শেখার সদিচ্ছা নিজের নিজের। (Eagerness to learn is one's self-choice)
এর আগেও এমন অনেক কথা বলেছি যেগুলো হয়ত আমার আজকের লেখায় খুঁজে পেলেও পেতে পারেন।
আমি তাদের কথা বলছি যারা আমার লেখা পড়েন! যদিও বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করছি পাঠক তথা মন্তব্যের সংখ্যা কমছে বৈ বাড়ছে না!
এদিকে ঝোলা ভর্তি আছে নালিশ, অভিযোগ, কোথায় কোনটা কম রয়ে গেলো, কেনো কম রয়ে গেলো ইত্যাদি প্রশ্ন।
এই লেখার ঠিক আগের লেখায় ইংরিজিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে) তুলে ধরেছিলাম, কিন্তু যথারীতি সেখানেই কারোর কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি!
যেটা স্বাভাবিক এবং আমি এই বিষয় পূর্বেই অবগত ছিলাম, সদুত্তর ওই লেখায় পাওয়া যাবে না।
অভিযোগ করতে আমরা সকলেই পারদর্শী, কিন্তু যেই কোনোকিছু শেখা অথবা কোনো কাজ নিয়মানুসারে পালনের সময় আসে, তৎক্ষণাৎ হয় ব্যাক্তিগত আর নয় শারীরিক তথা পারিবারিক সমস্যা সকলের বৃদ্ধি পেয়ে যায়!
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে পারিবারিক সমস্যায় কি বাড়িতে রান্না বন্ধ হয়ে যায়?
মানসিক চাপ থাকলে কি সকলে অফিস কামাই করা শুরু করে দেন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ?
শারীরিক সমস্যায় সন্তান তথা সংসারের কাজ এবং দায়িত্ব কি পালন করতে হয় না?
কতজন মাসের পর মাস একবেলাও না খেয়ে কাটিয়েছেন?
এরকম নয় নয় করে হাজার প্রশ্ন আমি করতে পারি, যার সদুত্তর কতজন দিতে পারবে সে বিষয় আমি সন্দিহান!
আমরা ফাঁকি দেওয়ার অজুহাত খুঁজি!
আর কত সহজে, কত সল্প পরিশ্রমে বেশি বেশি উপার্জন করা সম্ভব সেইদিকে আমাদের নজর।
হয়তো, এই অপ্রিয় সত্য অনেকের খারাপ লাগবে! কিন্তু দ্বিচারিতা করার চাইতে সত্য সর্বদা আমার কাছে শ্রেয়।
ছেলেবেলা থেকে বৃদ্ধবস্থা শেখার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, যারা শিখতে আগ্রহী তারা যেকোনো সময়, যেকোনো বিষয় রপ্ত করতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।
আমার পূর্বের অনেক লেখায় বাস্তবিক জীবনের অনেক মানুষের উদাহরণ তুলে ধরেছি।
আমাদের সবচাইতে বড় সমস্যা, শেখার চাইতে আমার তুলনায় মনোযোগ বেশি দিয়ে থাকি।
আজকের লেখার মাঝেই একটি কথা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে জানিয়ে রাখি, সেটা হলো আজকের টিউটোরিয়াল ক্লাসে অনুপস্থিত সদস্যদের থেকে মেম্বার ট্যাগ সরিয়ে নেওয়া হবে!
এরকম বহুবার দেখেছি যেখানে সপ্তাহের ঠিক এই নির্দিষ্ট দিনে সকলের ব্যস্ততা, সমস্যা বেড়ে যায়!
অধিক সংখ্যক কমিউনিটির সদস্য, হয় দেরিতে যোগদান করেন! আর নয় মাঝে পথেই না বলে বেরিয়ে যান!
এটাকে আমি কোনোভাবেই সভ্যতায় গণ্য করতে পারি না।
লেখাপড়া কম জানা থাকতেই পারে, কিন্তু ভদ্রতা, শালীনতা, সম্মান, এগুলো পুঁথি দ্বারা নয় নিজেদের ব্যবহার দ্বারা প্রমাণিত হয়।
পরীক্ষায় কেউ যেমন এমনি এমনি পাশ করে না!
কোথাও চাকরি করলে বিনা পরিশ্রম করে মাসের শেষে একাউন্টে কোম্পানি যেমন টাকা পাঠিয়ে দেয় না!
এমনকি ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থ তথা পরিশ্রম দুয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে।
পায়ের উপরে পা তুলে সংসারের কাজ যেমন সমাধা হয় না।
তেমনি এই প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকতে হলে, এবং উন্নতির ক্ষেত্রেও কিছু শৃঙ্খলা মেনে করার প্রয়োজন আছে।
দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই যখন পরিশ্রমের সাথে যুক্ত, তাহলে কোন যুক্তিতে এই প্ল্যাটফর্মে সমস্ত নিয়ম লক্ষ বার বলার পরেও পালন না করে, সমর্থনের আশা কেউ রাখতে পারেন?
ঈর্ষা, অপমান, অহঙ্কার, কাউকে ছোট করে কথা বলা, অশালীন আচরণ, মিথ্যে, কটু কথা এগুলোর জন্য কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, এমনিতেই এগুলো সকলে বিনা পরিশ্রমে আয়ত্ত করতে সক্ষম!
বিগত তিন বছর দশ মাস ধরে প্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার প্রয়াস করে চলেছি, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে।
কখনো ঠেকে শিখেছি, আবার কখনো দেখে;
কিন্তু তারমানে শেখা বন্ধ করে দিয়ে পথ বদলে ফেলি নি।
এছাড়াও যাদের থেকে যতটুকু উপকার পেয়েছি, কাজ শিখেছি সুযোগ পেলেই নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি নিজের লেখার মাধ্যমে।
কারণ, যারা আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, তাদের সেই শিক্ষার পিছনে কোনরকম আত্মস্বার্থ ছিল না।
আগের সপ্তাহেই একটি লেখায় আমি এই প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত সেই সকলকে উল্লেখ করেছি যারা কোনো না কোনো সময় আমাকে সৎ পরামর্শ, এবং কিছু না কিছু শিখিয়েছেন।
অবাক বিষয়! সেই একই জিনিষ (কৃতজ্ঞতাবোধ) এই কমিউনিটির সদস্যদের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না! যাকে চলতি বাংলায় বলে খেয়ে মুখ মুছে ফেলা!
তবে, এগুলো জীবনের শিক্ষা, ঠিক সেই কারণে এই মুখোশ পরিহিত মানুষগুলোকে আমি সময়ের সাথে সাথে চিনতে পারছি।
যদি নিজের মধ্যে শেখার সদিচ্ছা না থাকে জোর করে কাউকে কোনো কিছু শেখানো সম্ভব নয়।
লেখা পড়ার অভ্যাস থাকায়, কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষের লেখা পড়লে খানিক হাসি পায়!
যেখানে থেকে যাত্রা শুরু, যেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর রসদ যোগান পাওয়া, বেমালুম তাদের অগ্রাহ্য যারা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত!
তবে এটাও জানা প্রয়োজন জীবনে এই সকল মানুষ কখনোই কারোর আপন হতে পারে না!
আজও একই শ্রেণীর মানুষ এই সমাজে অধিক সংখ্যায় চোখে পড়ে, যেটা লজ্জাজনক এবং নিম্ন মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
তাই পরিশেষে একটাই বার্তা দিতে চাই, সকলের অলক্ষে সব হিসেব জমা হচ্ছে, যেটা সময় মতো সুদে আসলে ফেরত সকলকেই পেতে হবে নিজের নিজের কার্য অনুযায়ী, এটি অপরিবর্তিত সত্য।
ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের নয়। অন্ততঃপক্ষে সৃষ্টিকর্তার কাছে তো নয়ই। |
---|
কেমন আছেন দিদি, আশা করছি ভালো আছেন। আমরা যারা নতুন ইউজার আছি আপনার এই পোস্ট থেকে আপনারা অনেক শিক্ষা নিতে পারি। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন, যেটা এই প্লাটফর্মের নয় প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে খুব প্রয়োজনীয় তথ্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কথা গুলো তুলে ধরার জন্য। আর আমরা যারা নতুন ইউজার আছি চেষ্টা করব এই কথাগুলো মেনে চলার। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
জেনে ভালো লাগলো ভাই। আমিও নিজেও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখার প্রয়াস করে চলেছি। যেটুকু শিখতে পেরেছি, সেটাই সবার মাঝে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি। আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে লেখা পড়া তথা মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
TEAM 2
Congratulations! This post has been voted through steemcurator05. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.Thank you my dear friend @anasuleidy for this encouraging support ❤️
আপনার আজকের লেখাটি পাঠক/পাঠিকাদের এই প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের জন্যও দিকনির্দেশনা সরূপ। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় তথ্যবহুল ও দিকনির্দেশনা মূলক লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।
🙏Hello Respected Mam, You are right in saying that learning is a personal choice because learning requires hard work and efforts. We have to put in efforts and time in something. Only then we can grasp something, whether it is a physical skill or a mental skill, it takes time to develop.