মুখোশ! Musk - poetry!
|
---|
লাভ লোকসানের খেরো খাতা,
ভরছে বসে, অসাধু কিছু মাথা!
ভুলে গিয়ে কৃতজ্ঞতা,আর অতীতের কথা,
খেয়ে মুখ মুছে, চলছে ষড়যন্ত্র।
পিছে পিছে চলছে কিছু সহচর
ঠিক যেমন চলে যন্ত্র!
জপছে কেবল আড়ালে বসে
শেখানো অর্থহীন মন্ত্র।
ব্যবসা বিশেষ জমেনি বলে;
অপবাদ দিয়ে গেছে কিছু চলে!
চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেটেনি;
চুরি জোচ্চুরির সুযোগ জোটেনি!
কটু শব্দ, অসভ্যতা, সাথে অশালীন ভাষা;
এর চাইতে অধিক, যদিও ছিলনা কভু আশা!
(চারুলতা ছায়াছবিতে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়) |
---|
আমরা জানি ছায়াছবি, ধারাবাহিক নাটক এবং যাত্রার সাথে অভিনয় শব্দটি ব্যবহার করা হয় থাকে।
তবে, যত ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিচিত হই, ততো মনে হয়, যেকোনো অভিনয় জগতের শিল্পীরা অনেক পিছিয়ে এই বাস্তব জীবনের অভিনেতাদের সামনে!
যতদিন, অসাধু কাজের সুযোগ পাবে, এদের এক রকম ব্যবহার, তথা রূপ দেখতে পাওয়া যায়!
আবার স্বার্থের অনুকূলে, অথবা সুবিধা মতো সুযোগের অভাব হলেই কটূক্তি করতে, অপবাদ দিয়ে এক্ মুহুর্ত চিন্তা করে না।
সবচাইতে বড় শিক্ষা যেটা আমরা প্রায়শই ভুলে যাই, সেটা হলো বেঈমান তথা স্বার্থপর দের সৃষ্টিকর্তা কখনোই ক্ষমা করেন না!
শুধু ধর্মগ্রন্থ পড়লেই বোধহয় জ্ঞানী হওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ মানসিকতা উন্নত না হচ্ছে, সঙ্গে আত্মশুদ্ধির অভাব রয়ে যাচ্ছে।
ধর্মগ্রন্থের নির্দেশিত পথে নিজে পরিচালিত হতে পারলে, তবেই বোধহয় অন্যদের সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখা উচিৎ।
(সকলের আসলে সঠিক পথে পরিচালনার দক্ষতা থাকে না, সেটা অনেকের অজানা) |
---|
একদিকে অপকর্ম করে, কেবলমাত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলেই জ্ঞানার্জন সম্ভব নয়;
আসলে একটি প্রবাদ আছে, কাক ময়ূর পুচ্ছ লাগালে ময়ূর হয়ে যায় না।
যারা প্রকৃত অর্থে জ্ঞানের পরিভাষা বোঝেন, তারা কখনোই ধ্বংসের কথা, মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে, পিছনে কটূক্তি করেন না!
কারণ, তারা নিজেরা জ্ঞান আস্বাদনে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, তাদের সময় থাকে না কুরুচিকর ব্যাক্তি, তথা তাদের সংসর্গে সময় ব্যতীত করা।
আজকের উন্নত সমাজ আরো অনেক বেশি উন্নত হতে পারত, যদি কিছু অসাধু মানুষকে তাদের যোগ্য স্থান দেখিয়ে দেওয়া যেতো।
তবে, কথায় আছে সময় সবচাইতে শক্তিশালী, যার যেটা প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবার জন্য।
আমি বিশ্বাস করি, জীবনের আদর্শে যদি কেউ সঠিক থাকতে না পারে, তাহলে তাদের ডাক সৃষ্টিকর্তার কর্ণগোচর হয় না!
আবার, যদি কেউ অসাধু কর্ম থেকে মুক্তিলাভের প্রয়াস করেন, তাহলে সৃষ্টিকর্তা তাদের সুযোগ দিয়ে থাকেন;
এর সবচাইতে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো বাল্মীকি মুনি।
একসময় যে দস্যু রত্নাকর নামে পরিচিত ছিল, এবং যখন নিজের কর্ম শুধরাতে সৃষ্টিকর্তার শরণাপন্ন হন, তাকে রাম নাম জপের কথা বলা হয়!
তবে, স্বভাবগত কারণে মুখ থেকে রামের পরিবর্তে মরা শব্দ বের হচ্ছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মরা থেকে রাম তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, কারণ তার ইচ্ছেতে কোনো গোপন অভিসন্ধি ছিল না!
আত্মশুদ্ধি সম্ভব তখনই, যখন মন থেকে ভালো হবার প্রয়াস করতে চাওয়া হয়, ভালো সাজা আর ভালো হবার যাত্রা একেবারেই বিপরীত মুখী।
ভাবার বিষয় হলো, স্বার্থ নিয়ে সৃষ্টিকর্তার সামনে দাঁড়ালে তিনি সেই স্বার্থের গন্ধ ঠিক পেয়ে যান, সেটা হামেশাই আমরা ভুলে যাই।
আর্টিকেলের টাইটেল এর সাথে কবিতার প্রতিটা লাইন যেন আয়নার মতো ভেসে উঠছে। বিড়ালের মতো 100 বছর বাঁচার চাইতে সিংহের মতো একঘন্টা বেঁচে থাকা উত্তম।
এই সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে বিড়ালের মত পিছে পিছে ম্যাও,ম্যাও করে কিন্তু সামনে এসে কথা বলার সেই সৎ সাহস থাকে না। আমি মনে করি পিছনে যারা সমালোচনা করে তারা কখনোই সামনে আসতে পারবে না , তারা সবসময়ই পিছে পড়ে রবে। দিদি বাস্তব কিছু কথা আপনার কবিতা ও লেখার মাধ্যমে উপস্থাপনা করছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি ভালো থাকবেন।
THE QUEST TEAM has supported your comment. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen thank you so much for supporting me.
প্রতিনিয়তই মুখোশে ঢাকা মুখগুলোর সাথে হাসিমুখে চলতে হয়। কখনো তাদের মুখোশ ধরা যায় আবার কখনো না জেনেই তাদের বন্ধু ভাবি আমরা।এটা ব্যাক্তিজীবন থেকে রাজনীতি সব জায়গায়ই। তবে এই মুখোশ একসময় না এক সময় ধরা পরেই।
কারন যতোই মার্জিত চেহারা তারা ধারন করে থাকুক না কেন স্বার্থে লাগলেই তাদের কুৎসিত চেহারা বেরিয়ে আসে।
অশালীন, কটু কথা, নারী কিংবা ধর্ম নিয়ে টানাটানি এগুলো আমার কাছে পারিবারিক শিক্ষার অভাব বলে মনে হয়।
মানসিক ও শারিরীক দুইদিক থেকেই ভালো থাকুন এই কামনা করি।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.