What should we follow during high temperatures?(উচ্চ তাপমাত্রার সময় আমাদের কী অনুসরণ করা উচিত?)
এবছর প্রতিদিনের তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে।
শুধুমাত্র ভারত নয় এশিয়ার উচ্চতাপমাত্রার অধীনের সমস্ত দেশের বর্তমানে একই পরিস্থিতি।
কলকাতার পরিস্থিতি খুবই খারাপ
শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে অতিমাত্রায় জল। সাথে এই তাপমাত্রায়, সান স্ট্রোকের সম্ভাবনা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন যারা বাইরে যাবেন এবং যারা বাড়িতে থাকছেন উভয় মানুষদের কিছু খাদ্যাভাস;
তথা দৈনন্দিন জীবনে পালনীয় আবশ্যকীয় বিষয় নিয়ে নিজের লেখা ভাগ করতে এসেছি।
|
---|
(সকালের ছাতুর শরবত পেতে থাকে অনেকক্ষণ সাথে শরীরকে ঠান্ডা রাখে ভেতর থেকে।) |
---|
এই অত্যধিক গরমে সবার প্রথমে আমাদের খাবারের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন, কারণ শরীর এমন একটি মেশিন যেটিকে সঠিকভাবে পরিচালনায় ঋতু অনুযায়ী খাবার খেলে অনেক ব্যাধিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আমি সাধারণত ছাতুর শরবত গরমে প্রাতঃরাশ হিসেবে গ্রহণ পছন্দ করি, তবে যারা বাড়ির বাইরে কাজে যাবেন তাদের ক্ষেত্রে ছাতুর শরবতে চিনি ব্যবহার করতে পারেন, কারণ চিনি শরীরে এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে;
কিন্তু যারা বাড়ির বাইরে না গিয়ে ঘরের ভিতরে কাজ করেন, যেমন আমি।
সেক্ষেত্রে আমি চিনি ব্যবহার করি না, পরিবর্তে বিট লবণ, ভাজা জিরের গুঁড়ো, সাথে কেউ চাইলে কাঁচা পেঁয়াজ এবং সামান্য কাঁচা লঙ্কা দিয়ে এই শরবত তৈরি করে খেতে পারেন।
আমি সাধারণত কাঁচা লঙ্কা আর পেঁয়াজ দুটোকেই এড়িয়ে যাই, তবে গরমে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে, ত্বকে লু লাগার সম্ভাবনা কমে যায়।
(দুপুরে লেমনেড আমার অত্যন্ত প্রিয়, যারা ডাবের জল পাবেন না তারা এটাও খেতে পারেন, পুদিনাপাতা সহযোগে) |
---|
এর সাথে পছন্দের ফল সেটা যেকোনো ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফল হতে পারে, তবে ভালো সেই সকল ফল যার মধ্যে জলের আধিক্য বেশি।
এরপর, দুপুরে চেষ্টা করা উচিত অধিক মশলা যুক্ত খাবার না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়ার।
এইসময় যারা অফিসে যাবেন, সঙ্গে সালাদ, স্যান্ডউইচ, উপমা, সঙ্গে ফল আর অধিক পরিমাণে জল রাখতে পারেন।
দুপুরে ডাবের জল খাওয়া খুবই উপকারী বাইরে যাদের ঘুরে কাজ করতে হয়।
বাড়িতে আমি এই গরমে একদম খেতে পছন্দ করি না, তবে যদি কোনোদিন খাই তাহলে ভাতের সাথে হালকা জ্যান্ত মাছের ঝোল, টক ডাল, আমার পাতলা চাটনি, আর নয়তো আলু সেদ্ধ আমার দুপুরের খাবার এর তালিকাভুক্ত। টক দই এই গরমে দুপুরে অবশ্যই খবর চেষ্টা করবেন, এটি আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
(কাঁচা আমের চাটনি) |
---|
সবগুলো একসাথে থাকে না আমার এই সময়ের প্রিয় টক ডাল। ওটা হলেই আমার হয়ে যায়। টক এবং তেতো খাবার এই সময় নিজেদের খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন।
(টক দই) |
---|
রাত্রের খাবারে আপনি স্যুপ রাখতে পারেন, যারা নিরামিষ খান তারা সুইট কর্ন, মাশরুম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন আর যারা আমিষ খান তারা এই সময় ডিম, চিকেন দিতে পারেন স্যুপ তৈরির সময়।
|
---|
এই গরমে বাচ্চা থেকে পরিণত সকলের সুতির হালকা রঙ এর পোশাক পরিধান করা উচিত। কারণ হালকা রঙ তাপ কম শোষণ করে, সাথে সুতি আমাদের শরীরের থেকে নির্গত ঘাম শুষে নিয়ে শরীরের তাপমাত্রা সহ ত্বকের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
এই প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখ করি, অনেকেই এই গরমে বেশি বেশি পাউডার ব্যবহার করেন, কিন্তু জেনে রাখুন পাউডার ত্বকের ক্ষতি করে কারণ, আমাদের ত্বকের ছিদ্রগুলো এই পাউডার বন্ধ করে দেয়, ফলে ঘাম শরীরের বাইরে বেরোতে পারে না, পরিণতি গা ভর্তি ঘামাচি।
(কারি পাতা খাদ্যে ব্যবহার করুন, প্রকৃতির এক অনবদ্য ভেষজ) |
---|
এরপর বলবো এই সময় ছাতা এবং সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে মোটেও বেরোবেন না।
ছাতা সান স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে অনেকখানি।
বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই ফ্যান এর নিচে যাবেন না, অথবা ঠান্ডা জল খাবেন না;
এতে হিতে বিপরীত হবে, ঠান্ডা লেগে যাবে সহজেই। শরীরকে প্রথমে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় আসতে দিন, ভেজা জামাকাপড় ছেড়ে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে তবেই জল খাওয়া উচিত।
সর্বোপরি, একান্ত প্রয়োজনীয় না হলে, এই সময়ে বিশেষ করে দুপুরে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন।
পরিশেষে একটি বার্তা, যারা বাড়িতে থাকেন, অথবা ফ্ল্যাটে বাড়ির বাইরে যাবার সময় একটু বাড়তি জল পথের পশুদের জন্য নিয়ে বেরোবেন, আর জানালার পাশে অথবা বারান্দা বা ব্যালকনিতে পাখিদের জন্য একটি বাটিতে জল রেখে দেবেন।
ওরা আমাদের মত ভাষায় নিজেদের কষ্ট ব্যক্ত করতে না পারলেও আমাদের থেকে অনেক বেশি প্রতিকূলতা, এই দাবদাহ সহ্য করতে হচ্ছে।
মানুষ হয়ে মানবিকতা থাকবে না এটা শোভনীয় নয়।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @dasudi
Thank you my friend @dasudi for this encouraging support
বর্তমানে গরমের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যা বলার মত নয়। আগামী দিনে আরো কত তাপমাত্রা বাড়বে তা ধারণার বাইরে। যদিও তাপমাত্রা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা সাধ্যের বাইরে।
কিন্তু এই সময় আমাদের নিজের শরীরের সুস্থতার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতেই পারি।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম।
ম্যাম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দারুণ একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য। প্রচন্ড গরমে আমাদের জনজীবন প্রায় অতিষ্ট। আমাদের জেলায় বর্তমান ঊনচল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রা চলছে।
যাইহোক আপনি যে খাদ্য তালিকা আমাদের দিয়েছেন আশাকরি এতে সকলের মঙ্গল হবে। কেননা গ্রীষ্মের গরমে এই খাবারগুলি সত্যি উপযোগী। এছাড়াও আপনি আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। পোশাক পরিধানে বিভিন্ন টিপস দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপনার লিখাটি পড়ে দারুন উপকৃত হলাম। ভালো থাকবেন ম্যাম।
নুন ও চিনি দিয়ে লেবুর শরবত, টক দই এবং চিল্ড বিয়ার সেবন করে আমি এই গরমেও নরম থাকছি, তবে পাতি লেবুর দাম গায়ে ছ্যাকা দিচ্ছে।