তুমি চিরন্তন সত্য! You are eternal truth!
আজকে রাত প্রায় সাড়ে আটটার পরে একটু বাজারের দিকে যাবার সময় পেয়েছিলাম।
আগেও লিখেছি, আমি সাধারণত ভিতরের রাস্তা ধরে বাজারে যাই যানজট এড়িয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর তাগিদে।
আজকে সকালের দিকে বৃষ্টির কারণে ভিতরের রাস্তায় বেশ জল জমেছিল, তাই খানিক কষ্টে মাঝের খানিকটা রাস্তা পার করে, যখন সবে বাজারের রাস্তায় পা রাখবো, তার আগেই কানে গান ভেসে আসছিল।
যদিও বাজার কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর গণেশ পুজো, রাধা কৃষ্ণের উৎসবের আয়োজন করে থাকে, কিন্তু সত্যি বলতে আমার মনে ছিল না ঠিক কোন সময় রাধা কৃষ্ণের উৎসব আয়োজিত হয়।
(বাজারের মধ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান) |
---|
যাইহোক, শেষের দিকের কোনো দোকান আজ বসে নি, সেই জায়গা জুড়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে আর ঠিক তার পিছনে রাধা কৃষ্ণের মণ্ডপ তৈরি করেছিল।
ছোটো ছোটো দুটো ভিডিও তুলে নিয়েছিলাম, কারণ, ভিড়ের চাপে ছবি তোলার উপায় ছিল না!
যদিও সেটা আমার পিছনে ছিল, তাই দেখা যাচ্ছে না ভিডিওতে!
যবে থেকে বাজারের ভিতরের রাস্তা পাকা করা হয়েছে, মানুষের চাইতে মোটর বাইক এর ভিড় বেশি!
ভীষণ বিরক্ত হই! কারণ গাড়ি রাস্তার জন্য যখন বড় রাস্তা আছে, তখন এই গলি পথ সাধারণ মানুষের হাটা চলার জন্য রাখা উচিত!
আরো সমস্যা, বাজারের গায়েই রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার আর অনেক সময় ট্রেন ধরবার তাড়ায় অনেকেই কোনদিক না দেখে ভিতরের গালি দিয়ে দৌড়তে থাকে;
যদি কোনো বিপদ ঘটে তখন একজন আরেকজনের উপর দায় দিতে দু'বার চিন্তা করবে না।
যাইহোক, একটু সময় দাড়িয়ে কিছু জিনিষ যেমন, চাল, পাতিলেবু কিনে দেখছি খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে!
(রাধা কৃষ্ণ - এখানেও নারীর স্থান ঊর্ধ্বে রেখেছেন সৃষ্টিকর্তা!) |
---|
এখানে, একটা কথা বলে রাখা ভালো, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর এই প্রবাদে আমি বিশ্বাসী!
আর ঠিক সেই কারণে আমি মনে করি সৃষ্টিকর্তার প্রসাদ পাওয়া, আর কোনো তীর্থ স্থান দর্শন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে ছাড়া সম্ভব নয়।
আজকে এবং যেদিন দুর্গাপুজোর ভিডিও করেছিলাম, এই দু'দিন আকস্মিক ভাবেই প্রসাদ পেয়েছি, আর এটা আমার কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে হয়।
এমনকি লক্ষী পুজোর দিন মানে বুধবার মনটা খারাপ ছিল, নিজে সেভাবে এখন পুজো করতে পারি না;
আর তাই মায়ের প্রসাদ পাবো এরকম কোনো আশাও ছিল না!
বুধবার ঘড়িতে ভারতীয় সময় রাত সাড়ে এগারো টায় ফোন এলো, ঘুমিয়ে পড়েছো?
আমি বললাম এত তাড়াতাড়ি আমি ঘুমাই না!
আমাকে নিচের ঘরের এক্ মাসিমা বললেন, উপোস করে শরীর খুব ক্লান্ত, এইমাত্র পুরোহিত পুজো সেরে গেলেন, আমি প্রসাদ বেড়ে রাখছি, একটু এসে নিয়ে যাবে!
আমি বললাম, ঠিক আছে আমি আসছি, আপনাকে উপরে উঠতে হবে না।
এটাও আমার কাছে মনে হয়েছে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ, নয়তো অত রাতে মায়ের প্রসাদ পাবো এটা কল্পনাতীত।
যাইহোক, সব কথার একটাই অর্থ আর সেটা হলো, উদ্দেশ্য এবং অন্তর যদি স্বচ্ছ থাকে, সৃষ্টিকর্তা মনের ডাক ঠিক শুনতে পায়;
আর, ইচ্ছেপূর্তি বোধহয় সেই নিঃস্বার্থ চাওয়ার হাত ধরেই আসে।
এই পুজোর দিনগুলোতে আমি দুই মায়ের প্রসাদ আর রাধা মাধবের প্রসাদ পেয়ে ধন্য, আমি জানি এবং মানি একজন মনের কথা সবসময় শুনছেন।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.