Better Life With Steem | The Diary game 18, November |

in Incredible India2 days ago

IMG_7928.jpeg

আজকে চারটার দিকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল যার কারনে সকালে সময়মতো উঠতে পারবো কিনা এটা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ছয়টার মাঝেই উঠতে পেরেছি। চল্লিশ মিনিটের মতো হাটাহাটি শেষ করে বারান্দায় গিয়ে গাছগুলোতে পানি দিলাম।

সাথে রোদের মাঝে মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে রইলাম। শীতের দিনে রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে খারাপ লাগে না।যদিও এখনও শীত পরে নাই তারপরও সকালের রোদে দাঁড়ালে খারাপ লাগে না। রোদের মাঝে কিছুটা সময় থাকলে আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরন হয়।

IMG_7931.jpeg

সূর্যের আলো আমাদের চামড়ার নিচে থাকা ফ্যাটের সাথে বিক্রিয়া করে ভিটামিন -ডি তৈরি করে। আমরা যারা শহরে বাস করি তাদের গায়ে রোদ তেমনভাবে লাগে না বললেই চলে। আমার এক ডাক্তার ভাগ্নি মজা করে একদিন বলেছিলো যে, ঢাকা শহরের সব মানুষদেরকে যদি ধরে ভিটামিন -ডি টেস্ট করা যায় তাহলে প্রায় সবারই ডি এর অভাব দেখা যাবে।তাই ইদানীং চেষ্টা করি রোদে খানিকটা সময় দাঁড়াতে।

এরপর রান্না ঘরে ঢুকে পরলাম নাস্তা বানানোর জন্য। ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো সেটাই সেকে নিলাম। রুটির সাথে অবশ্য সবজিও সেদ্ধ করা ছিলো।

সময় বাঁচানোর জন্য আমি একদিন সবধরনের সবজি একসাথে সেদ্ধ করে এয়ারটাইট কন্টেইনারে রেখে দেই। শুধু সবজি না বিভিন্ন রকমের শাক, ও ছোলা জাতীয় জিনিসও একইভাবে রেখে দেই। এতে রান্নার সময় অনেকটাই বেচে যায়।

IMG_7932.jpeg

এরই মাঝে আমার হাবিও দেখলাম ওঠে পরেছে।সে নাস্তা করে ব্যাংকে চলে গেল। সে চলে যাওয়ার পরে কি রান্না করবো সেটা নিয়ে চিন্তা করলাম। আজকে স্কয়ার হসপিটালে যেতে হবে ছোট ছেলেকে নিয়ে। দুইজন ডাক্তার এর কাছে আ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া আছে।

আজকে শুধু মুরগী রান্না করলাম। ভাবলাম যে, হসপিটাল থেকে এসে ওদেরকে পোলাও রান্না করে দিবো। এখন রান্না করলে বাসায় আসতে আসতে ঠান্ডা হয়ে যাবে।
বড় ছেলেকে বললাম আমাদেরকে হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে আসতে। সময়মতোই পৌঁছালাম হসপিটালে কিন্তু ডক্টর অনেক সময় নিয়ে দেখতেছিলো।

এই ডাক্তার আমার কাজিন হন।তাই আমার ছেলে বললো যে, তুমি যেয়ে একটু উকি দিয়ে তোমার মুখ দেখিয়ে আসো তাহলে হয়তো তাড়াতাড়ি দেখবে আমাদেরকে। কিন্তু আমি না তাই এধরণের কোন চেষ্টাই করলাম না।

IMG_7938.jpeg

বরং নার্স স্টেশনে বলে অন্য ডাক্তারের কাছে গেলাম ওকে নিয়ে। সেখান থেকে আসতে আসতে আমাদের ১ টার মতো বেজে গেল। এরপর এসে দেখি আরো একজনকে দেখার পরে আমাদের সিরিয়াল।একটু অবাক হলাম এত লেট করে রোগী দেখতে দেখে।

পরে ভেতরে ঢুকে জানতে পারলাম যে, ভাইয়ের ব্রেইনস্ট্রোক হয়ে বামপাশ পুরোপুরি অবশ হয়ে বিছানায় পরে ছিলো প্রায় দশমাস। আমি এর আগে হসপিটালে গিয়ে কয়েকবার ভাইয়ের খোজ করেছি কিন্তু আমাকে হসপিটাল থেকে জানিয়েছে স্যার ছুটিতে আছেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু জানার চেষ্টা করি নাই এটা ভেবে কিছুটা অপরাধবোধে ভুগলাম।

IMG_7941.jpeg

হসপিটাল থেকে বাসায় আসতে আসতে তিনটার বেশি বেজে গেল। বাসায় ঢুকার সাথে সাথে ছেলেরা খেতে চাইলো।কিন্তু বাসায় শুধু মুরগী ছাড়া আর কিছুই ছিলো না তাই দ্রুত রান্নাঘরে ঢুকে পোলাও রান্না করলাম।

বাসায় আসার সময় বেগুন আনতে চেয়েছিলাম ভাজার জন্য কিন্তু সবজিওলাকে দেখতে পাই নাই, তাই আর আানা হয় নাই।
দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় চারটার কাছাকাছি বেজে গেল।

বিকেলে ভাই -ভাবি এসেছিলো। ওরা আটটার দিকে চলে গেল।দুপুরের পোলাও ছিলো সেটাই ওরা রাতে খেল।আর এভাবেই দিনটা চলে গেল।

IMG_7942.jpeg

3KyYabPY3g77mhATvBAAUF5zNR1CtqkeWauN9MRyWDCSJJeN9WZVXxTFs1osy6uhZisoaiFyWVDNasfkuL6TCt1ktBsbpzwrjDQjD5Whfk...ZaM9uuYHaeW4UUPGGgs2cmDJiTjepqhtQSaepYYFHTcDDjyKwJFNySU1pqwEMpSESQC3Gn7hqBvLRjSYsY6BdDKRgFVbQR2Yp7VjXiG9Wvs5d8nxs9LuoDTwMx.png

![IMG_7932.jpeg](UPLOAD FAILED)

Sort:  
 2 days ago 

শীতের আবহাওয়া চলে আসছেন কিছু কিছু জায়গায় কুয়াশার ভাবটাও বেশি দেখা যাচ্ছে। সকালে সূর্য উদয় দেখতে দারুন লাগে।

মাঝেমধ্যে আমারও হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় অর্ধেক রাত্তিরে আর ঐদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তবে আপনি ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে খুব সকালে হাটাহাটি করছেন।

এছাড়াও আপনার সমস্ত দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।

Loading...