Incredible India monthly contest of October #1| My preferable Era!
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। শুরুতেই আপনাদের সকলকে বিজয়ার অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আশাকরি পুজোর দিনগুলো সকলের বেশ ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে চলমান কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা সকলে অবগত হয়েছেন। তবে যারা এখনও পর্যন্ত পোস্টটি পড়েন নি, তাদের জন্য লিংকটি নীচে আরও একবার শেয়ার করছি, -
|
---|
সত্যি কথা বলতে সত্য যুগের কথা বিভিন্ন গ্ৰন্থে, পুরাণে পড়েছি, সিনেমায় দেখেছি, লোক মুখে শুনেছি, তবে কোনোটাই চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়নি। তবে অনেকেই বলে মানুষের শরীরের মৃত্যু হলেও, আত্মার মৃত্যু হয় না। তাই হয়তো সেই যুগেও আমি জন্মেছিলাম অন্য কোনো রূপে, যেটা আমার অজানা। তাই সেই সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করা অসম্ভব। আর ঠিক এই কারণে আমার জন্য পছন্দের যুগ এই আধুনিক যুগ।
তবে আধুনিক যুগেরও দুটো দিক দেখার সুযোগ হয়েছে আমাদের। আমাদের ছোটবেলার সাথে যদি বর্তমান দিনের বাচ্চাদের ছোটোবেলা যদি তুলনা করি, তাহলে এই দুটোকেও আলাদা দুটো যুগ বলা যায়। তাই সে দিক থেকে যদি বলতেই হয় তাহলে আমি আমার ছেলেবেলার ফেলে আসা আধুনিক যুগকেই সব থেকে বেশি পছন্দ করি।
যদিও বর্তমান যুগ অনেক বেশি উন্নত, তবুও আমার জন্য সেই অনুন্নত ফেলে আসা ছেলেবেলার জীবন বেশি ভালো লাগে আর পছন্দের।
"Which changes do you like and dislike about the Modern Era? Describe"
Source |
---|
|
---|
আধুনিক যুগে অনেক কিছুই আমাদের জীবনযাপনকে সহজ করেছে। অনেক কঠিন কাজকে কম সময়ে সমাপ্ত করতে সাহায্য করেছে। যুগের উন্নতির সাথে বহু জিনিসের আবিষ্কার আমাদের জীবন ধারাকে উন্নত করে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
আজকের দিনে মোবাইল হোক বা কম্পিউটার, প্রতিটা জিনিস আমাদের জন্য কতখানি মূল্যবান তা বোধহয় আমরা আরও বেশি অনুভব করতে পারবো যদি, আমাদের জীবনের একটা দিন এই জিনিসগুলি ছাড়া কাটাতে হয়। কারণ সত্যি কথা বলতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে, রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যয় হয় মোবাইলের পিছনে।
এমনকি কাজের ক্ষেত্রেও মোবাইলের ভূমিকা অনেক বেশি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ হোক বা সেগুলো সম্পর্কে জানা হোক, সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অপরিহার্য। মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ছাড়া আমরা আমাদের জীবনকে বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে কল্পনাও করতে পারি না।
বিশেষ করে কোভিডের সময় মোবাইল বা কম্পিউটার, পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসগুলি কিভাবে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি। এমনকি বর্তমান যুগে দাড়িয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য আমাদের অন্য কোন কিছুর উপরে নির্ভর করতে হয় না। কারণ অনলাইন থেকেই আমরা সমস্ত তথ্য পেয়ে যাই। ঘরে বসে সেই সকল কাজ করা সম্ভব হয়, যেগুলো করার জন্য আগে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো।
Source |
---|
"মন্দ দিক"
তবে এইসব ভালো দিকের পাশাপাশি এমন অনেক খারাপ দিকও রয়েছে, যেগুলো আমি অস্বীকার করতে পারি না। আধুনিক যুগে অনেক আবিষ্কার আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে ঠিকই, তবে তার পাশাপাশি আমাদের বড্ড বেশি আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে।
আমরা যদি আমাদের ছোটবেলার দিনগুলো ফিরে দেখি, আর সেই সাথে আজকালকার দিনের বাচ্চাদের ছোটবেলাগুলো তুলনা করি, তাহলেই দেখতে পারবো কত বিস্তর ফারাক রয়েছে এই দুই ছেলেবেলার মধ্যে।
মানুষের মধ্যে আত্মিকতা কমতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে, মানবিকতাও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। মানুষ পরিবার-পরিজনদের ব্যতি রেখে শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। ফলতো মানুষের মধ্যে যে সুন্দর সম্পর্ক আগে চোখে পড়তো আজ কিন্তু সেসব বিরল।
যুগের অগ্রগতিতে আজ আমরা আধুনিকতায় বিশ্বাসী। তবে দিনশেষে আমরা প্রত্যেকেই বোধহয় ফিরে যেতে চাই আমাদের ফেলে আসা ছেলেবেলায়। যেখানে মানুষের জীবনে ব্যস্ততা থাকলেও, তা কখনোই সম্পর্কের ক্ষেত্রে, অনুভূতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
তবে আজ মানুষ সম্পর্ক, অনুভূতি অনেক কিছুই উপেক্ষা করে ব্যস্ততাকে আঁকড়ে ধরে, শুধুমাত্র যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে। আর এই সব কিছুকেই আমি আধুনিক যুগের খারাপ দিক বলে মনে করি। কারণ মানুষ হিসেবে আমাদের মধ্যে মানবিকতা, অন্যের প্রতি সহানুভূতি থাকবে এটাই কাম্য।
|
---|
হ্যাঁ আমি সত্যিই খুশি এই যুগে জন্মগ্রহণ করে। হিসেব করলে আমার ছোটবেলাটা হয়তো অতখানি আধুনিকতার ছোঁয়া পায়নি, তাই সে যুগে ভালোবাসা, সম্পর্ক, অনুভুতি এই সমস্ত কিছু ঘিরে ছিল আমাকে।
আবার বড় হওয়ার সাথে সাথে, যুগের অগ্রগতিকে আমি চোখের সামনে দেখেছি। তাই সেগুলির সাথে তাল মেলাতেও খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। কেমন যেন পথ চলতে চলতে শিখে গেছি সবটা। আর এই কারনে বোধহয় তুলনা করতে পারি এই সমস্ত অগ্রগতি আমাদের জীবনের কোন কোন জায়গা গুলোতে সুফল এনেছে, আর কোন কোন কুফল গুলো আমাদের জীবনে যুক্ত হয়েছে।
ছোট্ট একটা উদাহরণ স্বরূপ যদি বলি, একটা সময় দেশের বাইরে থাকা মানুষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি, তাই যদি কারোর মৃত্যু সংবাদ বিদেশে পাঠাতে হতো, তাহলে চিঠির বা টেলিগ্রামের সাহায্য নিয়ে পাঠাতে হতো। তবে অনেক সময় শুনতে পেতাম সেই খবর যতক্ষণে সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়, ততক্ষণে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়।
এমনটা আমাদের সাথেও হয়েছে। বাংলাদেশে আমাদের একজন আত্মীয় মারা গিয়েছিলেন। আর সেই সময় চিঠির মাধ্যমে এ দেশে খবর পাঠানো হয়েছিলো, কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই চিঠি যত দিনে এসে পৌঁছে ছিলো, ততদিনে তার সমস্ত অন্তোষ্টিক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তাই আত্মীয় হিসেবে যে নিয়ম-কানুন গুলো আমাদের পালন করা উচিত ছিলো, তা পালন করা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু যুগের পরিবর্তনে আজ এই ধরনের খবর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যায় বিদেশে। তবে সেই সময় মানুষের ভিতরে এই ধরনের খবর পাওয়ার পরে যে অনুভূতি কাজ করতো, আজ আর সেগুলো কাজ করে না।
সঠিক সময়ে খবর না পেয়ে যে আফসোস আগেরকার দিনে মানুষেরা করত, আজ ঠিক সময়ে খবর পেলেও সেই আফসোস করার মত সময় নেই বেশিরভাগ মানুষেরই। কারণ প্রত্যেকেই ব্যস্ত নিজেদেরকে নিয়ে, তাই যুগের অগ্রগতিতে আমাদের জীবন যাত্রার উন্নতি হয়েছে ঠিকই, তবে যা হারাতে বসেছি তাহলো সম্পর্কের মূল্যবোধ।
|
---|
যাইহোক এই ছিলো আধুনিক যুগ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত যা সম্পূর্ণ নিজের মত করে আমি উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @mdsahin111,@charles10 ও @mollymochtar কেও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে, তাদের পছন্দের যুগ সম্পর্কে মতামত জানানোর অনুরোধ করছি, যাতে তারাও এগিয়ে এসে নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করেন।
আজকের পোস্ট আমি এখানেই শেষ করছি। আপনাদের আজকের লেখা পড়ে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।সকলে ভালো থাকবেন।