ওঠার কারণে গতকাল সেটুকু উপভোগ করার সুযোগ পাইনি। তাই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে চা বসিয়েছিলাম।
|
---|
আমি বরাবরই একটি শীতকাতুরে। চা খাওয়াটা যদিও আমার অভ্যাস নয়, তবে শীতকালে সকালের দিকে দু চুমুক চা খেলে শীতটা একটু কম লাগে। তাই বেশিরভাগ দিনই বড় কাপে শুভর জন্য চা নিয়ে যাই। সেখান থেকেই নিজে দু চুমুক চা খেয়ে নিই। গতকালও তেমনটাই করেছি।
এরপর নিচে এসে শুভর জন্য অফিসের রান্না বসিয়ে, সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রুটি করলাম। গতকাল হঠাৎ করেই কেন জানি না আমার নিজের ডিম ভাজা দিয়ে গরম গরম রুটি খেতে ভীষণ ইচ্ছে করছিল। যদিও রুটি আমার ভীষন অপছন্দের।
|
---|
শুভ অফিসে চলে যাওয়ার পর সব কাজের শেষে ডিম ভাজতে ইচ্ছে করছিল না, একটু আলসেমি লাগছিল নিজের জন্য আলাদা করে ডিম ভাজতে। তবে গতকাল আর আলসেমিকে প্রশয় না দিয়েই, নিজের জন্য একটা ডিম ভেজে, রুটি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেছিলাম।
শীতকালের বেলা কখন যেন দেখতে দেখতে গড়িয়ে যায় বুঝে ওঠা মুশকিল। পোস্ট লেখা বাকি ছিলো, তাই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য পোস্ট লেখা শেষ করে, তড়িঘড়ি স্নান করতে চলে গিয়েছিলাম।
"দুপুরবেলা"
স্নান সেরে পুজো দিয়ে উঠতেই বাইরের দিকে তাকালে মনে হয় যেন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে। গত দু-তিন দিন শ্বশুর মশাই একদমই ঘুমাননি। গতকাল সারাদিনই তিনি ঘুমিয়েছেন। কতবার ডাকার পর যে কাল দুপুরে উঠেছেন তার কোনো হিসেব নেই।
|
---|
যাইহোক উনি স্নান সেরে আসার আগেই শাশুড়ি মায়ের স্নান হয়ে গিয়েছিলো। ততক্ষণে আমিও পিকলুকে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আমরা তিনজনও লাঞ্চ করে নিয়েছিলাম। এরপর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ বাদেই আমার মাসির মেয়ে ফোন করেছিল শ্বশুর মশাই ও জামাইবাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য।আর তারপরেই অ্যাডমিন ম্যামের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে ফোনে কথা বলেছিলাম।
"সন্ধ্যাবেলা"
কথা শেষ করে আমি সন্ধ্যা দিতে গিয়েছি, এমন সময় হঠাৎ করে কলিংবেলের আওয়াজ পেয়ে গেটে গিয়ে দেখি, আমার বড় দিদি, জামাইবাবু ও দিদির ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রথমে একটু অবিশ্বাস্যই লাগছিলো। কারণ হঠাৎ করে ওরা আসবে এটা ভাবিনি। যদিও শ্বশুর মশাইকে অনেকদিন ধরেই দেখতে আসবে বলছিলো, তবে কোনো কারনে সময় করে উঠতে পারছি না। গতকাল দাদা অফিস থেকে ফেরার পথে দত্তপুকুর করে নেমেছিল, আর দিদি ছেলেকে নিয়ে মছলন্দপুর থেকে দত্তপুকুর এসেছিলো।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি আমার বিয়ের পর আমার বড়দি গতকাল প্রথম আমার বাড়িতে এসেছিলো। ও বরাবরই ঘরকুনো। বাড়ি থেকে বের হতে একদমই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। বোধহয় দীর্ঘদিন না বেরোতে বেরোতে এটাতেই ও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। যাইহোক তবু হঠাৎ করে গতকাল আসাতে বেশ ভালো কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি, এটাই অনেক।
|
---|
ঘন্টাখানেক মতন ছিল ওরা। যেহেতু বাড়িতে ফিরতে হবে তাই বেশি রাত করেনি। সকলের সাথে কথা বলতে বলতে এক ঘন্টা সময় পার হয়েছে কখন বুঝতে পারিনি। একসাথে সকলে সন্ধ্যার টিফিন সেরে নেওয়ার পর পরই দিদিরা বেরিয়ে গিয়েছিলো। তারপর শুভও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেরিয়ে গেলে, আমি আমার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসে পড়লাম।
"রাত্রিবেলা"
দিদিরা আসাতে সন্ধ্যাবেলায় শুভ চাউমিন দিয়ে এসেছিলো। তার পাশাপাশি দিদিরা মিষ্টি, ফল কোলড্রিংস এই সমস্ত কিছু নিয়ে এসেছিলো। তাই সেই সমস্ত খাওয়া-দাওয়া করাতে রাতে আর খিদে ছিল না বলে, আমি ও শুভ কিছুই খাইনি।
শশুর মশাইয়ের সুগার চেক করে, ওনাকে খাবার কি খাবার দেবো জানতে চাওয়াতে উনি ম্যাগী খেতে চেয়েছিলেন। সন্ধ্যাবেলাতে ওনাকে অনেকবার চাউমিন খাওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু উনি তখন খাননি।
|
---|
রাতের দিকে হঠাৎ করে উনার ইচ্ছে হলো ম্যাগি খাবেন। যেহেতু সুগারটা একটু কম ছিলো, তাই ওনাকে ম্যাগি করে দিয়েছিলাম। শাশুড়ি মা রাতে একাই ভাত খেয়েছিলেন। ওনাদের খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর, বাকি খাবার গুলো গুছিয়ে ফ্রিজে রেখে, আমি পুনরায় আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম।
যেহেতু কাল শনিবার ছিলো, ঘুমাতে যাওয়ার খুব বেশি তাড়া ছিল না। তাই শুভর সাথে বসে একটা সিনেমার কিছু অংশ দেখছিলাম। সম্পূর্ণ সিনেমা শেষ করতে পারিনি, তাহলে ঘুমাতে আরো দেরি হতো। ইচ্ছে আছে আজ বাকি অংশটুকু দেখবো। এইভাবেই কাটলো আমার গতকালের দিনটা। ভালো থাকবেন সকলে।
Thank you so much for your support @memamun. 🙏
শীতের সকালে রোদ্দুর মধ্য দাঁড়িয়ে শীতের সকাল অনুভূতিটা অন্যরকম লাগে। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব নিয়ে ঘুম ভাঙ্গে কিন্তু রোদ্দুরের মধ্য দিয়ে দাঁড়াতে আনন্দ লাগে। এটার নামই তো শীতকাল। যাইহোক আপনি ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার জন্য শীতের রোদ্দুর উপভোগ করতে পারেননি। তাই আপনি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে চা বসিয়ে দিয়েছিলেন। আসলে শীতের সকালে চা খেতে ভালোই লাগে গরম গরম চা একটি অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে। অভ্যাস না থাকলেও গরম গরম জিনিস খেতে আসলেই ভালো লাগে শীতের সময়। যাই হোক আপনার দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর রৌদ্রে দাঁড়াতে বেশ ভালো লাগে। সকালে কাজের চাপের জন্য দাঁড়াতে পারি না, আর দুপুরে যতক্ষনে খাওয়া দাওয়া হয় ততক্ষণে ছাদে আর রৌদ্র থাকে না। ভাগ্য এতোই খারাপ ☺। চা খেতে ভালো লাগে না, তবে হ্যাঁ সকালের দিকে গরম কিছু খেলে শীতটা একটু কমই লাগে। আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।